নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ এপ্রিল, ২০২০

কে এই ক্যাপ্টেন মাজেদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলার পলাতক ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা গ্রামের মরহুম আলী মিয়া চৌধুরীর ছেলে। তিনি বঙ্গবন্ধুর পলাতক ছয় খুনির মধ্যে একজন। পলাতক বাকি পাঁচ খুনি হলেন আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২নং রোডে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ অন্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশ নেন। হত্যাকান্ড শেষে তিনি অপর আসামি মেজর শাহরিয়ার ও হত্যাকান্ডে অংগ্রহণকারী অন্য সেনাসদস্যদের সঙ্গে রেডিও স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ক্যু করা অফিসারদের সঙ্গে বঙ্গভবনে দেশত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী অফিসারদের সঙ্গে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের আদেশে বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়ায় যান। সেখানে তিনি ক্যু করা অফিসারদের সঙ্গে প্রায় তিন মাস থাকেন। সে সময়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ক্যু করা অফিসারদের হত্যাকান্ডের পুরস্কারস্বরূপ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বৈদেশিক বদলি প্রদান করা হয়, তারই অংশ হিসেবে ক্যাপ্টেন মাজেদকে পুরস্কার হিসেবে সেনেগাল দূতাবাসে বদলির আদেশ দেন।

পরে ১৯৮০ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান সরকার ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন এবং উপসচিব পদে যোগদানের সুবিধার্থে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। পরে তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এরপর তিনি মিনিস্ট্রি অব ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে ডিরেক্টর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট পদের জন্য আবেদন করেন এবং ওই পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি ডিরেক্টর অব হেড অব ন্যাশনাল সেভিংস ডিপার্টমেন্টে বদলি হন।

এছাড়া জেলে জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ডে অংশ নেন এই ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। জেলহত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারকার্য শুরু করলে তিনি আটক হওয়ার ভয়ে আত্মগোপন করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close