২০০৯ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই’ প্রতিযোগিতায় সেকেন্ড রানারআপ হয়েছিলেন সাদিকা স্বর্ণা। একই ব্যাচ থেকে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন মেহ্জাবীন চৌধুরী, অর্ষা, ইশানা, তাহসিনসহ বেশ কয়েকজন। চুপচাপ ও শান্তশিষ্ট স্বভাবের স্বর্ণা নিজের মতো করেই চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্বর্ণার আজকের এই অবস্থানে আসার নেপথ্যে রয়েছে তার বাবা-মার প্রবল ভূমিকা। আর এরই মধ্যে তার মা নীলিমা আখতারের দীর্ঘ তিন দশকের শিক্ষকতা জীবনে ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষক’ হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্তির ঘোষণায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত স্বর্ণা।

স্বর্ণার মা নীলিমা আখতারের শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পিডব্লিউডি স্কুলে শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে প্রমোশন পেয়ে তিনি চলে যান চট্টগ্রামের কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেখানেই সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ২৫ বছর শিক্ষকতা করে আসছেন। এরই মধ্যে কাপ্তাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ইউএনও কর্তৃক এক চিঠি মারফত নীলিমা আখতার অবগত হন যে, তিনি ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষক’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবরটি শোনার পর তিনি যেমন আনন্দিত হয়েছেন, মায়ের এই সাফল্যে স্বর্ণা আরো অনেক বেশি আনন্দিত ও গর্বিত হয়েছেন।

নীলিমা আখতার মুঠোফোনে কাপ্তাই থেকে বলেন, ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্তি, অবশ্যই ভালো লাগার। যদিও আমার ছাত্রছাত্রীরা বলে যে, তারা আমাকে অনেক আগেই শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা দিয়েছে, এটাই আমার অনেক ভালো লাগার। তবে অফিশিয়ালি একটি স্বীকৃতিও অনেক বড় বিষয়। এটাও ভীষণ ভালো লাগার। যারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন বাকিটা জীবন ঠিকঠাকমতো দায়িত্ব পালন করে যেতে পারি।’

সাদিকা স্বর্ণা বলেন, ‘একজন সন্তান হিসেবে মায়ের এই প্রাপ্তি আমার জন্য ভীষণ গর্বের। আমার মা একজন মানুষ হিসেবে অসাধারণ। আমার মা বলেই বলছি না। তার শিক্ষার্থীরা তা বেশ ভালোভাবেই অবগত। তিনি তার পেশায় ভীষণ সৎ, নিষ্ঠাবান এবং পুরোপুরি দায়িত্বশীল। যে কারণেই তিনি অনেক আগেই ছাত্রছাত্রীদের কাছে প্রিয়তর হয়ে উঠেছেন। আর এখন অফিশিয়ালি স্বীকৃতি পেলেন মা। এটা সত্যিই ভালো লাগার। সন্তান হিসেবে আজ আমি আরো অনেক বেশি গর্বিত। আমার বাবা-মায়ের জন্য দোয়া করবেন সবাই।’ লাক্সতারকা হওয়ার আগেই স্বর্ণা আফসানা মিমির ‘কাছের মানুষ’ ও শামীম শাহেদের ‘একবার মুগ্ধ হতে চাই’ নাটকে অভিনয় করেন।

"