বিনোদন প্রতিবেদক

  ২৭ জানুয়ারি, ২০২২

নাসিমকেই চাইছেন ছোট পর্দার শিল্পীরা

আহসান হাবিব নাসিম, একজন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ও সফল সংগঠক। ১৯৯৮ সালে ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’-এর যাত্রা হয়। ২০০২ সালে প্রথম এই সংঘের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয় ফেরদৌসী মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তৌকীর আহমেদকে। সেই সময়ে আহসান হাবিব নাসিম ছিলেন এ সংঘের একজন কর্মী। ২০০৯ সালে যখন আলী যাকেরকে সভাপতি এবং তুষার খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করে ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’-এর যাত্রা হয়, তখন নাসিম ছিলেন দপ্তর সম্পাদক। তখন থেকেই তিনি শিল্পীদের নানা সমস্যা, রাষ্ট্রের প্রতি শিল্পীর দায়িত্ব, শিল্পীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব- এসব বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। বহু বছর পর্যবেক্ষণের পর ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে তিনি পরপর দুটি সেশনে অর্থাৎ ২০১৭-২০১৯ এবং ২০১৯-২০২১ সালের জন্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। একজন আহসান হাবিব নাসিম ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’-এর দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিনয় শিল্পী সংঘর সার্বিক চেহারাই বদলে যায়। শিল্পীদের নানা সমস্যা দূরীকরণে তিনি দিনের পর দিন যে শ্রম দিয়েছেন, নানা দুঃসময়ে শিল্পীদের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছেন, তা অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যে কারণে একজন আহসান হাবিব নাসিম হয়ে উঠেছেন সব শিল্পীর প্রিয় একজন মানুষ, প্রিয় একজন সাংগঠনিক শিল্পী। আর তাই এবারের অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ের ব্যাপারে শিল্পীরাই অর্থাৎ বলা যায় ৭৫০ জন ভোটারের সবাই নাসিমের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন যে, তিনিই হতে যাচ্ছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচিত সভাপতি।

আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘পরপর দুবার এই সংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। শিল্পীদের নানা সমস্যায় নিজের কাজকে পাশে রেখে শিল্পীর সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করেছি। গত দুই সেশনে অনেক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তার পরও মনে হচ্ছে যে, শিল্পীদের মধ্যে জেনারেশন টু জেনারেশন একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। আবার শিল্পীদের প্রকৃত চাওয়া কী, সেটাও পরিষ্কার নয়। যে কারণে শিল্পীতে শিল্পীতে দূরত্ব, তাদের চাওয়া কী, এসব বিষয় সমন্বয় করার পাশাপাশি শিল্পীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা থাকবে আমার আগামীতে। অবশ্যই আমি অভিনয় শিল্পী সংঘ পরিবারের কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ আমার উপর আস্থা রাখার জন্য।’

এদিকে এবারের অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে ২১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন প্রার্থী। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছেন খায়রুল আলম সবুজ, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আছেন নরেশ ভূঁইয়া ও মাসুম আজিজ, আপিল বোর্ডের প্রধান হিসেবে আছেন মামুনুর রশীদ, সদস্য হিসেবে আছেন বৃন্দাবন দাস ও অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close