একজন সংগীতশিল্পী মৌলিক গান দিয়েই মূলত নিজের পরিচিতি গড়ে উঠে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশ বেতার আর বাংলাদেশ টেলিভিশন ছাড়া আর কোনো প্রচার মাধ্যম ছিল না। সেই সময় যেকোনো শিল্পীর গান দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া অনেকটাই সহজ ছিল। আবার কারো কারো সিনেমায় গান গাওয়ার সুযোগ মানেই নিজের পরিচিতিটা আরো সহজ করে নেওয়া। কারণ শ্রোতাণ্ডদর্শকের বেতার, টেলিভিশন এবং সিনেমা ছাড়া আর অন্য কোনো মাধ্যমে গান শোনার সুযোগ ছিল না। যে কারণে শিল্পীদের স্বপ্নই ছিল এই তিন মাধ্যমে গান করার। এসব হিসাব-নিকাশের মধ্যদিয়েই এই প্রজন্মের শিল্পীদের গান করতে হয়। এই প্রজন্মের সংগীতশিল্পী কানিজ খাদিজা তিন্নিও এই হিসাবের বাইরে নন। তবে তিনি নিজের মৌলিক গান দিয়েই গায়িকা পরিচিতিটা গড়ে তুলতে চান। যে কারণে সব সময়ই চেষ্টা করেন ভালো ভালো গান করার। তিন্নির কণ্ঠে প্রকাশিত শ্রোতাপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘মেঘমালা’, ‘প্রজাপতি মন’, ‘চেয়েছি তোমায়’, ‘শত শত রাত’, ‘শরৎ আমার স্নিগ্ধতা’ ইত্যাদি। এর মধ্যে ‘শরৎ আমার স্নিগ্ধতা’ দেশাত্মবোধক এই গানটির জন্য তিনি চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে সেরা নবাগত শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। আবার গেল বছরের শেষপ্রান্তে ‘প্রজাপতি মন’ গানের জন্য ‘বিসিআরএ’ (বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েসন)-এর সম্মাননা অনুষ্ঠানে সেরা নবাগত শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হন। ফলে মৌলিক গান করার ক্ষেত্রে একটু বেশিই মনোযোগী হয়ে উঠেছেন তিন্নি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে, একজন সংগীতশিল্পীর মূল পরিচয় নিজের মৌলিক গান দিয়ে। যদিও বা রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণের সময় আমাদের অনেক শ্রদ্ধাভাজন শিল্পীর গান গাইতে হয়েছে। যে কারণে কিছু ভালো ভালো মৌলিক গানের সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে আরো ভালো ভালো মৌলিক গান করার প্রবল ইচ্ছা আছে।’ তিন্নির কণ্ঠে প্রকাশিত ফোক গান ‘শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে’ (কাভার সং) গানটি পাঁচ লাখেরও বেশি ভিউয়ার্স উপভোগ করেছেন।

"