বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০২২

অভিনয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে নায়ক আলমগীর

একজন নায়ক হিসেবেই আন্তর্জাতিকভাবে তিনি সমাদৃত। পাশাপাশি একজন প্রযোজক, পরিচালকও বটে। আলমগীর আদ্যোপান্ত একজন সিনেমার মানুষ, সিনেমাপ্রেমী মানুষ। এই সময়ে এসেও অনেকের মাঝে সিনেমা নিয়ে হতাশা দেখা গেলেও তিনি এত কিছুর পরও সিনেমায় আশার আলো দেখেন। তিনি বিশ্বাস করেন সিনেমায় সুদিন ফিরবেই। শুধু সিনেমার প্রত্যেকটি সেক্টরে সবার আন্তরিক অংশগ্রহণটাই জরুরি।

নায়ক আলমগীর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অভিভাবক। সিনেমা সংশ্লিষ্ট নানা সমস্যায় সবাই তার কাছেই সমাধান খুঁজেন। কারণ তিনিই বাংলাদেশের বর্ষীয়ান ও বরেণ্য অভিনেতা। একজন আলমগীর নীরবে নিভৃতে যেমন সিনেমার মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন, ঠিক তেমনি সাধারণ মানুষেরও বিপদে পাশে থেকেছেন। এ কারণেই তিনি আলাদা। এ কারণেই তিনি মহামানব, সিনেমার মহানায়ক। তবে নিজেকে নিয়ে অভিনয়ের বাইরে অন্য কিছু নিয়ে তার কোনো রকমের প্রচারণাও ছিল না। শুধু অভিনয়কেই ভালোবেসে একজন অভিনেতা হওয়ারই চেষ্টা করেছেন তিনি। অভিনয়ের জন্য কোনো বিশেষণও তাকে পুলকিত করে না। বাংলাদেশের সিনেমার এই নন্দিত অভিনেতা আজ তার অভিনয় জীবনের সুবর্ণজয়ন্তী পূরণ করেছেন। কলেজ জীবনে নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭২ সালের ২৪ জুন আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘আমার জন্মভূমি’ সিনেমায় প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। ১৯৭৩ সালের মাঝামাঝিতে ‘আমার জন্মভূমি’ মুক্তির আগেই সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া’র ‘দস্যুরানী’, আজিজুর রহমানের ‘অতিথি’, আলমগীর কুমকুমেরই ‘মমতা’ ও মোহর চাঁদের ‘হীরা’ সিনেমায় কাজ শুরু করেন। ১৯৭৩ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘আমার জন্মভূমি’ এবং ২৮ অক্টোবর মুক্তি পায় ‘দস্যুরানী’। এরপর থেকে আজ অবধি ২২৫টিরও বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন।

বাংলাদেশে জুটি হিসেবে আলমগীর-শাবানাই (১০৬টি সিনেমা) সবচেয়ে বেশি সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘ঝুমকা’। পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নিষ্পাপ’। মোস্তফা মেহমুদের ‘মনিহার’ সিনেমায় তিনি প্রথম গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সত্য সাহার সুরে প্লে-ব্যাক করেন। কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছেলে’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর আরো আটবার (বাংলাদেশের নায়কদের মধ্যে সর্বোচ্চ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। আলমগীর পরিচালিত সর্বশেষ সিনেমা ‘একটি সিনেমার গল্প’। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘আজীবন সম্মাননা’প্রাপ্ত নায়ক। নায়ক আলমগীরের অভিনয় জীবনের সুবর্ণজয়ন্তীতে তার স্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, তার বেশকিছু সিনেমার নায়িকা ববিতা ও তার কন্যা জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীর নায়ক আলমগীরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close