reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৬ আগস্ট, ২০২২

নির্বিঘ্ন হোক চাষাবাদ

আমন চাষে বেগতিক কৃষক। শ্রাবণ শেষেও নেই বৃষ্টির দেখা। ফলে জমিতে পাম্প দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে। আবার বিদ্যুতের অভাবে সেচ কাজও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ডিজেলের দাম বাড়ায় গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বেড়েছে শ্রমিকের মজুরি। শুধু তাণ্ডই নয়, দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শ্রমিকের অভাবে প্রয়োজনীয় কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া সার সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। সময় প্রায় পেরিয়ে গেলেও আমন চাষ নিয়ে চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। সার্বিক পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবারের আমন চাষ। এ ছাড়া খেতে আগাছা, রোগ ও পোকার আক্রমণ বেড়ে গেলে ফলন কমার বিষয়টিও কৃষকের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে।

বলা সংগত, বৃষ্টির অভাবে খরায় মাঠ পুড়ে চৌচির হয়ে গেছে। জমিতে হাল দেওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি হলে এত দিন আমন বুননের জমি তৈরি হয়ে যেত। বৃষ্টি না হওয়ায় সময়মতো ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল প্রতিদিনের সংবাদে প্রকাশিত ‘আমন চাষে বাড়তি খরচ সারের জন্য কাড়াকাড়ি’ শীর্ষক বিশেষ প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষকরা আমন চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বৃষ্টিহীন শ্রাবণে পাম্প দিয়ে সেচ দিতে হচ্ছে চাষিদের। ডিজেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে চাষের খরচ। শ্রমিকের মজুরি আর শ্রমিক সংকটেও রয়েছেন তারা। হঠাৎ ইউরিয়া সারের দাম কেজিপ্রতি ৬ টাকা বাড়ায় চাষিরা চোখে সরষে ফুল দেখছেন। এরপর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হেনেছে ডিজেলের দাম। ফলে পাওয়ার টিলারে জমি চাষের মূল্য বেড়ে গেছে। সার, সেচ আর হালচাষের মূল্য বাবদ এবার আমন মৌসুমে কৃষকরা বাড়তি খরচের চাপে রয়েছেন। যদিও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বিক্রেতারা যেন কোনোভাবেই অতিরিক্ত মূল্য না নিতে পারে এজন্য নজরদারি রয়েছে। যদি কেউ সারের দাম বেশি নেয় তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও সরকারিভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে যথেচ্ছভাবে সারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা। বিষয়টির ওপর জোরদার নজরদারি প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

এবার শ্রাবণ মাস শেষ হলেও বৃষ্টির দেখা নেই। পানির অভাবে খেতে সেচ, আগাছা পরিষ্কার, রোগ ও পোকার আক্রমণ রোধে সার, কীটনাশক প্রয়োগে কৃষকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। কৃষকদের এই দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট যাতে সারের দাম বাড়াতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে। যাতে কৃষক নির্বিঘ্নে চাষাবাদে করতে পারেন- আর এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close