বিনোদন প্রতিবেদক
সুপ্তিরূপে নতুন এক পরীকে দেখার অপেক্ষায়
দেশের চলচ্চিত্রের এই প্রজন্মের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর সময় থেকে এখন পর্যন্ত নিজেকে রেখেছেন আলোচনার শীর্ষে। তার অভিনীত বহু সিনেমা এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে। দর্শকের ভালোবাসায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোতে পরীমনি হয়েছেন সিক্ত। একেকটি সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর পরীমনি নিজেকে অভিনয়ে আরো পরিপূর্ণ করে তোলার চেষ্টায় মেতে ওঠেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার পরীমনিকে সারা বাংলার দর্শক সুপ্তিরূপে দেখার অপেক্ষায়।
এবারই প্রথম ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে পরীমনিকে। অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘রঙিলা কিতাব’ ওয়েব সিরিজে পরীমনি সুপ্তি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বরিশালের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুপ্তি ও প্রদীপের সুখের সংসার। কিন্তু তাদের এই সুখ খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। প্রদীপের অতীত ইতিহাসের কারণে একদিকে তার গ্যাংয়ের লোকজন আবার অন্যদিকে পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়ায়। গর্ভবতী সুপ্তিও ছুটতে থাকে স্বামীর সঙ্গে। এমনই গল্পে অভিনয়ে দেখা যাবে পরীমনিকে অনম বিশ্বাস পরিচালিত হৈচৈ ওটিটি প্ল্যাটফরমে আগামী ৮ নভেম্বর থেকে ‘রঙিলা কিতাব’ ওয়েব সিরিজে। কিঙ্কও আহসানের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই ওয়েব সিরিজ। টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে এক দারুণ প্রেমের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই ওয়েব সিরিজে- এমনটাই জানালেন পরিচালক অনম বিশ্বাস।
এদিকে পরীমনির বিশ্বাস, এই ওয়েব সিরিজকে ঘিরে তার চরিত্রকে নিয়ে দর্শকের মধ্যে যে প্রবল আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে, তাতে হয়তো তার অভিনীত চরিত্রটি দর্শককে মুগ্ধ করবে। কিন্তু তারপরও পরীমনি কিছুটা ভয়ে আছেন। আগামী ৮ নভেম্বরের পর থেকে হয়তো সেই ভয়টা কাটতে শুরু করবে। মোটকথা, সারা দেশের বিশেষত পরীমনিভক্তরা ‘রঙিলা কিতাব’ দেখার ভীষণ অপেক্ষায় আছেন। এই ওয়েব সিরিজে পরীমনির বিপরীতে অভিনয় করেছেন প্রদীপ চরিত্রে মোস্তাফিজ নূর ইমরান। মা হওয়ার পর এটাই ছিল পরীমনির প্রথম কাজ।
‘রঙিলা কিতাব’-এ কাজ করা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘সবাই অনেক বেশি পছন্দ করবেন রঙিলা কিতাব। রঙিলা কিতাবের সুপ্তিকে অনুভব করতে হলে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে। তাই সবাইকে আমি অনুরোধ করব সুপ্তি চরিত্রকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করে ওয়েব সিরিজটি উপভোগ করার জন্য। এটা সত্যি, এই ওয়েব সিরিজ নিয়ে যখন আমার সঙ্গে কথা হয়, তখন আসলে কোনো কাজ নিয়ে ভাবনার জায়গাতে ছিলাম না আমি। কারণ আমার বাচ্চার বয়স তখন দেড়-দুই মাস। এ সময় বাবুকে রেখে শুটিংয়ে যাব, এটা ভাবতেই পারিনি। কিন্তু সে সময় থেকে এক বছর পরেও যে এই সুপ্তি চরিত্রটি আমার জন্য বরাদ্দ ছিল, এটা সত্যিই পরম সৌভাগ্য। আমার মনে হয় সুপ্তি চরিত্রটি আমি ঠিকঠাকমতো করতে পেরেছি, বাকিটা আসলে দর্শকই ভালো বলতে পারবেন।’
"