বিনোদন প্রতিবেদক
শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি মিলির হাতে

ফারহানা মিলি, মূলত একজন নাট্যাভিনেত্রী। নাটকপ্রেমী দর্শকের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয়। তবে ১৩ বছরেরও বেশি সময় আগে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ সিনেমাতে পরী চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে দর্শককে বিমুগ্ধ করেন তিনি। এরপর তাকে আর সিনেমাতে দেখা যায়নি। বিষয়টি এমন নয় যে তার কাছে নতুন সিনেমার প্রস্তাব আসেনি। এসেছে কিন্তু মৌলিক গল্প নয়। গল্পে নতুনত্ব নেই বলে মিলি এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু তাই বলে থেমে থাকেননি। একের পর এক ভালো ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করেছেন। অনেক অভিনেত্রীর মতো হয়তো দিনের পর দিন কাজ করে যাননি। কিন্তু নিয়মিত অভিনয়টা করে গেছেন।
মিলি একজন শিল্পী হিসেবে দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে গল্প এবং চরিত্র বাছাইয়ের প্রতি মনোযোগী ছিলেন। ‘মনপুরা’ সিনেমাটি কয়েকটি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেও মিলির হাতে একটিও ওঠেনি। অবশ্য এ নিয়ে কোনো আক্ষেপও নেই তার। মিলির ভাষ্য, পুরস্কারের জন্য নয় তিনি অভিনয় করেছেন দর্শকের ভালোবাসার জন্য। এটা তিনি গত ১৩ বছরে প্রমাণ করেছেন। এখনো দর্শক তাকে দেখলে ভালো লাগার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। অন্য দিকে ১৩ বছর পর হলেও এবার ‘মনপুরা’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য ফারহানা মিলির হাতে উঠেছে শ্রেষ্ঠত্বেন স্বীকৃতি।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) স্টারপ্লাস কমিউনিকেশন আয়োজিত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ফারহানা মিলির হাতে ‘এক ছবিতেই ইতিহাস’ শীর্ষক শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। দর্শকের ভালোবাসার এই স্বীকৃতি মিলি গ্রহণ করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার হাত থেকে। এ প্রসঙ্গে ফারহানা মিলি বলেন, ‘একজন অভিনেত্রী হিসেবে যত দিন ধরে অভিনয় করছি, নিজের ভালো লাগা থেকে অভিনয়টা ভালোভাবে করার চেষ্টা করেছি। স্ক্রিপ্ট পড়ে ভালো না লাগলে তাতে কাজ করার জন্য মন সায় দেয়নি। মনপুরাতে অভিনয় করা আমার অভিনয় জীবনের জন্য অবশ্যই অনেক বড় একটি প্রাপ্তি। ১৩ বছর পর রুনা লায়লা ম্যাডামের হাত থেকে এই প্রাপ্তির সম্মাননা গ্রহণ সত্যিই ভীষণ সৌভাগ্যের। আমি অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অভি মঈনুদ্দীন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। সেইসঙ্গে দর্শকের প্রতি রইল অনেক অনেক ভালোবাসা। তারা আমাকে তাদের ভালোবাসা দিয়ে ঋণী করে রেখেছেন।’
"