মাছুম বিল্লাহ

  ০৪ আগস্ট, ২০২২

বিশ্লেষণ

ডি-৮ জোটের সম্মেলনের গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ

উন্নয়নশীল আটটি দেশের আন্তঃউন্নয়ন সহযোগিতার জন্য গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হচ্ছে ডি-৮। এই জোটের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, মিসর, ইন্দোনেশিয়া ও নাইজেরিয়া। মুসলিমপ্রধান উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার প্রাথমিক ধারণাটি তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. নেকমেটিন এরবাকা উত্থাপন করেন। তিনি এটির ধারণা দেন ১৯৯৬ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নে সহযোগিতা’ শীর্ষক সেমিনারে। সভায় ডি-৮-এর সীমানা নির্ধারণ করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত উন্নয়নশীল মুসলিমপ্রধান দেশগুলো নিয়ে। সেমিনারে বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনটি ছিল ডি-৮ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ।

পরবর্তী সময়ে ১৯৯৭ সালের ১৫ জুন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-৮ প্রতিষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের শেষে জারি করা ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে এর কার্যক্রমের শুরু।’ সংঘর্ষের পরিবর্তে শান্তি, বিরোধিতার পরিবর্তে সংলাপ, শোষণের পরিবর্তে সহযোগিতা, দ্বিমুখিতার পরিবর্তে ন্যায়বিচার, বৈষম্যের পরিবর্তে সমতা ও নিপীড়নের বদলে গণতন্ত্রের মতো বিষয়কে স্লোগান হিসেবে ধরা হলেও এসব বিষয়ে ডি-৮-এর তেমন কোনো দৃশ্যমান ভূমিকা চোখে পড়ছে না। কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। অর্থনীতিতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর অবস্থান উন্নত করা, বাণিজ্য সম্পর্কের বৈচিত্র্য আনয়ন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত ও নতুন সুযোগ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও। তার পরও করোনা ছাড়া এর শীর্ষ সম্মেলন কিন্তু থেমে নেই। এবার (২০২২) ২৬-২৭ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ডি-৮ জোটের ২৫তম সম্মেলন।

একজন কূটনীতিক বলেছেন, সৌদি আরব না থাকায় মুসলিম বিশ্বের এই আটটি দেশ একসঙ্গে থাকার কারণে বহু কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। তবে তাদের মধ্যে মতবিরোধ বেশি থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজ হচ্ছে না। এমনকি জোটের ২৫ বছর পূর্তি হলেও যে সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, সেখানে সব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাই উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ডাকা সম্মেলনের ঘোষণা বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ২৫ বছর পূর্তি হলেও এর কোনো দৃশ্যমান ফলাফল এখনো আমরা দেখতে পাই না। অথচ চলমান ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই জোটের মাধ্যমে অর্থনীতি, সমাজনীতি ও কূটনীতির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য পাওয়া যেত। এই ৮টি রাষ্ট্রের মধ্যে মতভিন্নতা থাকায় সুযোগগুলো কাজে লাগানো যায়নি। পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে একটি কমন ইস্যু থাকতে পারত, যাকে কেন্দ্র করে কাজ করা যেত।

ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শেষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ডি-৮ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আন্তবাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠাকালীন ডি-৮-এর সদস্যরাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আন্তবাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে ১২৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তবাণিজ্য দশ গুণ বাড়বে। এরই মধ্যে মিসর ছাড়া অন্যান্য সাতটি সদস্যরাষ্ট্রসমূহ ডি-৮ পিটিএ অনুসমর্থন করেছে। এবারের সভায় মিসর জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ডি-৮ পিটিএ (প্রেফারেনসিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট) অনুসমর্থন করবে। এ ছাড়া ডি-৮-পিটিএ দ্রুত কার্যকর করার লক্ষ্যে ড্রাফট ট্রেড ফ্যাসিলেশন স্ট্র্যাটেজির চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এবারের সভায় এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এই ড্রাফট ট্রেড ফ্যাসিলেশন স্ট্র্যাটেজি শিগগিরই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য থার্ড ট্রেড মিনিস্টার্স মিটিংয়ে গ্রহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজারবাইজান সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছে। এটিকেও পজিটিভ একটি দিক বা অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের স্থায়ী প্রতিনিধি করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। নাইজেরিয়া কর্তৃক ডি-৮ ইয়ুথ কাউন্সিল গঠনের বিষয়টিও এবারের সম্মেলনে আলোচনা করা হয়। খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য পর্যটন এবং জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

