সুইডেনের স্টকহোমে দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন বাংলাদেশের সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা, দর্শক এখনো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেই ‘ভ-’খ্যাত নায়িকা তামান্নাকে। গত বছরের ২৬ নভেম্বর ভারতের গুজরাটি বংশোদ্ভূত সুইডিশ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ দাহইয়াকে বিয়ে করেন তামান্না। স্বামীকে নিয়ে বেশ সুখেই আছেন তিনি। তামান্না যেখানে বসবাস করছেন অর্থাৎ সুইডেনের স্টকহোমের গুব্বাগেন স্কুল মিলনায়তনে একটি শোতে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকে চারজন মিউজিসিয়ানসহ অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের এই প্রজন্মের নন্দিত সংগীতশিল্পী নিশীতা বড়ুয়া। শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর এই শোতে নিশীতা বড়ুয়া টানা দেড় ঘণ্টা গানে গানে মুগ্ধতা ছড়ান গুব্বাগেন স্কুল মিলনায়তনে আসা সব শ্রোতা দর্শককে। সেই শোতে আমন্ত্রিত ছিলেন তামান্না ও তার স্বামী। তারা দুজন শুরু থেকেই অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা থেকেই সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনের সমন্বয়ে তামান্না ও নিশীতার দেখা হয়, কুশল বিনিময় শেষে দুজন দুজনের সঙ্গে গল্প করেন। স্টকহোমে তামান্নার সঙ্গে দেখা হবে এমনটা নিশীতার ভাবনায়ও ছিল না। আবার ঢাকা থেকে নিশীতার স্টকহোমে আসা এবং তার গান উপভোগ করা, তার সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি তামান্নার কাছেও ছিল ভালো লাগার। কারণ দীর্ঘদিন পর ঢাকার শোবিজের কারো সঙ্গে দেখা হলো।

তামান্না বলেন, ‘আমি আগে থেকেই অবগত ছিলাম যে গুব্বাগেন স্কুলে একটি অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। আমি এবং আমার স্বামী আমন্ত্রিত ছিলাম। পরবর্তী সময়ে ঢাকা থেকে সাংবাদিক অভি ভাই যোগাযোগ করার কারণে এবং নিশীতার কথা বলায় অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হলাম। কারণ দেশের বাইরে দেশের সংগীতশিল্পীর গান শুনব- এটা ছিল অন্যরকম ভালো লাগার। যাইহোক, অনুষ্ঠানে নিশীতার গান উপভোগ করেছি আমি এবং আমার স্বামী। বেশ ভালো লেগেছে। আর অনুষ্ঠান শেষে নিশীতার সঙ্গে দেখা হলো, কথা হলো। স্টকহোমের মাটিতে যেন হঠাৎ করেই এক টুকরো বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। নিশীতাকে ধন্যবাদ।’ নিশীতা বলেন, ‘এর আগেও সুইডেনে শো করেছি। কিন্তু এবারই প্রথম আমি চারজন মিউজিসিয়ানসহ শো করেছি। যে কারণে এই অনুষ্ঠানটি ছিল আমার কাছে ভালো লাগার। কারণ আমি পণ করেছিলাম যে মিউজিসিয়ানসহ দেশের বাইরে যাব। না হলে যাব না। যাইহোক একটি সফল অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছি। আর অনুষ্ঠান শেষে আমাদের বাংলাদেশের সিনেমার নন্দিত নায়িকা তামান্না আপুর সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগলো। আমার জানা ছিল না তিনি সুইডেন থাকেন। অভি ভাই আমাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তার সঙ্গে দেখা হয়ে, কথা বলে ভীষণ ভালো লাগল। কী ভীষণ মিষ্টি তিনি, আর কী যে মায়া ভরা কথা তার। সময়টা অল্প হলেও সত্যিই দারুণ কেটেছে। স্মরণীয় হয়ে থাকল এবারের সুইডেনের শো।’

"