ডলি জহুর বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী। গত ৯ মার্চ তিনি ‘২০২১’ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ‘আজীবন সম্মাননা’ গ্রহণ করেন। ‘আজীবন সম্মাননা’ পাওয়ার পর যেন কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা, আগ্রহ আরো বেশিই যেন বেড়ে গেছে ডলি জহুরের। নতুন নতুন ধারাবাহিকে যেমন কাজ করছেন, কাজ করছেন ঈদকে ঘিরেও নাটকে। বলা যায় ‘আজীবন সম্মাননা’প্রাপ্তির পর যেন ডলি জহুরের নতুন করে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হলো। তবে এরই মধ্যে তার অভিনয় জীবনের পথচলার বাইরে নতুন আরো দুটি পরিচয় যুক্ত হলো তার নামের আগে বিশেষণ হিসেবে। তিনি নাট্যকার এবং পরিচালক। প্রথমবারের মতো ডলি জহুর একটি টেলিফিল্ম পরিচালনা করছেন। তার নিজের রচনায় টেলিফিল্মটির নাম ‘দাঁড়কাক’। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে চ্যানেল আইতে প্রচারের জন্য টেলিফিল্মটির নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ করেছেন তিনি। টেলিফিল্মটি শেষ করে খুশি ডলি জহুর। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ডলি জহুর বলেন, ‘দাঁড়কাক টেলিফিল্মটির গল্পটা নিয়ে আমার কিছুদিন ধরেই পরিকল্পনা ছিল। একটা কম্পোর্ট জোনে কাজটি করতে চেয়েছিলাম। যখন চ্যানেল আইয়ের ইবনে হাসান খানের কাছে গল্পটি নিয়ে নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করি, ভাবতে পারিনি এতটা অনুপ্রেরণা পাব। ইবনে হাসান খান এবং সর্বোপরি চ্যানেল আই পরিবারের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সেই সঙ্গে তানজিকা আমিন এবং নতুন অভিনেতা আসাজ জোবায়েরের। আসাজ জোবায়েরের ওপরই মূলত দাঁড়কাকের গল্প এগিয়ে যায়। পুরো ইউনিটের সহযোগিতায় বিশেষ করে তানজিকা আমিন এবং আরো যারা ছিলেন প্রত্যেকেই সহযোগিতা করেছেন। জানি না দর্শকের কাছে কতটুকু ভালো লাগবে। কিন্তু আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকেই টেলিফিল্মটি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছি।’

তানজিকা আমিন বলেন, ‘এটা আমার সৌভাগ্য যে আমাদের সবার প্রিয় ডলি মায়ের প্রথম পরিচালিত টেলিফিল্মে অভিনয় করতে পেরেছি। মা এত আন্তরিকতা নিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন, আশা করা যাচ্ছে এটি একটি ভালো কাজই হয়েছে। আমার অভিনয় জীবনের শুরু থেকেই আমি মার কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়ে আসছি এবং তিনিই প্রথম আমাকে বলেছিলেন চরিত্রের ভেতরে প্রবেশ করে তা নিজের মধ্যে লালন করে তারপর সেই চরিত্রটির মতো করেই অভিনয় করতে হয়। আমি তাই করার চেষ্টা করি আজও।’

"