বিনোদন প্রতিবেদক
‘পপি নামটি আমাকে সেভাবে টানে না’
চিত্রনায়িকা ববিতা নামটি তার সিনেমায় আসার পর রাখা হয়। তার পারিবারিক ডাক নাম ছিল পপি। কিন্তু পপি থেকে কীভাবে তিনি ববিতা হলেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে ববিতা বলেন, ‘আমার বাবা-মা আমার নাম রেখেছিলেন ফরিদা আক্তার ববিতা। পপি ডাক নামটিও তারই দেওয়া। আমার প্রথম সিনেমা ছিল জহির রায়হান পরিচালিত ‘সংসার’। সেই সিনেমায় আমি মাহমুদ সাজ্জাদের বিপরীতে অভিনয় করি। পরে আমাকে যখন শ্রদ্ধেয় নূরল হক ‘জ্বলতে সুরুজ কে নীচে’ সিনেমায় নায়িকা হিসেবে চূড়ান্ত করা হলো, তখন সেই সময়ের প্রখ্যাত আলোকচিত্রগ্রাহক আফজাল চৌধুরী (কিছুদিন আগে তিনি ইন্তেকাল করেছেন) আমার নাম রাখেন ববিতা। এরপর থেকেই আমি ববিতা নামেই পরিচিত হতে থাকি। খুব সত্যি করে যতি বলি, পপি নামটি এখন আর আমাকে সেভাবে টানে না। কারণ ববিতা নামটির সঙ্গে অনেক সম্মান, অনেক প্রাপ্তি, অনেক আবেগ, ভালোবাসা জড়িয়ে আছে।’
ববিতা জানান, ‘জ্বলতে সুরুজ কে নীচে’ সিনেমাটি সেই সময় মুক্তি পায়নি। অভিনয়ের বেশ কয়েক বছর পর সিনেমাটি মুক্তি পায়। তবে ‘জ্বলতে সুরুজ কে নীচে’র পরপরই নায়ক রাজরাজ্জাকের বিপরীতে জহির রায়হানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ববিতা অভিনয় করেন ‘শেষ পর্যন্ত’ সিনেমায়। সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালের ১৪ আগস্ট, বৃহস্পতিবার। সিনেমাটি সেই সময় চারদিকে বেশ সাড়া ফেলে। নায়িকা হিসেবে ববিতার পথ সুগম হয়। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ‘শেষ পর্যন্ত’ সিনেমায় পাওয়া পারিশ্রমিক বারো হাজার টাকা দিয়ে তিনি জীবনের প্রথম গাড়ি কিনলেন। কিন্তু সেই গাড়িটি তিনি তার গর্ভধারিণী মাকে আর দেখাতে পারেননি। তার আগেই তার মা তাকে ছেড়ে পরপারে চলে যান। ববিতা বর্তমানে কানাডায় আছেন তার একমাত্র ছেলে অনিকের কাছে। গেল আগস্ট মাসের শুরুতে তিনি কানাডা যান। তবে আবার কবে দেশে আসবেন সে বিষয়ে ববিতা আপাতত আর কিছু জানাননি। ববিতাকে সর্বশেষ দর্শক নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায় দেখেছিলেন। এরপর এক দশকে তাকে আর নতুন কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। তবে ববিতার আগ্রহ আছে সিনেমায় অভিনয় করার। হতে হবে তার একদম মনের মতো মৌলিক একটি গল্প। এ ছাড়া নয়।
"