মাসুদ রানা

  ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পর্যবেক্ষণ

অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যুগান্তকারী অগ্রগতি দেখেছে দেশের অর্থনীতি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকগুলোতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে পেছনে ফেলে সামনের সারিতে বাংলাদেশ। বিশ্বের অনেক স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আদর্শ হিসেবে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশকে। মহামারি করোনাভাইরাসের আঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামায় টালমাটাল বৈশ্বিক অর্থনীতি। যার করুণ ভুক্তভোগী দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের দেশগুলো। যুদ্ধের কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতেও। মন্দার হুমকিতে আছে তারা। তবে এর মধ্যে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এই অর্থনৈতিক ভারসাম্যের পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স। এসব খাতকে আরো এগিয়ে নিতে সময়ের সঙ্গে মিল রেখে বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।

দেশের মোট রপ্তানির সিংহভাগই পোশাক খাতের। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা তৈরির ক্ষেত্রেও রেমিট্যান্সের বিশাল অবদান আছে। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এ খাত। আগামীতে দেশের অর্থনীতির জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রভাব আরো কত দিন থাকবে আমরা জানি না। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শেষ হবে, ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মস্কোবিরোধী

পদক্ষেপ ও নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা শেষ হবে কবে- সেটাও অনিশ্চিত। এছাড়া বাংলাদেশ এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চলে এসেছে।

ফলে আগামীতে অনেক বৈশ্বিক বাণিজ্যিক সুবিধা থাকবে না। আর এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, দক্ষ জনবল, প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, সুষম বণ্টন এবং সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মূল চালিকাশক্তি পোশাকশিল্প। বর্তমানে বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরেই আছে বাংলাদেশ। বিশ্বজুড়ে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাতি দিয়েছে এই পণ্য। শ্রমঘন এ শিল্পটি প্রায় অর্ধকোটি মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান করেছে। করোনার অভিঘাত আর ইউরোপে যুদ্ধের দামামার মধ্যেও গত অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছেন উদ্যোক্তারা। রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮২ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই খাত থেকে আয় বেশি এসেছে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, গত অর্থবছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি এবং আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার।

দেশের রপ্তানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও। গত দুই মাসের ইয়ার-অন-ইয়ার এক্সপোর্ট গ্রোথ বা রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ শতাংশের বেশি। মূলত কাঁচামালের বাড়তি দর, পণ্য পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি চীন থেকে অনেক অর্ডার বাংলাদেশে সরে আসার কারণে রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ বছর রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে। সদ্যসমাপ্ত আগস্ট মাসে দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এতে বড় অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও পাটজাত পণ্যসহ আরো বেশ কয়েকটি পণ্য।

৮০-এর দশক পর্যন্ত দেশের মোট রপ্তানির ৫০ শতাংশ ছিল পাট ও পাটজাত পণ্য। এরপর পাটকে পেছনে ফেলে পোশাকশিল্পের যাত্রা শুরু। ১৯৮২ সালে কারখানার সংখ্যা ছিল ৪৭ এবং ১৯৮৫ সালে ৫৮৭, আর ১৯৯৯ সালে ২ হাজার ৯০০ এবং বর্তমানে কারখানা পাঁচ হাজারেরও বেশি। ১৯৮৩-৮৪ সালে পোশাক খাত থেকে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল তৎকালীন মোট রপ্তানি আয়ের ৩ দশমিক ৮৯ ভাগ। কিন্তু গত ১০ বছরের গড় হিসাবে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩ শতাংশ আসছে এ খাত থেকে। পোশাকশিল্পের সম্প্রসারণ নতুন উদ্যোক্তা দল সৃষ্টি করেছে। যারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বেসরকারি খাত গড়ে তুলেছেন। এ খাতের হাত ধরেই বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিকাশ হয়েছে। গার্মেন্ট দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও পরে তারা অন্যান্য শিল্পে রূপান্তর। যার ফলে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের মেরুদণ্ড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পোশাকশিল্প।

তবে এ শিল্পকে আরো বড় পরিসরে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে শ্রমঘন এ শিল্পের জন্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি জরুরি। শ্রমিক, ডিজাইনার, মার্চেন্ডাইজার, পণ্য উন্নয়নকারী ও ব্যবস্থাপক প্রয়োজন হয়। কিন্তু দেশে পোশাকশিল্পের জন্যে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টার এখনো যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। দেশের বিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট কোনো পাঠ্যসূচি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টেক্সটাইলের ওপরে পড়াশোনার সুযোগ খুবই সীমিত। ফলে পোশাক খাতে ডিজাইনারসহ দক্ষ জনবল বিদেশ থেকে আনতে হয়।

