রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২১ নভেম্বর, ২০২২

মতামত

শিক্ষার্থীদের মানসিক সংকট এবং আমাদের দায়

যুগে যুগে সময়ের পরিবর্তন ঘটেছে। উন্নত হচ্ছে বিশ্ব। মানবসভ্যতার উন্নয়ন বিকাশে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে নিত্যনতুনভাবে। তরুণ সমাজ যার পেছনে ব্যাপক অবদান রেখে আসছে। একটি জাতি কতটা উন্নত তা নির্ভর করে সে জাতি কতটা শিক্ষিত। শিক্ষা যদি একটি জাতির মেরুদণ্ড হয়, তাহলে শিক্ষাঙ্গনগুলো হলো সে মেরুদণ্ডের কশেরুকা। কশেরুকা দুর্বল হয়ে পড়লে মেরুদণ্ড সোজা করে যেমন দাঁড়ানো সম্ভব নয়, তেমনই একটি জাতির শিক্ষাঙ্গনগুলো দুর্বল হয়ে পড়লে সে জাতি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। শিক্ষাঙ্গনের প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের এজন্য বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার প্রতি আকৃষ্ট করতে হবে, যাতে করে নিত্যনতুন জিনিস উদ্ভাবনের রূপরেখা তারা গড়ে তুলতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে আত্মহত্যা সমাজে এক মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে কাজ করছে। আত্মহননে দেশ ও জাতি হারিয়েছে অনেক মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীকে। আর অভিভাবক হারিয়েছেন তার প্রিয় সন্তানকে। এই ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণ করা যাবে না। করোনাকালে ১৯ মাসে আত্মহত্যা করেছেন ১৮০ জন, যার পেছনে কারণ রয়েছে পারিবারিক সমস্যা, প্রেমের সম্পর্কজনিত দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা, অবসাদ, আর্থিক সংকট, কিছু পাওয়ার জেদ, না পাওয়ার হতাশা, পড়াশোনার চাপ, শিক্ষাজীবন নিয়ে হতাশা, মানসিক নির্যাতন এবং চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা ইত্যাদি। প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার ঘটনা শুনতে হয়। এজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অনেক সময় প্রকৃত উদ্দেশ্য বের করা হয়, আবার কখনো হয় না। আত্মহনন প্রতিরোধে প্রধান কাজ হলো ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীভিত্তিক মানসিক পরামর্শ, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সংকটে সহযোগিতা ও সমস্যা নিয়ে পরামর্শ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও প্রচার, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পর্যালোচনা, স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা এবং অনুষদ বা বিভাগভিত্তিক সচেতনতা সৃষ্টি করা ইত্যাদি। বিশেষ আর্থিক সংকটে থাকা শিক্ষার্থীদের সহায়তার বিষয়ে জোর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার তীব্রতা ভয়ানক। যদিও কোনো আত্মহত্যা সমাজ বা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, বরং খুবই দুঃখজনক। প্রতিকার ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরামর্শ সেবা দেওয়ার গুরুত্ব অনেক এবং আত্মহত্যা বন্ধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ জরুরি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতিমালা এবং দক্ষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ লোক নিয়োগ দিয়ে দ্রুত মানসিক সেবা চালু করা একান্ত প্রয়োজন।

