বিনোদন প্রতিবেদক

  ৩১ মার্চ, ২০২৩

‘দিতি নামের এক নায়িকা’

প্রয়াত বরেণ্য চলচ্চিত্রাভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি। রোমান্টিক ছবিতে দিতির ভুবনভোলানো হাসি দর্শকরা এখনো ভোলেননি। ইলিয়াস কাঞ্চন, সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে অনেকগুলো রোমান্টিক ছবিতে অভিনয় করেছেন দিতি। টেলিভিশন থেকে সিনেমায় যাওয়া আফজাল হোসেনের সঙ্গেও। তিনি অভিনয় করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা প্রসেনজিতের সঙ্গে।

আজ ৩১ মার্চ তার জন্মদিন। ২০১৫ সালে সর্বশেষ দিতি তার পরিবার এবং চলচ্চিত্রের বেশ কিছু তারকাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। সে বছরেরই ২৪ জুলাই দিতি অসুস্থ হয়ে ভারতের চেন্নাই যান। কিন্তু চিকিৎসা করালেও পরে তিনি আর সুস্থ হতে পারেননি। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ পরপারে পাড়ি জমান দিতি। গেল ২০ মার্চ ছিল দিতির সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালে ‘শিল্পী সমিতি’র তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর সানী, সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসানের উদ্যোগে দিতির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘শিল্পী হৃদয়ে দিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং পরে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দিতিকে নিয়ে আর তেমন কোনো বিশেষ মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।

এদিকে আজ জন্মদিন উপলক্ষে মায়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন দিতির ছেলে দীপ্ত এবং মেয়ে লামিয়া। দিতি চলে গেছেন সত্যিই। কিন্তু দিতি যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন তার ভক্ত-দর্শক, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবসহ চলচ্চিত্র পরিবারের হৃদয় থেকে হৃদয়ে। খুব ছোটবেলা থেকেই দিতি গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ছোটেবলাতেই তিনি শিশু একাডেমি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হন। যে কারণে নায়িকা হওয়ারও অনেক আগে গায়িকা হওয়ারই ইচ্ছে ছিল তার। বিটিভিতে এক দিন গান গাওয়ার পর চোখে পড়ল আল মনসুরের। তিনি দিতিকে খুঁজে বের করে মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে ‘লাইলী মজনু’ নাটকে কাস্ট করেন। প্রচারের পর দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে এটি। এরপর নতুন মুখের সন্ধানে কার্যক্রমের মাধ্যমে দিতি চলচ্চিত্রে নিজেকে পুরোপুরি জড়িয়ে নেন। প্রথম ছবি ছিল প্রয়াত পরিচালক উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। এ ছবিতে তার নায়ক ছিলেন আফজাল হোসেন। কিন্তু ছবিটির আশি শতাংশ কাজ হলেও শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। দিতি অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ছিল প্রয়াত পরিচালক আজমল হুদা মিঠু পরিচালিত ‘আমিই ওস্তাদ’ ছবিটি। প্রয়াত পরিচালক সুভাষ দত্ত পরচালিত ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য দিতি প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। অনুপমের ব্যানারে দিতির গানের প্রথম একক অ্যালবাম ‘তোমার ও চোখে’ বাজারে আসে। এরপর মাঝে দু-একটি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করলেও আর কোনো অ্যালবাম করা হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিন পর ২০১১ সালে লেজার ভিশনের ব্যানারে বাজারে আসে দিতির দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ‘ফিরে যেন আসি’। এই অ্যালবামটিও বেশ সফলতা পায়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close