ওসমান গনি

  ২০ মার্চ, ২০২৩

দৃষ্টিপাত

বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা

স্বপ্নের দেশ, কল্পনার দেশ আজ বাস্তব বাংলাদেশ। যে দেশের স্বপ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন সেই স্বপ্নের ও কল্পনার দেশ আজ বাস্তব সোনার বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার স্বপ্নের ও কল্পনার দেশকে আজ বাস্তব পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। যেমনটা তিনি ভাবছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী সাহস, বুদ্ধি ও চিন্তাচেতনাকে কাজে লাগিয়ে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন তার বাবার কল্পিত সোনার বাংলাদেশ। একসময় দেশি/বিদেশি কিছু কুলাঙ্গার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে যে উপহাস বা তিরস্কার করেছিলেন তাদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছিলেন, এখন আবার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চলেছে, যা নিয়ে সারাবিশ্ব আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে।

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ননীতি-সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) গত বছর ১৫ মার্চ এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটি সূচকের যেকোনো দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি সূচকের মানদণ্ডেই উন্নীত হয়েছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদণ্ড অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার থেকে অনেক বেশি অর্থাৎ ১৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ ভাগ বা এর কম, যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ একটি বিশাল ব্যাপার জাতির জন্য একটি ইতিহাস। যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার কল্পকাহিনি। শেখ হাসিনা সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় অর্জন। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাহসী এবং অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় উঠে আসে জন্মের ৫০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশ দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মতো সফলতা দেখাতে পারছে। উঠে আসে জাতির পিতা কীভাবে সমগ্র জাতিকে স্বাধীনতার জন্য একতাবদ্ধ করেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে কীভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, বিচক্ষèতা, দীর্ঘমেয়াদি কৌশলী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক। পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ। এতে প্রদর্শন করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বান, ‘আসুন দলমত-নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার ম্যাজিক কথাটি আজকে সারা বিশ্বব্যাপী যেভাবে আলোচিত হচ্ছে, সেটি কিন্তু একজন বাঙালি হিসেবে আমাদের কাছে অনেক গর্বের বিষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা যেমন একজন অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে পেয়েছি, ঠিক তেমনি তারই কন্যা শেখ হাসিনাকে আমরা বাংলাদেশ গড়ার ম্যাজিক কারিগর হিসেবে পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতটুকু সময় পেয়েছেন তার মধ্যেই তিনি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ নয়, বরং উপচে পড়া ঝুড়ির দেশে পরিণত হয়েছেন। ঢাকায় মেট্রোরেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাইলফলক রচিত হয়েছে। এক জটিল আর্থসামাজিক বাস্তবতায় মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নে দৃঢ় মনোভাবের ইতিবাচক প্রতিফলন ঘটেছে।

ঢাকার আয়তন ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা অনুপাতে রাস্তার পরিমাণ অনেক কম। এ কারণেই সরকারের নানান উদ্যোগ সত্ত্বেও যানজট বেড়েই চলেছে। ঢাকায় গণপরিবহনের গড় গতিবেগ মানুষের হাঁটার গতির সমান। ঢাকায় প্রত্যেক কর্মজীবী মানুষকে কর্মস্থলে যাতায়াত করতে যানজটের কারণে প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা সময় অপচয় করতে হয়। এ অপচয়ের আর্থিক, মানসিক ও পরিবেশগত ক্ষতি বিপুল। আর্থিক মানদণ্ডে তা লাখো কোটি টাকার বেশি। এক দশক ধরে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের মেগাসিটিগুলোর মধ্যে বসবাসের অযোগ্য তালিকার প্রথমদিকে স্থান পাচ্ছে ঢাকা। রাজধানী শহরকে চলাচল ও বসবাসের অযোগ্য রেখে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। রাজধানী শহরের বিরূপ অবস্থা দেশের বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বৈদেশিক সম্পর্ক ও কূটনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। এ পরিস্থিতি উত্তরণে প্রথমেই যানজটে স্থবিরতার চিত্র বদলানো জরুরি। ঢাকার বাস্তবতায় গতানুগতিক রাস্তায় তা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড রেলওয়েই একমাত্র বিকল্প। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রয়াসে তা এখন বাস্তব রূপ লাভ করতে চলেছে। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

