বিনোদন প্রতিবেদক
ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করলেন অণিমা রায়

ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অণিমা রায়। গেল ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অণিমা রায়ের ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়। গেল ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দীর্ঘ সাত বছরের কষ্টের পর তিনি এই সম্মাননা পত্র হাতে পান। এখন থেকে তার নামের আগে ড. বিশেষণটি সম্মান সূচক হিসেবে বসে, তার নাম হবে ড. অণিমা রায়। একজন শিক্ষক ও শিল্পী হিসেবে অণিমা রায়ের জন্য এটা এক বিশাল প্রাপ্তি। অণিমা রায়ের পরিবারে এবং তার শ্বশুরবাড়ির পরিবারে একমাত্র অণিমা রায়ই এমন ডিগ্রি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাই উভয় পরিবারেই আনন্দের বন্যা বইছে। অণিমা রায়ের স্বামী সাংবাদিক, শিল্পী, সুরকার, উপস্থাপক তানভীর তারেকও তার সহধর্মিণীর এই প্রাপ্তিতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। মায়ের এই বিশাল অর্জন সম্পর্কে অণিমা তানভীরের সন্তান অমিয় এখন তা উপলব্ধি না করতে পারলেও অমিয় মায়ের খুশিতে আনন্দ প্রকাশ করছে। অণিমা রায়ের গবেষণার বিষয় ছিল ‘পঞ্চ গীতিকবির গানে স্বদেশ চেতনা’। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ড. লীনা তাপসী খানের গাইডে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। অণিমা রায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে অনুভূতিটা আসলে মিশ্র। এত কঠিন একটি জার্নি ছিল, যারা এই জার্নির মধ্যদিয়ে এর আগে সময় ব্যয় করেছেন কেবল তারাই জানেন কতটা কষ্টের এই জার্নি। তবে ঈশ্বরের অসীম কৃপায় আমার গবেষণা শেষ করতে পেরেছি এবং সম্মান সূচক ডিগ্রি লাভ করেছি, একজন শিক্ষক হিসেবে আমার পথচলায় অনেক বড় একটি পালক যুক্ত হলো। যখন এই গবেষণার কাজটি শুরু করি তখন আমার বাবা বেঁচে ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে আজ খুব খুশি হতেন। তবে প্রথম সুখবরটি পাওয়ার পর মাকে ফোন করি। দুজনই ফোনের দু’প্রান্ত থেকে চোখের জল ফেলেছিলাম। আমি কৃতজ্ঞ আমার গাইড শ্রদ্ধেয় লীনা তাপসী ম্যাডামের কাছে। আন্তরিক ভালোবাসা প্রকাশ করছি চ্যানেল আই পরিবারের কাছে। আমার যারা ছাত্রছাত্রী তাদের কাছেও আমার এই প্রাপ্তি বিরাট আনন্দের। আমার দীর্ঘ এই সাত বছরের জার্নিতে তানভীর আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। কখনো কোনো কারণে আমার কাজে একটুও ডিস্টার্ব করেনি। সংসার জীবনে শান্তির মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে শান্তিতে থেকে কাজ করে যেতে পারাটাও আশীর্বাদ। তানভীর আমাকে সেই শান্তিটা দিয়েছে। আমি সত্যিই খুব সৌভাগ্যবান যে অবশেষে এই ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করতে পেরেছি।’
"