ছোটবেলায় স্কুলে এবং পরবর্তীকালে কলেজের স্টেজে উপস্থাপনা করতেন নন্দিত অভিনেত্রী ফারহানা মিলি। যে বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সে বছরই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন ফারহানা মিলি। আবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে পড়ার সময় একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে এক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারই শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম আল দীন তাকে উপস্থাপনা করতে নিষেধ করেছিলেন। বরং উপস্থাপনার চেয়ে অভিনয়েই তাকে মনোযোগী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। যে কারণে পরে আর কোনো দিনই ফারহানা মিলিকে উপস্থাপনায় দেখা যায়নি।

কিন্তু ২০২১ সালটা মিলির নিজের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। তাই দীপ্ত টিভি থেকে আসা একটি রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার প্রস্তাব ফিরিয়ে না দিয়ে তিনি সেই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার কাজ শুরু করেছেন। দীপ্ত টিভিতে রমজানের প্রথম দিন থেকেই প্রচার শুরু হয়েছে রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্বাদের রান্না’। প্রতিদিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে দীপ্ত টিভির পর্দায় তাই এখন নিয়মিত অর্থাৎ টানা এক মাস ফারহানা মিলিকে উপস্থাপনায় দেখা যাবে। এরই মধ্যে লকডাউনের আগে ১৪-১৫টি পর্বের দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। বিশ^বিদ্যালয় জীবনের পরবর্তীকালে দীর্ঘ সময় পর উপস্থাপনা করা প্রসঙ্গে ফারহানা মিলি বলেন, ‘২০২১ সালটা আমার জন্য নতুন একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছি আমি। অভিনয়ের বাইরে যেসব বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে, কিন্তু নানা কারণে করা হয়ে উঠেনি, সেসব বিষয়ে নিজেকে নতুন করে আবার দেখতে চাই। বেশ ভালোভাবে সেসব কাজ করতে চাই। চ্যালেঞ্জেরই একটি অংশ দীর্ঘ সময় পর উপস্থাপনা করা। বিভিন্ন সময়ে আমাকে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু আমিই বারবার এড়িয়ে গেছি। কারণ সেলিম আল দীন স্যার আমাকে উপস্থাপনা করতে নিষেধ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, তুই পারিস না, তোকে দিয়ে হবে না। তুই বরং অভিনয়টাই মনোযোগ দিয়ে কর। যে কারণে এত দিন উপস্থাপনা থেকে দূরে ছিলাম। কিন্তু স্বাদের রান্না অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে বেশ ভালো লাগছে। একদমই কোনো রকম জড়তা নেই। বেশ ভালোভাবেই উপস্থাপনা করছি। প্রচারের পর টুকটাক সাড়াও পাচ্ছি। সামনে হয়তো উপস্থাপনায়ও নিয়মিত হব। বাকিটা সময়ের ওপর নির্ভর করছে।’

এদিকে এরই মধ্যে ফারহানা মিলি এশিয়ান টিভিতে প্রচার চলতি ‘গোবিন্দপুরের গল্প’ ধারাবাহিকে যুক্ত হয়েছেন। এই নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এটি নির্মাণ করছেন সোহেল রানা ইমন।

"