কোভিড মহামারি-পরবর্তী সময়ে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ৭৫ শতাংশের বেশি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, যে সমস্যা থেকে আত্মহত্যার পথও বেছে নিচ্ছেন তাদের অনেকে। এমন দাবি করল আঁচল ফাউন্ডেশন। এক সমীক্ষা চালিয়ে এমন ফল পাওয়া গেছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে। দেশের বিভিন্ন পাবলিক, বেসরকারি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদরাসায় লেখাপড়া করা ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে তারা দেখতে পেয়েছে, ৩৪ দশমিক ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা-সংক্রান্ত সমস্যা থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। খবর বিডিনিউজের। বাংলাদেশে ২০২০ সালের মার্চ থেকে শুরু হওয়া কোভিড মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় সেশনজট ও পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে হতাশাকে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন এ সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। এ ছাড়া, প্রাতিষ্ঠানিক চাপেও পড়াশোনায় অনীহা তৈরি, অভিভাবকদের চাপ, কোভিডে মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনকে শিক্ষার্থীদের মানসিক সমস্যার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনা-পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অ্যাকাডেমিক চাপের প্রভাব এবং তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা প্রবল। গবেষণার সমীক্ষার জরিপ অনুযায়ী, ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার ১ হাজার ৬৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৭.৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, কোভিড মহামারি-পরবর্তী সময়ে তাদের নিজস্ব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগে তারা জর্জরিত। পাশাপাশি দৈনন্দিন আচার-আচরণ ও ব্যবহারে পরিবর্তনও এসেছে শিক্ষার্থীদের জীবনে। যেমন : মন খারাপ হওয়া, হঠাৎ ক্লান্তিসহ নানা বিষয় তাদের শিক্ষাজীবনে প্রভাব ফেলেছে বলে জানায় ৮০.৭৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। ডিজিটাল আসক্তিতে মানসিক সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনযাপনের অংশ হয়ে যাওয়া ডিজিটাল ডিভাইসগুলোর মধ্যে মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপের ওপরে অতিরিক্ত আসক্তি ও নির্ভরতা শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জানিয়েছেন ৭০.৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। আবার মানসিক সমস্যাজনিত কারণে নিত্যদিনের ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। যেমন : অতিরিক্ত ঘুম অথবা নিদ্রাহীনতায় ৭১.৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভুগছেন, যা লেখাপড়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অভিভাবকদের অযাচিত চাপ। অভিভাবকদের অতিরিক্ত স্বপ্ন বা প্রত্যাশার চাপে ৫৫.৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী হাঁসফাঁস করছে। অনেক শিক্ষার্থীই মনে করছেন পরিবার থেকে তৈরি হওয়া অযাচিত চাপে তারা পিষ্ট। ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তা। ৭৬.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, চাকরির ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা এবং অনিশ্চয়তার কারণে মানসিক চাপে আছেন। এর মধ্যে ৭২২ জন মেয়ে ও ৫৩৫ জন ছেলে রয়েছে। এতে দেখা যায়, তুলনামূলকভাবে মেয়েরা ক্যারিয়ার নিয়ে বেশি চিন্তিত। শিক্ষার্থীদের তথ্য অনুযায়ী বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। আমাদের তরুণসমাজের হতাশার সবচেয়ে বড় কারণটি হচ্ছে দেশে চাকরির বাজারের সংকোচন। এই তরুণদের উদ্যোক্তা বানানোর কথা শোনা গেলেও বাস্তব তার বিপরীত। কেউ কেউ নিজ প্রচেষ্টায় আউটসোর্সিং মার্কেটে ঢুকেছে তাও এখন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ বিসিএস পরীক্ষামুখী।

এ নিয়ে অনেক সমালোচনাও হচ্ছে কারণ টেকনিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী যাদের উপার্জন ভালোই করার কথা, যারা দেশকে অন্যভাবে সেবা দিতে পারতেন তারাও ছুটছে বিসিএসের পেছনে। বিসিএসে না হলে আবার হতাশা। হতাশা যেন কাটছেই না। জনসংখ্যার লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির একটা স্তরে এসে বাংলাদেশ একটা সুবিধাজনক স্তরে প্রবেশ করেছিল, সেটি হচ্ছে তরুণসমাজ এখন সবচেয়ে বেশি। জনশুমারি ২০২২-এর তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৯ শতাংশ তরুণ, ২৮ শতাংশ শিশু এবং কর্মক্ষম মানুষ হচ্ছে ৬৫.৫১ শতাংশ। এ সংখ্যা আমাদের শক্তি হতে পারত কিন্তু তা না হয়ে দিন দিন দুশ্চিন্তাগ্রস্ততার মধ্যে পড়েছে দেশ। এই হতাশা তরুণ থেকে মধ্যবয়সী সবার মধ্যে। সরকার না পারছে জনসংখ্যা সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারছে জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে। টেকসই উন্নয়নের জন্য জনশক্তির যে উন্নয়ন সেটি আমাদের উন্নয়ন সংজ্ঞায় সেভাবে নেই। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বৃদ্ধির প্রবণতার কথা বললেও অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথাযথ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরামর্শদান দপ্তরও আত্মহত্যা-সংক্রান্ত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকা মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোও জনবল সংকটে চলছে ঢিমেতালে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষণ্নতাগ্রস্ত ব্যক্তিকে একা না রাখা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সেলরসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা এবং কোনো একটি অভাব পূরণ না হওয়া মানে জীবন শেষ নয়- এই উপলব্ধিসহ অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে আত্মহত্যা প্রবণতা রোধ করা সম্ভব। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ধরাবাঁধা জীবনে অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপ শিশুদের মানসিক দিক থেকে আরো দুর্বল করছে, অসহিষ্ণু করে তুলছে।

