মো. রাশেদ আহমেদ

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

বিশ্লেষণ

কোরিয়া দ্বীপ যেন ‘রাবণের চিতা’

বাংলা ব্যাকরণে ‘রাবণের চিতা’ সুপ্রতিষ্ঠিত বাগধারা। যার অর্থ হচ্ছে চির অশান্তি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোরিয়া উপদ্বীপ যেন বাগধারাটির বাস্তব প্রতিফলন, যা যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি অগ্নিগর্ভ অবস্থা বিরাজমান। বলতে দ্বিধা নেই, কোরিয়া উপদ্বীপে দ্বন্দ্ব ৭ দশকের অধিক সময় ধরে চলমান। যে উত্তেজনার বীজ নিহিত আছে ১৯৪৮ সালে কোরিয়া বিভক্তের মধ্যে। মূলত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী এক চরম অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে দুদেশের পথচলা শুরু। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রত্যক্ষ সমর্থন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়াকে সার্বিক সহযোগিতা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীন। প্রসঙ্গ যে, কোরিয়া অঞ্চলে ১৯৫০ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। যদিও জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৫৩ সালে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং সময়ের পরিক্রমায় উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধংদেহী চিন্তা প্রসারিত হয়েছে। বলে রাখা ভালো, ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়া নিরাপত্তার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সম্পাদন করে। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন সিউলে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করলে সম্পর্কের আরো বেশি অবনতি ঘটে। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া চীনের সঙ্গে ১৯৬১ সালে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক চুক্তি সম্পন্ন করে। বলতে দ্বিধা নেই, কোরিয়া দ্বীপে ওয়াশিংটন বেইজিং নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সুতরাং তাদের সহযোগিতা ছাড়া চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কার্যত, ১৯৯০ দশকে কোরিয়া দ্বীপে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার উভয় দেশ সফর করেন। যদিও এই উদ্যোগ খুব বেশি দ্যুতি ছড়ায়নি। কিন্তু কিছুটা বরফ গলাতে সহযোগিতা করেছিল। তবে, নব্বই দশকে দুই বিভক্ত জার্মানির একত্রীকরণ হলেও কোরিয়ানদের স্বপ্ন আজও অধরা রয়ে গেছে।

বলতে সংকোচ নেই, বর্তমান মার্কিন জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক যেকোনো সময়ের চেয়ে অধিক শীতলতর। অথচ ট্রাম্প শাসনকালে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে দুবার মুখোমুখি সাক্ষাৎ উষ্ণ সম্পর্কের আভাস দিয়েছিল। এমনকি পারমাণবিক অস্ত্র সীমিতকরণ উদ্যোগ নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া, যা কোরিয়া দ্বীপে শান্তির সুবাতাস প্রবাহিত করেছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমান যুদ্ধবাজ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্প আমলে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ। বরং কোরিয়া দ্বীপকে যুদ্ধের লাভজনক প্রজেক্ট হিসেবে দেখছে।

মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পিয়ংইয়ং সম্পর্ক কখনো মধুর ছিল না। কারণ উত্তর কোরিয়া বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সরকারকে উৎখাত করে পশ্চিমা গণতন্ত্রপন্থি সরকারকে ক্ষমতায় আসীন করতে চায়। যদিও ওয়াশিংটন কমিউনিস্ট শাসিত সরকারের রেইজম পরিবর্তনের ঘটনা বেশ পুরাতন। কার্যত, উত্তর কোরিয়া জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ৯০ দশকে উচ্চাভিলাষী পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্প হাতে নেয়। কথিত আছে, যে কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতা দিয়ে আসছে বেইজিং ও মস্কো। এর ফলে, ২০০৬ সাল থেকে পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘের কঠোর নিষেধাজ্ঞার শিকার হয় দেশটি।

উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইরানের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন উত্তর কোরিয়া। এখানেই শেষ নয়, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছে। সংগত যে, পিয়ংইয়ং তার কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৭ সালে প্রথম পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছয়বার পারমাণবিক অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া গত চার বছরে ৭০টির অধিক স্বল্প এবং দূরমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করে পিয়ংইয়ং। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কোরিয়া দ্বীপে কি আদৌ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে! নাকি ‘রাবণের চিতা’ হিসেবে তৃতীয় পক্ষ স্বার্থ হাসিল করবে। অথবা আর একটি ভয়ংকর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত কোরিয়া দ্বীপ।

নির্দ্বিধায় বলা যায়, বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে দুই কোরিয়া একত্র হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে, ভয়ংকর যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা প্রশমিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব নয়। আর এজন্য তিন পরাক্রমশালী দেশ চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কার্যত, কোরিয়া অঞ্চলে ওয়াশিংটনের আধিপত্য তথা সামরিক মহড়া পিয়ংইয়ং ভালো চোখে দেখে না। এমনকি এ রকম মহড়াকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করে কিম জং উন প্রশাসন। সংগত যে, দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের যে সম্পর্ক তার চেয়ে শীতলতর সম্পর্ক ওয়াশিংটনের সঙ্গে। বিশ্লেষকদের মতে, কিম সরকার দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে তার দেশের নিরাপত্তার জন্য বেশি হুমকি মনে করে। সুতরাং হলফ করে বলা যায়, যত দিন কোরিয়া অঞ্চলে মার্কিন সামরিক মহড়া কিংবা আধিপত্য বিরাজমান থাকবে, তত দিনে উত্তেজনা বাড়বে বৈকি কমবে না। আর এজন্য ওয়াশিংটনের সামরিক প্রভাব সীমিতকরণ লক্ষ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যথায়, এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

