বিনোদন প্রতিবেদক
আলমগীরের অন্যরকম ইতিহাস
এ সময়ের মেধাবী এক মিউজিশিয়ান মো. আলমগীর হোসেন। বাংলাদেশের অনেক কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীসহ এ প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গেও স্টেজ শো, টিভিতে ড্রামস বাজিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন তিনি। বলা যায়, দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আলমগীর একজন ড্রামার হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু দুই বছর ধরে আলমগীর সংগীতাঙ্গন নিয়ে একটি ভিন্ন রকমের স্বপ্ন দেখে আসছিলেন। মূলত ফোকগান নিয়েই ছিল আলমগীরের সেই স্বপ্ন। কিন্তু নানা ব্যস্ততা এবং সর্বোপরি করোনায় বিপর্যস্ত সময়ের কারণে সেই পরিকল্পনা কিছুটা পিছাতে হলো তাকে। কিন্তু আর কত দিন এভাবে? তাই করোনার মধ্যেই অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিজের সেই স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন আলমগীর। বাংলাদেশের ফোকগানকে শিল্পীদের কণ্ঠে আবারও নতুন আয়োজনে তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ইউটিউবে প্রকাশ করবেন। তবে এখানেই ব্যতিক্রম আলমগীর। গানটি ভিডিওতে ধারণ করার পূর্বে তার নিজস্ব স্টুডিওতে বসে শিল্পী এবং মিউজিশিয়ান প্রচলিত সুর ঠিক রেখে নতুন করে মিউজিক কম্পোজিশন করবেন। তারপর মোটামুটি সবাই প্রস্তুত হয়ে গেলে গানটির অডিও-ভিডিও এক টেকেই ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে এভাবে একটেকে গান রেকর্ড এবং মিউজিক ভিডিও নির্মাণ এবারই প্রথম। আর এই ঐতিহাসিক সূচনা হলো মিউজিশিয়ান আলমগীরের হাত ধরেই। কারণ তিনিই পুরো প্রজেক্টটির পরিচালক। এরই মধ্যে গেল ১৮ সেপ্টেম্বর ‘এজেএস ক্রিয়েটিভ মিডিয়া’ ইউটিউব চ্যানেলে আলমগীরের পরিচালনায় প্রথম ফোকগান ‘গাড়িয়াল বন্ধুরে’ প্রকাশিত হয়েছে। গানটি গেয়েছেন অংকন। আলমগীর জানান, আগামী কিছুদিনের মধ্যে ফকির শাহাবুদ্দিন, প্রতীক হাসান, আয়েশা মৌসুমী, ঝিলিকের কণ্ঠেও এই চ্যানেলের ‘ফোক টিউব’ অনুষ্ঠানে একে একে তাদের কণ্ঠেও ফোকগান প্রকাশ পাবে। বিষয়টি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এটা বলা যায় দুই বছর ধরেই আমি স্বপ্ন দেখে আসছি। নানা ধরনের ব্যস্ততার কারণে করা হয়ে উঠেনি। কিন্তু লকডাউনের দিনগুলোতে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে হয়েছে আমাকে। অনেক শ্রম, অনেক কষ্টের পর অবশেষে ফোক টিউব অনুষ্ঠানের যাত্রা হলো। বাংলাদেশে যত জনপ্রিয় ফোকগান আছে, তা একে একে আমাদের এই চ্যানেলে প্রকাশ পাবে। মূলকথা যেসব ফোকগান প্রকাশে কোনো রকম বাধা নেই; সেসব ফোকগানই এতে প্রকাশ পাবে। এরই মধ্যে বেশ কজন শিল্পী তাদের আন্তরিকতা দেখিয়েছেন আমাদের এই নতুন শুভসূচনায়। আমাদের বিশ্বাস, আগামীতেও আমরা সংগীতাঙ্গনের সব শিল্পীরই সহযোগিতা পাব। আর এটা না বললেই নয়, আমার স্ত্রী লুইপা আমাকে শুরু থেকেই এই কাজটি দ্রুত শেষ করতে ভীষণ অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। তার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমার সহযোদ্ধা মিউজিশিয়ানদের প্রতি।’
"