নাটকে এই প্রজন্মের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। অভিনয়ে সুপ্ত প্রতিভা ছিল বলেই অল্প সময়ে দর্শকের ভীষণ প্রিয় একজন অভিনেত্রীতে নিজেকে পরিণত করতে পেরেছেন। দর্শকের পছন্দ কিংবা ভালো লাগাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে এখন নির্মাতাদেরও শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফারিণ প্রথম পছন্দ। তবে সব সময়ের মতোই ফারিণ গল্পের প্রতি ভীষণ মনোযোগী। সেসঙ্গে চরিত্রের প্রতিও। ফারিণ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব আসছে তাতে নিজেকে নিয়ে ভাবেননি তিনি। অনেক জনপ্রিয়তায় থেকেও এখনো অতিসাধারণ ফারিণ, ঠিক যেন আগেরই মতো। শিল্পী, পরিচালকদের কাছে শোনা যায় জনপ্রিয়তার তকমা গায়ে লাগলেও একটুও বদলায়নি, অহংকারও তৈরি হয়নি।

ফারিণ বলেন, ‘শুরুতে কাজের প্রতি যে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, অধ্যবসায় এবং একাগ্রতা ছিল; এখনো তাই আছে বরং আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ব্যক্তি ফারিণ যেমন ছিলাম, তেমনই আছি। আর অহংকার বিষয়টি এমন নয় যে, কাউকে বেশি দিন বাঁচিয়ে রাখবে। অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে এসেছি। সবার সঙ্গে ভালোভাবে মিলেমিশে থাকাটাই সর্বোত্তম।’ ফারিণ এরই মধ্যে শেষ করেছেন আলমগীর রুম্মান, মোস্তফা কামাল রাজের নাটক। শিগগিরই অংশ নেবেন মেহেদী হাসান হৃদয়, এমআই জুয়েলের নাটকের কাজে।

এদিকে ফারিণকে দর্শকের কাছে প্রথম বেশি সমাদৃত করে বা আলোচনায় নিয়ে আসে অমির ‘এক্স বয়ফ্রেন্ড’ নাটকটি। তবে তার অভিনয় দক্ষতা সম্পর্কে দর্শক অবগত হন শহীদ উন নবীর ‘আগুনের দিন শেষ হবে এক দিন’ ও মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘জানবে না কোনো দিন’ নাটকে। ২০২০ সালের রোজার ঈদটা ছিল মূলত ফারিণের আলোচনায় আসার শ্রেষ্ঠ সময়। সেসময় ফারিণ অভিনীত ১৬টি নাটক প্রচার হয়। একেকটি নাটকে একেকরকম চরিত্রে অভিনয়ে নিজেকে প্রমাণের সর্বোচ্চ চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে গেল ঈদে শিহাব শাহীনের ‘কমলা রঙের রোদ’, হিমির ‘২১ বছর পর’, অমির ‘আপন’ এবং বান্নাহর ‘মায়ের ডাক’-এ নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যান ভার্সেটাইল চরিত্রে অভিনয় করে। তবে ফারিণের ভাষ্যমতে, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’-এ অভিনয় করে তিনি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছেন। এরই মধ্যে মিজানুর রহমান আরিয়ানের ওয়েব ফিল্ম ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’তেও অভিনয় করেছেন তিনি।

"