একসময় বলা হতো উন্নয়ন রেললাইন ধরে আসে। ব্রিটিশ আমলে যোগাযোগ ও গণপরিবহনে রেললাইন ও লোকোমোটিভই ছিল অন্যতম ব্যবস্থা। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সময়ের বিবর্তনের হাত ধরে এখন গণপরিবহনে বহুমাত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে। সে ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুমাত্রিক উন্নয়ন মডেলের রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ অবকাঠামো বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাতারে শামিল হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা ও গভীর পদ্মা নদীর ওপর বহুমুখী সেতু নির্মাণ, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও সৈকত শহর কক্সবাজারের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টিকারী কর্ণফুলী টানেল এবং রাজধানীর যানজট নিরসন ও নগর যোগাযোগের সর্বাধুনিক মডেল হিসেবে মেট্রোরেলের আংশিক সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের মহাসরণীতে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। পরিকল্পনামাফিক ২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটির সবগুলো লাইন বাস্তবায়িত হলে ঢাকার নগরচিত্র আমূল বদলে যাবে বলে আশা করা যায়। চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে থেমে না যায় বা স্তিমিত হয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে দেশের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার দায় সবচেয়ে বেশি। মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও দৃঢ়তা আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।

আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন অর্থনৈতিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত হলেও রাজনৈতিক-সামাজিক-প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন টেকসই হতে পারে না। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রশ্নে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। এটি হঠাৎ করে শুধু বর্তমান সরকারের সময়েই শুরু হয়নি। তবে অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং দৃঢ় ও সাহসী সিদ্ধান্তে দেশের রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আশাব্যঞ্জক উন্নয়নও সম্ভব হতে পারে। একদিকে অকাঠামো উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের ব্যাংকিং খাতসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে চরম মন্দাভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতির উন্নয়নে দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা দূর করে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিবাচক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। কোটি কোটি কর্মহীন, অভাবী-দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের চেয়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের বাস্তবসম্মত উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল ও উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত পুরোপুরি উপেক্ষা করা যাবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রত্যাশা, মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো অগ্রাহ্য করা হলে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এত দিনের সব অর্জন ম্লান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সারা দেশ থেকে রাজধানীমুখী কর্মহীন মানুষের ঢল বন্ধ করে জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার কার্যকর উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা করলে অবকাঠামো খাতে এত উন্নয়ন সম্ভব হতো না। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক এবং অবশিষ্ট সব উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এমন দূঢ় ভূমিকাই প্রত্যাশা করছে মানুষ।

বিশ্বের উন্নত দেশগুলো আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ সফলতার একমাত্র উদ্ভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের ধ্রুপদি তত্ত্বকে শেখ হাসিনাই শুধু প্রায়োগিক মডেল হিসেবে বাস্তবতার নিরিখে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। যেখানে প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও অর্থ একসঙ্গে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ধারণাকে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়। আর যখন তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে তখনই উন্নয়নের চূড়ান্ত ধাপে পৌঁছানো সম্ভব হয়। এটি উন্নয়নের রাষ্ট্র মডেলের সঙ্গে সাদৃশ্য। ‘শেখ হাসিনা উন্নয়ন মডেল’-এ গত নভেম্বরে (২০২১) বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটেছে। আগামী দিনে এসডিজি, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সমন্বিত কর্মসূচি যুগপৎভাবে সম্পাদিত হলে সারা বিশ্বে ‘শেখ হাসিনা উন্নয়ন মডেল’ অনুকরণীয় ও ব্যাপকভাবে সমাদৃত হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলাম লেখক

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close