বিনোদন প্রতিবেদক

  ০৪ অক্টোবর, ২০২২

এক জীবনে বড় প্রাপ্তি মিলির

বর্তমানে সিনেমার ব্যবসা সফল কিংবা দর্শকপ্রিয়তার কথা উঠলে অনেকে ফারহানা মিলি অভিনীত গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘মনপুরা’ সিনেমার দৃষ্টান্ত টেনে আনেন। সবাই বলেন, ‘আরেক টা মনপুরা কি হবে না’। আবার কেউ কেউ এমনও বলেন, ‘মনপুরার মতো এমন সুপারহিট সিনেমা আর হবে কি-না সন্দেহ আছে’।

দীর্ঘ ১৩ বছর পরও ‘মনপুরা’র জন্য দেশে বিদেশ থেকে প্রশংসার বাক্য শুনেন ফারহানা মিলি। দেখা গেছে, হয়তো বা কোথাও গল্প করছেন বা আড্ডা দিচ্ছেন। তখন কেউবা এসে তাকে বলেই ফেলেন, ‘আপনি ফারহানা মিলি না?’ মিলি শুধু মুচকি হেসেই তার উত্তর দেন। যেহেতু দীর্ঘ ১৩ বছর পেরিয়ে গেছে সিনেমাটি মুক্তির, তাই অনেকেই ভাবতে পারেন হয়তো বা এই সিনেমায় পরী চরিত্রে মিলির অভিনয়ের কথা অনেকেই ভুলে গেছেন। কিন্তু তা হয়নি। এখনো সিনেমা পাড়ায়, শিল্পীদের আড্ডায়, সিনেমা হল মালিকদের প্রত্যাশার বাণীতে ‘মনপুরা’র দৃষ্টান্ত বারবার ওঠে আসে।

শিল্পীদের অনেকেরই ‘মনপুরা’র মতো সিনেমায় অভিনয় করার স্বপ্ন। কারণ প্রত্যেক শিল্পীই এমন সিনেমাতে অভিনয় করে যুগের পর যুগ তার শিল্পীসত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখতে চান। অথচ ‘মনপুরা’তে মিলির অভিনয়ের করার কথা ছিল না, কিন্তু ‘মনপুরা’তে অভিনয় করে মিলি বাংলাদেশের সিনেমায় ইতিহাস হয়ে গেলেন। একজন শিল্পীর জীবনে এটাই বা এক জীবনে কম কী সে। ফারহানা মিলি বলেন, ‘সত্যি বলতে কী দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মনপুরা নিয়ে আমাকে অসংখ্য দর্শক ও ভক্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যারা আমাকে চিনতে পারেন তারা এত আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলেন- আমি সত্যিই বিস্মিত হই। মনপুরা আসলে অভিনেত্রী হিসেবে এমন কিছু মানুষের মনে গেঁথে দিয়েছেন যারা সত্যিকার অর্থেই মনপুরার পরী চরিত্রটিকে ভালোবেসেছেন, আমাকে ভালোবেসেছেন। আমি তাদের ভালোবাসাকে উপলব্ধি করতে পারি। এক সিনেমা দিয়েই একজন শিল্পীর জীবনে এত প্রাপ্তি ঘটতে পারে, আমি নিজেই তার উদাহরণ। মানুষের ভালোবাসাতেই আসলে শিল্পী তার জীবনের স্বার্থকতা খুঁজে পায়, যেমনটা আমি পেয়েছি।’

সম্প্রতি মিলি এবি রোকনের পরিচালনায় ‘বিয়ে বাণিজ্য’ নাটকের কাজ শেষ করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close