বিনোদন প্রতিবেদক
কিংবদন্তির ইচ্ছা পূরণ করলেন তারা
বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনের এই মুহূর্তে সবচেয়ে সিনিয়র অভিনেতা মাসুদ আলী খান। জীবন্ত কিংবদন্তি এই অভিনেতার এখন রাজধানীর গ্রিন রোডে নিজ বাসাতেই সময় কাটছে। ৬ অক্টোবর তিনি ৯৩ পেরিয়ে ৯৪-এ পা দিলেন। অনেকেই আবার সার্টিফিকেট অনুযায়ী তাকে ১ ডিসেম্বরও শুভেচ্ছা জানান। মাসুদ আলী খানের ইচ্ছা করে অভিনয় করতে। কিন্তু যদি হুইলচেয়ারে বসে অভিনয় করার তেমন সুযোগ থাকত, তবেই হয়তো তিনি অভিনয় করতে পারতেন। তা না হলে এই জীবনে আর তার অভিনয় করার সুযোগ হবে না।
এরই মধ্যে মাসুদ আলী খান একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, দীর্ঘদিনের কর্মস্থলের অনেককেই দেখতে ইচ্ছা করে, তাদের সঙ্গে গল্প করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমি চাইলেই তো আর হবে না। যাদের দেখতে ইচ্ছা করে তাদেরও তো সময় থাকতে হবে। মাসুদ আলী খানের ইচ্ছা হয়েছিল একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী দিলারা জামান, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি ও অপি করিমকে দেখার। কারণ এই তিনজনই নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখে। মাসুদ আলী খানের এই ইচ্ছার কথা তিনজনকেই জানানো হলে তারা অভি মঈনুদ্দীনেরই উদ্যোগে গেল ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মাসুদ আলী খানের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হন। তিনজনকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন তিনি। ফেলে আসা দিনের নানা গল্পে মেতে ওঠেন। মাসুদ আলী খানের স্ত্রীও সেই আড্ডায় অংশ নেন। টানা প্রায় দুই ঘণ্টা প্রাণবন্ত আড্ডায় ভালোলাগা অনুভব করছিলেন মাসুদ আলী খান।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর দিলারা, সুইটি ও অপিকে দেখে কী যে ভালো লেগেছে তা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। বারবারই মনে হচ্ছিল যে ঈদের আনন্দের মতো সময় কাটাচ্ছি আমি। অভিকে ধন্যবাদ এই উদ্যোগের জন্য। শিল্পীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা যে তারা আমার জন্য সময় বের করে গল্প করতে এসেছিল। সবার ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী হয়ে গেলাম।’
দিলারা জামান বলেন, ‘মাসুদ ভাই আমাদের পরম শ্রদ্ধার মানুষ, সময় সুযোগ পেলে আবার তার কাছে যাব।’ সুইটি বলেন, ‘এমন কিংবদন্তি শিল্পীর সান্নিধ্যে বারবার সময় কাটাতে ইচ্ছা করে। তাকে সময় দিতে পেরে আমি, আমরা গর্বিত।’ অপি করিম বলেন, ‘আমি তো তাকে বাবা বলেই ডাকি। প্রায়ই তার খোঁজখবর রাখি। অনেকদিন পর বাবাকে দেখে, তার সঙ্গে সময় কাটিয়ে ভালো লাগল।’
"