একজন কোমলমতি শিক্ষার্থীর পক্ষে কি এভাবে দৌড়ঝাঁপ করে লেখাপড়া করা কতটা সম্ভব এবং এ রকম নিরসভাবে শিক্ষার্থীরা কি প্রকৃতপক্ষে জ্ঞান অর্জন করতে পারে! বিষয়গুলো কি আমাদের শিক্ষাবিদরা ভাবেন না? অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিশুদের বইয়ের চাপ দেওয়া যাবে না। কিন্তু এ চাপ কারা দিচ্ছে, কেন দিচ্ছে, এসব প্রশ্নের উত্তর কি আমরা খুঁজেছি। পড়া আর পরীক্ষার ছকে বাঁধা জীবন শিক্ষার্থীদের ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ভীতিকর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ আজকের শিশুরা মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না। তাদের অল্প বয়স থেকে প্রতিযোগিতা ও মানসিক চাপের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যাতে করে একজন শিশু সহনশীল, সহিষ্ণু হয়ে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে না। খেলাধুলা, বিনোদন আনন্দের সঙ্গে শিক্ষালাভের যথেষ্ট সুযোগ না থাকায় শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না। মনে রাখা দরকার, শিশু স্বেচ্ছায় যা করবে তার ফল দীর্ঘস্থায়ী হবে কিন্তু জোর করে চাপিয়ে দিয়ে বা বাধ্য করার ফল ক্ষণস্থায়ী বতর্মান যুগের শিশুরা বিশেষ করে রাজধানীর ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে ঠিক উল্টোপথে। আধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা পেলেও তারা আসলে নানা দিক থেকে বঞ্চিত। জন্মের পর চার দেয়ালে বন্দি তাদের জীবন। স্কুল শুরু হলে সেখানেও ঘেরা কংক্রিটের দেয়াল। যেন বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার একটা শূন্যতা। কিন্তু এই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সন্তানরা বেছে নিচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য। কম্পিউটার-মোবাইল গেমস আর টেলিভিশনের কার্টুন কেড়ে নিচ্ছে খোলা পরিবেশে বেড়ে ওঠার মানসিক বিকাশের সুযোগ। জাতিসংঘের শিশু সনদে বলা হয়েছে, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের উপযোগী পরিবেশ রক্ষা ও সৃষ্টি করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। জাতীয় শিশুনীতি ও শিক্ষানীতিতেও শিশুর বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য অনেক কথা বলা হয়েছে।

অথচ বাস্তবে হচ্ছে উল্টোটা। সুযোগ সৃষ্টি তো হচ্ছেই না, যেটুকু সুযোগ আছে, তাও রক্ষা করা যাচ্ছে না। না আছে খেলাধুলা বা শরীরচর্চার সুযোগ, না আছে মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ। বিদ্যা অর্জন বা বিকশিত হওয়ার জন্য সুস্থ দেহ ও সুন্দর মন দুটিই জরুরি। তাহলে আমাদের শিশুরা কি সুস্থ ও সুন্দরভাবে বিকশিত হচ্ছে? উত্তর ইতিবাচক হওয়ার অবকাশ খুবই কম। বিশেষ করে নগর-মহানগরের শিশুদের বিকাশ যে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে হচ্ছে না, তা আজ স্বীকৃত সত্য। জাতির পিতার দেখানো পথে আমাদের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে হবে, ভালোবাসতে হবে। তাহলে তারাও ভালোবেসে এ দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিশু-কিশোরদের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘শিশু হও, শিশুর মতো হও। শিশুদের মতো হাসতে শেখো। দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে। জাতির পিতা শৈশব-কৈশোর থেকেই হেসে-খেলে, বাঁধনহারা আনন্দে, মুক্ত বাতাসে, মুক্তমনে বেড়ে উঠেছেন। আমাদের শিশুরা যাতে এ ধরনের পরিবেশ পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে আমাদেরই। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, গভীর ভালোবাসায় শিশুবান্ধব পরিবেশে আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করতে পারলেই গড়া যাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close