বিনোদন প্রতিবেদক

  ১৬ মে, ২০২২

প্লেব্যাক আর বাড়িতেই কাটছে কনার সময়

বাংলাদেশের সিনেমার গানে এ সময়ের নির্ভরযোগ্য শিল্পী কনা। আগের দিনের সিনেমায় যেমন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীনের গান থাকাটাকে প্রযোজক পরিচালক যেমন আশীর্বাদ মনে করতেন। পরে কনকচাঁপার গান যেমন ছিল, সেই ধারাবাহিকতায় ন্যান্সির মিষ্টি কণ্ঠের চাহিদাও ছিল ব্যাপক। সময়ের ধারাবাহিকতায় এবার নিজেকে সেই অবস্থানে নিজেকে নিয়ে এসেছেন কনা। এখানে যে পাঁচজন গায়িকার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পাঁচজনই সিনেমায় গান গেয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। কনা প্রথমবারের মতো চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমায় কবির বকুলের লেখা ও ইমরান মাহমুদুলের সুর করা ‘তুই কী আমার হবিরে’ গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। আবার কিছুদিন আগে কনার বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য তার মা লুৎফুন নাহার প্রথমবার ‘মা পদক-২০২২’-এ ভূষিত হন।

কনার আপাতত স্টেজ শোতে ব্যস্ততা নেই। তবে ব্যস্ত আছেন একের পর এক সিনেমার গান নিয়ে। এরই মধ্যে তিনি ‘জল জোছনা’সহ রুকাইয়া জাহান চমকের সিনেমায় গান গেয়েছেন। শিগগিরই জাহিদ হোসেনের ‘সুবর্ণভূমি’ ও রায়হান রাফির ‘দামাল’ সিনেমায় গান গাইবেন। এ ছাড়া ভয়েস ওভার নিয়ে তো ব্যস্ততা রয়েছেই। রয়েছে জিঙ্গেলে ব্যস্ততা। আর ঈদের পর সময় সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে যাচ্ছেন বাবা-মা সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ডোয়াই বাড়িতে। এটা তাদের গ্রামের বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে নির্মল পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে কনার। কনা বলেন, ‘যখন স্টেজ শো নিয়ে কোনো রকম ব্যস্ততা থাকে না, তখন প্লেব্যাক নিয়ে ব্যস্ত থাকি। পাশাপাশি ভয়েস ওভার, জিঙ্গেল নিয়েও ব্যস্ততা থাকে। এরই মধ্যে কয়েকটি সিনেমায় গান গেয়েছি। সামনে আরো কয়েকটি গান গাইব। এরমধ্যে একটু বিরতি পেয়েছি। বাবা-মা নিয়ে ডোয়াই বাড়িতে চলে এসেছি। এখানেই নিরিবিলি কাটছে সময়। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে কলকাতার নজরুল মঞ্চে শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে ‘টেলিসিনে’ (আন্তর্জাতিক সম্মাননা) অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। সেসময় নজরুল মঞ্চে আজীবন সম্মাননা পেয়েছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close