রপ্তানির পরেই চলমান বৈশ্বিক সংকটে দেশের অর্থনীতির অক্সিজেন হিসেবে কাজ করছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা আয়, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তির ভূমিকা রেখেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে পৃথিবীর শীর্ষ সাতে আছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। দেশে রেমিট্যান্স পাঠান মূলত স্বল্প শিক্ষিত প্রবাসীরা, যারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রক্ত পানি করে অর্থ উপার্জন করেন। অমানবিক শারীরিক পরিশ্রমে উপার্জিত সে অর্থ পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশে থাকা পরিবার-পরিজনদের কাছে। যার ফলে পরিবারের সচ্ছলতা বাড়ার পাশাপাশি রিজার্ভ বাড়ছে রাষ্ট্রের।

বর্তমানে বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। ১৯৭৬ থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মোট জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭৯ জন। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৫১৮ জন। ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫৭ হাজার ২২৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে গেছেন যা সে বছর বিদেশে যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীর ৭৪ শতাংশ। দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও সুপরিচিত শ্রমবাজার।

মূলত চার খাতে রেমিট্যান্সের ব্যবহার হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের ভরণ-পোষণ, দেনা পরিশোধ, বিনিয়োগ করা এবং যৌথ-বিমা। গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের ৫৬ শতাংশই আসে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে। তবে সুখবর যে, সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়েছে। ২০১৬ সালের খানা জরিপ অনুসারে ৮ দশমিক ২৭ শতাংশ খানার অন্তত একজন সদস্য প্রবাসী অভিবাসী। শহরের তুলনায় গ্রাম থেকে অভিবাসনের হার বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১৯ সালের রিপোর্ট অনুসারে গ্রামে রেমিট্যান্সের ৬৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ অর্থই ব্যয় হয় নিত্যপণ্য কেনায়। ২৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ বিভিন্ন বিনিয়োগে, ২ দশমিক ১৩ শতাংশ বিভিন্ন টেকসই দ্রব্যের বিনিয়োগে এবং বাকি অংশ সঞ্চয়ে। শিক্ষা কিংবা স্বাস্থ্যে অভিবাসী পরিবারগুলো অধিক বিনিয়োগ করে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষা, দক্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে রেমিট্যান্সের ভূমিকা রয়েছে।

গত অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠান ২১ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার। এর আগের অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। তবে ইতিবাচক ধারা ফিরে এসেছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর জুলাই মাসে এসেছিল ২০৯ কোটি ডলার। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৪১৩ কোটি ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধিতে সরকারের গৃহীত সময়োচিত প্রণোদনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আগে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ ছিল, তবে ২০২২ সালের প্রথম দিন থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়। তারপরও হুন্ডির প্রভাব কমছে না। সম্প্রতি সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ৪১ শতাংশই আসে হুন্ডির মাধ্যমে। যার পরিমান ৮৬২ কোটি ডলার। অর্থাৎ দেশ ৮৬২ কোটি ডলার হতে বঞ্চিত হয়েছে। নিঃসন্দেহে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য। প্রবাসীরা যেন বৈধপথে দেশে টাকা পাঠাতে আরো বেশি উৎসাহিত হন সে বিষয়ে সরকারের কাজ করতে হবে।

দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এসব প্রবাসী বাংলাদেশি যদিও যথাযথ মূল্যায়ন পান না। বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গায় চরম অবহেলা ও হয়রানির শিকার হন স্বল্পশিক্ষিত এই ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’রা। উচ্চ বেতন আর রাজকীয় জীবনযাপনের স্বপ্ন দেখিয়ে পাসপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ডাক্তারি পরীক্ষা, ভিসা, ইমিগ্রেশন এবং বিমান ভাড়া ইত্যাদির কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। সহজ-সরল এই মানুষগুলো প্রবাসে গিয়ে অনেক সময় দুর্দিন পার করেন। আবার দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে যখন দেশের মাটিতে তারা পা রাখেন তখনই শুরু হয় বঞ্চনা আর অবজ্ঞা। প্রথম ধাক্কা আসে বিমান থেকে নামার পর। এক প্রকার তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই মূল্যায়ন করা হয় তাদের। বিমানবন্দরে এসব হয়রানি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ

করতে হবে। দেশে ফেরার পর প্রবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক পর্যায়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অধিক গ্রহণযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close