বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গানের ভুবনে সাগর বাউলের এগিয়ে চলা

সাগর বাউল, এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। মাত্র তিন বছর বয়সেই গানের ভুবনে যার যাত্রা শুরু। মূলত তার বাবার গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিলো। পেশায় ড্রাইভার ছিলেন তার বাবা, এ কথা বেশ গর্বের সাথেই বলেন তিনি। তবে নিজে আজ একজন গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বিধায় বাবাকে আর কষ্ট দিতে চান না। নিজের কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়েই সংসার পরিচালনা করেন সাগর বাউল। ২০০৬ সালে বাংলাভিশনে ‘প্রাণের গান’ অনুষ্ঠানে গান গেয়ে ‘অবাক শিশু সাগর বাউল’ হিসেবে খ্যাতি পান সাগর। তবে বাউল হিসেবে তিনি খ্যাতি পান ছোটবেলাতেই ২০০৫ সালে ঢাকার শহীদ মিনারে সদর উদ্দিন মাওলার অভিষেখ অনুষ্ঠানে গান গেয়েছে। তার প্রথম একক গানের অ্যালবাম ‘জ্ঞানের আলো’। সাগর বাউলের প্রকাশিত মৌলিক গান প্রায় ১০০টি। এছাড়াও অনেক প্রচলিত ফোক গানও রয়েছে তার কন্ঠে যেসব গান তারও কন্ঠে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নিজের পথচলা প্রসঙ্গে সাগর বাউল বলেন,‘ গানে গানেইতো জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি। গানের সাথেই কেটে গেলো ২৩টা বছর। গান ছাড়াতো আর কিছুই শিখিনি। তাই গান নিয়েই বাকীটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমি কৃতজ্ঞ আমার আমার গানের শ্রোতা দর্শকের প্রতি। তাদের ভালোবাসায় আমি আজকের সাগর বাউল।’ এদিকে সাগর বাউলের কন্ঠে প্রকাশিত মৌলিক গানগুলোর মধ্য জনপ্রিয় উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে ‘মন দিয়ে ভালোবাসিলে’, ‘আমায় পুড়াইলি বন্ধু’,‘ আপন আপন করতে করতে পুইড়া হইলি ছাই’ ইত্যাদি। এসব গানে সাগর বাউলের নিজস্ ঢং বিশেষভাবে শ্রোতা দর্শকেরা উপভোগ করেন। সাগর বাউল ফোক গান, লালন সংগীত সবসময়ই পরিবেশন করেন। তবে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের প্রতি তার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। গানের ভুবনে চলার পথে একসময় তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেসময় জীবন যুদ্ধে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। বাংলাদেশের গানপ্রেমী মানুষের দোয়া ভালোবাসায় তিনি ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ হয়ে উঠেন। এখন পুরোটা সময়ই গানের জন্যই নিবেদিত রাখেন তিনি। সাগর বাউল পড়ছেন রাজধানীর শান্তা মারিয়ম ইউনিভার্সিটিতে, বিষয় সঙ্গীত। একজন শিল্পী হিসেবে দেশের বাইরে ভারতে গিয়েছেন বহুবার। এছাড়াও সাউথ কোরিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, থাইল্যাণ্ডেও শো’তে গান গেয়ে মুগ্ধ করেছেন দর্শক শ্রোতাদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close