বিনোদেন প্রতিবেদক

  ১০ অক্টোবর, ২০২১

‘শ্রাবণ জ্যোৎস্না’ সিনেমায় গাইলেন অনিমা রায়

অনিমা রায়, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের এমন একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী যার গানে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছেন রবীন্দ্রপ্রেমী সব বয়সি শ্রোতা। রবীন্দ্র সংগীতের প্রতি পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থেকেই একজন নিবেদিত শিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনিমা রায়। যে কারণে তার জীবনের সবকিছু জুড়েই রবীন্দ্রনাথ। এবারই প্রথম অনিমা রায় সরকারি অনুদানের কোনো সিনেমায় একসঙ্গে বেশ কয়েকটি রবীন্দ্র সংগীত গাইবার সযোগ পেলেন। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্না’ গল্প অবলম্বনে সরকারি অনুদানে সিনেমা নির্মাণ করছেন ফারুক-নিপা মোনালিসা অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা ‘ঝিনুক মালা’খ্যাত পরিচালক আবদুস সামাদ খোকন। গান তৈরির পাশাপাশি বর্তমানে শিল্পী নির্বাচনের কাজ চলছে। একই সিনেমায় রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া নিয়ে ভীষণ আবেগাপ্লুত অনিমা রায়।

তিনি বলেন, ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্না সিনেমার পরিচালক শ্রদ্ধেয় আবদুস সামাদ খোকনের রবীন্দ্রনাথের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা আছে বলেই আমাকে দিয়ে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ানোর আগে গানগুলো নিয়ে তিনি স্টাডি করেছেন। আমার সঙ্গে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছেন, যা তিনি না করলেও পারতেন। তার মধ্যে তরুণদের মতো যে উদ্দামতা আমি দেখেছি, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সিনেমাটিতে গল্পের প্রয়োজনেই রবীন্দ্রনাথের গানের অসাধারণ প্রয়োগ হতে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের সিনেমায় সম্ভবত এভাবে এই প্রথম রবীন্দ্র সংগীতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে সিনেমায় ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান, লালন ফকিরের গানও ব্যবহার করা হচ্ছে। শ্রদ্ধেয় মিল্টন খন্দকারের সংগীত পরিচালনায় যারা যন্ত্রশিল্পী হিসেবে ছিলেন, তারাও একনিষ্ঠভাবে নিজ নিজ কাজটুকু করেছেন। আর শ্রদ্ধেয় ইমদাদুল হক মিলন কত যে অসাধারণভাবে গল্প বলেন তা যারা গল্পটি পড়েছেন- তারা অনুভব করতে পারবেন।’

অনিমা রায় প্রথম মৌসুমী অভিনীত ‘লিডার’ সিনেমায় গান গেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালিত ‘আমি কমলা’ ও অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’ সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছেন। প্রত্যেকটি সিনেমাতেই তিনি রবীন্দ্র সংগীতই গেয়েছেন। এর আগে কলকাতার সিনেমা ‘রি-ইউনিয়ন’-এ তিনি জয় সরকারের নতুন সংগীতায়োজনে ‘হৃদয়ের একুল ওকুল’ গানটি গেয়েছিলেন। এদিকে অনিমা রায় জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে তিন বছর নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৯ সালের ৯ জুলাই সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close