প্রাণঘাতী করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১৭৭। আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ২৪ হাজার ৪২৬। ক্রমেই মৃত্যুর পাল্লা ভারি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। দিন দিন অবস্থা আরো অবনতি হচ্ছে।

দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। বাড়ছে অসহায় মানুষের দীর্ঘশ্বাস। এ অবস্থায় করোনায় বিশ্বজুড়ে ৩ কোটি মানুষ অনাহারে মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির। বিশ্বের সবচেয়ে পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে শুধু নিউইয়র্কে মারা গেছে ১৭ হাজার ১৩১ জন। এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ছাড়িয়ে গেছে সবাইকে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৯ হাজার ৭৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩২ হাজার ১৬৫ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬০ হাজার ৫১০ জন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৬ লাখ ১২ হাজার ৭১ জন শনাক্ত রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৬২ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। বাকি ১৩ হাজার ৫০৯ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা নিউইয়র্কে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৫ জনসহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ১৭ হাজার ১৩১ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজার ৭৫৩ জনসহ আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫১ জন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের করোনা ভাইরাস টাস্কফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফাউসি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা লাখ ছাড়াবে। গত মার্চে অবশ্য এক থেকে দুই লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানায় হোয়াইট হাউস।

বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ৫০ হাজার ১১৯ জন। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ হাজার ৪৯৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৫ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৭ জন। সব মিলিয়ে বর্তমানে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৩০১ জন শনাক্ত রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জন চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৫৬ হাজার ৯৬৩ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে।

স্পেনে আক্রান্ত ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৩৯, মারা গেছে ২০ হাজার ২ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৩৪, মারা গেছে ২২ হাজার ৭৪৫ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৯, মারা গেছে ১৮ হাজার ৬৮১ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৯৭, মারা গেছে ৪ হাজার ৩৫২ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৬৯২, মারা গেছে ১৪ হাজার ৫৭৬ জন। চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৭১৯, মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩২ জন। ইরানে আক্রান্ত ৭৯ হাজার ৪৯৪, মারা গেছে ৪ হাজার ৯৫৮ জন। তুরস্কে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৫৪৬, মারা গেছে ১ হাজার ৭৬৯ জন। বেলজিয়ামে আক্রান্ত ৩৬ হাজার ১৩৮, মারা গেছে ৫ হাজার ১৬৩ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত ৩৪ হাজার ২২১, মারা গেছে ২ হাজার ১৭১ জন। কানাডাতে আক্রান্ত ৩১ হাজার ৯২৭, মারা গেছে ১ হাজার ৩১০ জন। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৩০ হাজার ৪৪৯, মারা গেছে ৩ হাজার ৪৫৯ জন।

সুইজারল্যান্ডে আক্রান্ত ২৭ হাজার ৭৮, মারা গেছে ১ হাজার ৩২৭ জন। সুইডেনে আক্রান্ত ১৩ হাজার ২১৬, মারা গেছে ১ হাজার ৪০০ জন। এছাড়া ভারতে আক্রান্ত ১৪ হাজার ৪২৫ জন এবং মারা গেছে ৪৮৮ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ৭ হাজার ২৫, মারা গেছে ১৩৫ জন।

"