বিনোদন প্রতিবেদক
ভালোবাসার চাদরে সিক্ত হলেন তিনি
একজন বরেণ্য, সমাদৃত গীতিকার হিসেবে দীর্ঘ প্রায় ছয় দশকের পথচলায় কোনো অনুষ্ঠানে তিনি সবার ভালোবাসার চাদরে আবৃত হয়ে অশ্রুসিক্ত হননি। কিন্তু ৭৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ছেলে উপল ও মেয়ে দিঠি আয়োজিত ‘অল্প কথার গল্প গান’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষের ভালোবাসায় বিস্মিতই হলেন উপমহাদেশের বরেণ্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ছিল তার ৭৮তম জন্মদিন। আর সেদিনই উপল ও দিঠির উদ্যোগে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে তাদের বাবার জন্মদিন এবং জন্মদিন উপলক্ষে বাবার লেখা প্রথম বই ‘অল্প কথার গল্প গান’ প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত প্রায় সবাই উপস্থিত হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যাটিকে এক কালজয়ী সন্ধ্যাতে রূপান্তর করেছিলেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সাফি চৌধুরী, চিত্রনায়ক উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, ওমর সানী, বাপ্পারাজ, শাকিব খান, অনন্ত, সম্রাট, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, রোজিনা, অরুণা বিশ^াস, প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, অভিনেত্রী তারিন জাহান, সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, লিনু বিল্লাহ, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, ফাহমিদা নবী, সামিনা চৌধুরী, কুমার বিশ^জিৎ, রুমানা ইসলাম, কনকচাঁপা, আসিফ আকবর, অনুপমা মুক্তি, শরীফ রাজকুমার, আঁখি আলমগীর, দিনাত জাহান মুন্নী, সোহেল মেহেদী, মুহিন, ইউসুফ, সাব্বির, রাশেদ, লুইপা, হৈমন্তী, মোমিন বিশ্বাস, কোনাল, বনি, সংগীত পরিচালক আলম খান, মইনুল ইসলাম খান, ফোয়াদ নাসের বাবু, ফরিদ আহমেদ, মিল্টন খন্দকার, জাভেদ আহমেদ কিসলু, ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা, র্যাম্পতারকা টুম্পা, গীতিকার কবির বকুলসহ আরো অনেকে।
দেবাশীষ বিশ^াস-শান্তা জাহানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান শুরু হয় রাত ৮টায় দিঠির ছেলে আদিয়ানের পিয়ানোতে তারই নানা গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গান দিয়ে। এর পরপরই মঞ্চে উঠে এসে উপলের মেয়ে আরশিয়া দাদার লেখা ‘সারেগামাপাধা, আমার দাদি দাদা’ গানটি গেয়ে শোনায়। এর পরপরই খন্দকার মনিরুল ইসলামের প্রকাশনা সংস্থা ‘ভাষাচিত্র’ থেকে প্রকাশিত ‘অল্প কথার গল্প গান’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয় উপল-দিঠির মা জোহরা গাজীসহ সবার উপস্থিতিতে। কেক কেটে জন্মদিনও উদযাপন করা হয়। সবার ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত, অশ্রুসিক্ত গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘আমার ছেলেমেয়ের স্বপ্নপূরণ হলো এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে। তাদের চোখে-মুখে আনন্দের যে রেশ দেখেছি, তা আমাকে কতটা যে আনন্দ দিয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশের নয়। আমি বা আমার ছেলেমেয়ে যাদেরই নিমন্ত্রণ করেছিল তারা প্রত্যেকেই বলা চলে এসেছিলেন এবং আমাকে শুভ কামনা জানিয়ে গেছেন। আমি তাদের প্রতি ঋণী। একটি সুসম্পন্ন-সুসজ্জিত আয়োজিত অনুষ্ঠান অনেক সময়ই ভালোবাসার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে, অল্প কথার গল্প গান যেন সেই দৃষ্টান্তই হয়ে রইল সবার উপস্থিতিতে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী বলেন, ‘বাবার স্নেহই পেয়ে এসেছি তার কাছ থেকে আজীবন। তাই তার এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারাটা ছিল আমার দায়িত্ব, কর্তব্য। ধন্যবাদ উপল ও দিঠিকে।’
শাকিব খান বলেন, ‘বাংলা সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি গর্বিত।’
"