নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ এপ্রিল, ২০২০

ফাঁসির কাষ্ঠে মাজেদ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ফাঁসির কাষ্ঠে। গতকাল শনিবার রাতেই আবদুল মাজেদের ফাঁসির কার্যক্রম শুরু হয়। ফাঁসির মঞ্চে জ্বালানো হয় আলো। রাতে ফাঁসি কার্যকর করার কথা জানান আইজি প্রিজন মোস্তফা কামাল পাশা। এরও আগে বিকালে ফাঁসি কার্যকরের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। বিকালে ফাঁসির মঞ্চে ইট-বালুর বস্তা ঝুলিয়ে মহড়া শেষ করেন জল্লাদরা।

মহড়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শাজাহানসহ আরো কয়েকজন জল্লাদ। কারা সূত্র জানায়, আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ আগেই প্রস্তুত করা হয়। সন্ধ্যায় ফাঁসির সময় জানতে চাইলে সূত্র জানায়, রাতেই ফাঁসি সম্পন্ন হতে পারে। সব প্রস্তুতি রয়েছে, ফাঁসি কার্যকর সময়ের ব্যাপার মাত্র। এর আগে শুক্রবার রাতে মাজেদের পরিবারের পাঁচজন সদস্য তার সঙ্গে ৩০ মিনিট সাক্ষাৎ করেন।

২৩ বছর ধরে পলাতক আবদুল মাজেদকে গত সোমবার মধ্যরাতে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পরদিন বুধবার মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল

মাজেদ। পরে প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আবদুল মাজেদসহ ১২ আসামিকে ২০০৯ সালে মৃত্যুদ-াদেশ দেওয়া হয়। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি কার্যকর হয়।

রায় কার্যকরের আগে ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান আসামি আজিজ পাশা। মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে পলাতক রয়েছে পাঁচজন। এরা হলো খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, এ এম রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। তারা সবাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close