বিনোদন প্রতিবেদক
সুবর্ণা নওয়াদীরের বর্ণাঢ্য জীবন
বাংলাদেশের ফ্যাশন অ্যাডুকেশনে প্রথম ডক্টরেট অর্জনকারী ড. সুবর্ণা নওয়াদীর। এরই মধ্যে উপস্থাপানায়ও অনন্য রেকর্ড স্থাপন করেছেন তিনি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তিনি উপস্থাপনা করে যাচ্ছেন। আবার আট বছর ধরে শান্তা মারিয়ম ইউনিভার্সিটিতে ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিষয়ে নিয়মিত শিক্ষকতাও করছেন। সুবর্ণা জানান, আজ তার কর্ম দিবস। অর্থাৎ আজ থেকে আট বছর আগে এই দিনে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে আরো একটি অনন্য রেকর্ড হলো তার উপস্থাপনায়। গতকাল নেক্সাস টেলিভিশনে ৬৭৬৫তম লাইভ শো শেষ হলো তার। এটি একজন উপস্থাপিকার জন্য সত্যিই অনেক বড় অর্জন। কারণ টিভিতে লাইভ শো করা একজন উপস্থাপিকার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং। আর সেই কাজটি তিনি নিয়মিত করে যাচ্ছেন অনায়াসে। উপস্থাপনায় স্বীকৃতি স্বরূপ সুবর্ণা এরই মধ্যে দশেরও অধিক সংগঠন কর্তৃক শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রথম স্বীকৃতি লাভ করেন ‘বাবিসাস’ থেকে ২০০৭ সালে। সুবর্ণার উপস্থাপনা শুরু হয় মাত্র সাড়ে চার বছরে বাংলাদেশ বেতারে। সেই হিসাবে বিগত ২৮ বছর ধরে উপস্থাপনা করে যাচ্ছেন। তবে ড. সুবর্ণা নওয়াদীরের পেশাগতভাবে উপস্থাপনা শুরু ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এটিএন বাংলায়। দিনটি এ কারণেই তার বিশেষভাবে মনে আছে। কারণ এ দিনেই অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ মৃত্যুবরণ করেন। দেশে-বিদেশে অনেক স্টেজ শোতে সুবর্ণা উপস্থাপনা করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সাত বছর বয়স থেকে তিনি ইউনিসেফের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করেছেন টানা ১০ বছর। একজন সুবর্ণাও জন্য এটাও ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি। জাতীয় শিশু পুরস্কার, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, বিভিন্ন সংগীত ও বিতর্কসহ মোট ৯টি বিভাগে প্রথম এবং দুটি বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। সুবর্না বলেন, ‘উপস্থাপনা এবং শিক্ষকতা দুটোই আমি বেশ উপভোগ করি। এক জীবনে উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে অনেক অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, পেয়েছি বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক স্বীকৃতি। এই প্রাপ্তি জীবনকে আমার কাছে আরো অর্থবহ করে তুলেছে। আবার শিক্ষকতার মতো মহান পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, এটাও যেন এক জীবনের অনন্য প্রাপ্তি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি আমার দায়িত্বে শতভাগই সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। আমার ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব মন দিয়ে পালন করার চেষ্টা করি। আগামী দিনগুলোতেও সবার সহযোগিতা চাই।’
"