বয়স প্রায় ৬০ ছুঁইছুঁই। এই বয়সে এসে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। দর্শক-অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় যেমন সিক্ত হয়েছেন, তেমনি আবার কটাক্ষের শিকারও হয়েছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী ভারতীয় অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী। এবার পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ মে) রাতে ফেসবুকে লাইভ করেন অভিনেতা। সেখানে তিনি যেমন তার প্রাক্তন স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থীকে নিয়ে কথা বলেন, তেমনই জানালেন কীভাবে তার আলাপ হয়েছিল রুপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। তাদের সম্পর্কের নানা অজানা কথা প্রকাশ্যে আনলেন এদিন।

আশীষ এদিন তার ভিডিওতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তার বা পিলুর কারো একে অন্যের বিরুদ্ধে কোনো রাগ নেই। তারা তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণভাবে দুজনের সম্মতিতে শেষ করেছেন। তাদের ২২ বছরের বিবাহজীবন ভাঙার কারণও এদিন জানান আশীষ।

অভিনেতা লাইভে এসে বলেন, ‘দিন শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমরা একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। বিয়ে করেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও আজ বয়স ২২ বছর। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমি আর পিলু ক্রমেই বুঝতে পারছিলাম যে আমরা আর ভালো নেই। বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যৎটা অনেকটাই আলাদাভাবে দেখি। যদিও আমরা দুজনেই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তারপর বুঝি এতে শুধু একে অন্যের ওপর বোঝা হয়ে থাকব আমরা। তাই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’

এদিন আশীষ তার দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণ জানান। পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনেন কীভাবে তার সঙ্গে রুপালির আলাপ হয়েছিল। অভিনেতার কথায়, ‘আমি কারো সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কারো হাত ধরতে চেয়েছিলাম। এই ভাবনাটা আজ নয়, ২ বছর আগেই এসেছিল। আমার যখন ৫৫ বছর বয়স তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমি আবার বিয়ে করব। তখনই আমার আলাপ হয় রুপালির সঙ্গে। আমরা কথা বলা শুরু করি। তারপর গত বছর আমরা দেখা করি। তখনই আমরা একে অন্যের প্রতি আকর্ষিত হই এবং মনে হয় যে বাকি জীবন আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কাটাতে পারি।’

আশীষ তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘আমার বয়স ৫৭, ওর ৫০ কিন্তু তাতে কী? বয়সে কী আসে যায় বন্ধু? জীবনে সবাই খুশি হতে পারে বয়স যাই হোক না কেন। তাই সম্মানের সঙ্গে জীবনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।’

"