বিনোদন প্রতিবেদক
বিন্দুকনার ‘করোনা প্রার্থনা সংগীত’
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে এরই মধ্যে বাংলাদেশে অনেক সচেতনতামূলক গান করা হয়েছে। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী সেসব গান এককভাবে এবং সমবেতভাবে গেয়েছেন। তবে করোনা নিয়ে এবারই প্রথম কোনো প্রার্থনা সংগীত করা হলো। জামাল হোসেনের কথায় ও ইবরার টিপুর সুর সংগীতে ‘হে রহমান, হে রহীম’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বিন্দুকনা। এরই মধ্যে গানটির রেকর্ডিংয়ের কাজ এবং মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে ইবরার টিপুর নিজস্ব স্টুডিওতে।
যেহেতু এখন সবাই করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দি। তাই তারকারা নিজেরা ঘরে বসেই কাজ করছেন। গানটি প্রসঙ্গে গীতিকবি জামাল হোসেন বলেন, ‘সত্যি বলতে কী জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে করোনা নিয়ে এরই মধ্যে বেশকিছু গান করা হয়েছে। আমার নিজের লেখা করোনা নিয়ে আরেকটি গার এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে আসিফ আকবরসহ মুহিন খানের সুর সংগীতে বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। ‘হে রহমান হে রহীম’ এই সংগীতটি মূলত আল্লাহর কাছে আমাদের পাপ থেকে মাফ চাওয়া বিষয়ক একটি প্রার্থনা সংগীত। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি গানটির মধ্যদিয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবার। আমার বিশ^াস গানটি সবার মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দিবে।’
বিন্দুকনা বলেন, ‘হে রহমান হে রহীম একটি সময়োপযোগী প্রার্থনা সংগীত। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জামাল হোসেন ভাইয়ের প্রতি এমন একটি প্রার্থনা সংগীত এই মুহূর্তে লেখার জন্য এবং আমাকে দিয়ে গাওয়ানোর জন্য। ইবরার টিপু ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে এমন একটি সুর করেছেন যা মানুষের মনকে নাড়া দিতে পারে। আমি আমার সম্পূর্ণ আবেগ দিয়ে সাধ্যমতো গাওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি, প্রার্থনা সংগীতটির মাধ্যমে মানুষ তার নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবে। করোনা মহামারি থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে উদ্ধার করুন, বাংলাদেশসহ বিশ^বাসীকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিন।’
জামাল হোসেন জানান, শিগগিরই এই প্রার্থনা সংগীতটি রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হবে।
"