বলা যায়, দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের সম্পর্কের ব্যবধান এখন আকাশ-পাতল। সিউল যেমন অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও মানবসম্পদে সমৃদ্ধ, ঠিক তেমনি পিয়ংইয়ং সামরিক শক্তি অর্জন করতে মরিয়া। যেখানে পশ্চিমাদের কঠিন নিষেধাজ্ঞা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করতে হয়েছে। ফলে দেশটির বৃহত্তর জনগোষ্ঠী আজ দরিদ্র সীমার নিচে ও মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। ইউনিসেফের তথ্য মতে, উত্তর কোরিয়ার ৬০ শতাংশের অধিক শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ঠিক বিপরীতে, দক্ষিণ কোরিয়া আজ এশিয়া মহাদেশে চতুর্থ এবং বিশ্বে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ক্লাবের সদস্য। কার্যত, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইল পরীক্ষার জন্য বারবার সংবাদে শিরোনাম হয়েছে। ঠিক তেমনি সিউল গণতান্ত্রিক ধারা অক্ষুণ্ন কিংবা প্রযুক্তিতে অভূতপূর্ব সাফল্য বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা শক্তির বিপরীতে বিশ্ব রাজনীতি মঞ্চে উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়া ও ইরান অলিখিত জোট। কিম প্রশাসন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কো প্রত্যক্ষ সমর্থন যার জ্বলন্ত উদাহরণ। এমনকি রণাঙ্গনে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপকে অস্ত্র সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া ইরান মস্কোকে শক্তিশালী ড্রোন (কামিকজি, শহীদ) দিয়ে সহযোগিতা করছে। এ কথা স্পষ্ট, সাম্প্রতিক কোরিয়া দ্বীপে উত্তেজনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো তাদের সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করতে এক রকম বাধ্য হচ্ছে, সংকোচিত হয়ে আসছে সামাজিক বাজেট, যা দেশটির জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এরই মধ্যে জাপান আগামী পাঁচ বছরে প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা এশিয়া মহাদেশে তৃতীয় বৃহত্তর প্রতিরক্ষা বাজেট। শুধু তা-ই নয়, টোকিও বিশ্বে শান্তির সংবিধানে অনুচ্ছেদটি পরিবর্তনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক বাজেট বৃদ্ধি করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধির প্রবণতা কোরিয়া দ্বীপে শান্তির পথ রুদ্ধ হবে। সেই সঙ্গে ক্রমশ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশগুলো। যার ভবিষ্যৎ অমানিশা।

অতিসূক্ষ্মভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, একই ভূখণ্ড থেকে বিভক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্পর্ক সুখকর নয়। তাদের পরস্পরের মধ্যে চরম আস্থার অভাব পরিলক্ষিত হয়। ভারত-পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চরম দ্বন্দ্ব কিংবা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন মধ্যে চরম সহিংসতা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। যদিও উভয় দেশ একাধিবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেও উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৫০-পরবর্তী আর কোনো যুদ্ধের মুখোমুখি হয়নি। তবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ ছিল না।

বিশ্লেষকদের অভিমত, এশিয়া অঞ্চল তথা কোরিয়া দ্বীপে উত্তেজনা প্রবর্ধমানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তির প্রভাব অনেকাংশ দায়ী। এ ছাড়া সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন তাইওয়ানে ৬২ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি এবং সামরিক সহযোগিতা আরো বেশি অস্থিতিশীল করে তুলেছে। মোদ্দা কথা, যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া অঞ্চলে একটি নতুন যুদ্ধের মঞ্চ তৈরি করতে চাই। যেখানে কোরিয়া দ্বীপ ও তাইওয়ান তাদের পরবর্তী টার্গেট। যার ফলে, তাদের অস্ত্রবাণিজ্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে তা অনুমেয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভে অস্ত্রবাণিজ্য তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ মাত্র। মার্কিন গবেষণার তথ্য মতে, এই যুদ্ধের ফলে ওয়াশিংটন অস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বে অস্ত্র রপ্তানিতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মস্কো। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা বাজেটে বেইজিংয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, যুদ্ধকে উসকে দিয়ে অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্র পুরাতননীতি, যা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কার্যত, একসময়ে ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র রপ্তানি ঘাঁটি হিসেবে তৈরি করেছিল, যা এখন প্রায় অস্তমিত। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রতীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম সৌদি আরবের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক হ্রাস পেয়েছে। ওপেক প্লাস দেশগুলোর তেল উৎপাদন হ্রাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মৌন অবস্থান কিংবা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তার উদাহরণ মাত্র। সর্বশেষ বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় ইরান-সৌদি আরবের কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়। সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্য এড়িয়ে ইউরোপের পর এশিয়া অঞ্চলে অস্ত্র রপ্তানির নতুন স্ট্র্যাটিজি গ্রহণ করেছে। যে ফাঁদ এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়।

মূলকথা, কোরিয়া দ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উক্ত অঞ্চলে (দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান) যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম সীমিতকরণ কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র কিংবা মিসাইল প্রতিযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে তাতে সন্দেহ নেই, যা ক্রমশ যুদ্ধক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করবে। সেই সঙ্গে ওই অঞ্চল সার্বিক নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটবে, যা বিশ্ববাসীর জন্য সুখকর নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ববাসী কি আর একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দায়ভার বহন করতে পারবে?

লেখক : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close