নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ এপ্রিল, ২০২০

আক্রান্ত বেড়ে ৪৮২ মৃত্যু ৩০

আক্রান্তদের ৫২শতাংশ রাজধানীর

একদিনে আরো তিনজনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ জন। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরো ৫৮ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮২ জন। গত একদিনে আরো তিনজন সুস্থ হয়ে উঠায় এ পর্যন্ত মোট ৩৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরো তিনজনের, আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৫৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। আর মোট আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৮২ জন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক জীবন থমকে দাঁড়িয়েছে। আগামী কয়েকটা দিন কষ্ট করুন। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের ১০ ফোঁড়। আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করতে জনগণকে ঘরে থেকে সুস্থ থাকতে অনুরোধও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের

পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের দুজন ঢাকার বাইরের, একজন ঢাকার। নতুন আক্রান্তদের ৪৮ জন পুরুষ, ১০ নারী। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরো তিনজন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন। নতুন আক্রান্তদের বয়স বিভাজনের ক্ষেত্রে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরে মধ্যে ১৫ জন রয়েছেন। ৫৮ জনের মধ্যে ১৪ জন ঢাকার

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, আক্রান্ত ৪৮২ জন রোগীর মধ্যে ৫২ শতাংশ রাজধানী ঢাকা ও ৩৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগের। অবশিষ্ট ১৩ শতাংশ দেশের অন্যান্য বিভাগের।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত সোয়া ১৭ লাখের বেশি। মারা গেছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। তবে পৌনে ৪ লাখের মতো রোগী এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথমদিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত কয়েক দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্রবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close