এবারকার সম্মেলেন তিনটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর বাতিল করায় ঢাকায় ডি-৮ মন্ত্রিপর্যায়ের একটি বৈঠক শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে হাইব্রিড পদ্ধতিতে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইসের প্রকোপ আবার বেড়ে যাওয়ায় এই হাইব্রিড বৈঠক। আগে আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সফল বাতিল করেন ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার যদি এ সফরে আসতেন তাহলে সেটি হতো বহু বছর পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতার প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভিসাও সংগ্রহ করেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করেছেন, কেন করলেন বোঝা যাচ্ছে না। তবে, জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নিবিড় সম্পর্কের যে একটি অভাব রয়েছে, নেতাদের ডেডিকেশনের যে ঘাটতি রয়েছে সেটি অনুমিত হচ্ছে। এর বাস্তব কিছু কারণও আছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা গভীর করার জন্য একে অপরকে ট্যারিফ সুবিধা দেওয়া, নিজেদের মধ্যে বিনিয়োগ বাড়ানো, রিজিওনাল গ্রুপিং করা, যার মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মতো নিজেদের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করা এসব কিছুই করা হয়নি ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহন ও মানুষজনের যাতায়াত সহজ করা হয়নি। দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যের ভলিউম বাড়ানো, কোনো ধরনের উদ্যমী উদ্যোগ কোন দেশ বা কোন নেতার পক্ষ থেকে নিতে দেখা যায়নি।

ডি-৮-এর সদস্য দেশগুলো প্রত্যেকে আবার অন্য জোটের সদস্য। প্রত্যেকেই অন্যান্য আঞ্চলিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী। যেমন : বাংলাদেশ রয়েছে বিমসটেকে। অন্যদিকে মালয়েশিয়, ইন্দোনেশিয়া আসিয়ানের সদস্য। ইরান ও তুরস্কেও মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে। আবার তুরস্ক চায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে। ইইউর সঙ্গে তাদের রয়েছে বাণিজ্যিক চুক্তি। যে আঞ্চলিক চুক্তি বা জোট বেশি স্বার্থ সংরক্ষণ করে সেটি এ ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। ফলে ডি-৮-এর মাধ্যমে এর সদস্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ সেভাবে হয়নি, তাই এই জোটকে সামনে এগিয়ে নেয়ে যেতে খুব একটা উদ্যোগ দেখা যায়নি। ভৌগোলিকভাবেও সদস্য দেশগুলোর অবস্থান অনেক বিচ্ছিন্ন এবং তাদের একক কোনো স্বার্থ নেই বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘর্ষ রয়েছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নানা বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও রয়েছে। যেমন : বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের স্বার্থে বড় ধরনের দূরত্ব অনেক পুরোনো ব্যাপার। হিনা রাব্বানির বাংলাদেশে না আসাটা তারও ইঙ্গিত কিছুটা হলেও বহন করছে। দেশগুলোর মধ্য অর্থনৈতিক অবস্থানেও অনেক পার্থক্য রয়েছে।

৯ কোটির কাছাকাছি জনসংখ্যার দেশ তুরস্কে অর্থনীতি, শিল্প, সেবা ও প্রযুক্তি গবেষণা কাঠামোর শক্তিমান উপস্থিতি রয়েছে। দেশটির মাথাপিছু আয় দশ হাজার ডলারের কাছাকাছি। জিডিপিতে শিল্প ও সেবা খাতের অবদানই বেশি যদিও কৃষিতে প্রযুক্তিগতভাবে প্রভূত উন্নতি করেছে। প্রতিরক্ষা প্রতিযুক্তিতে দেশটি বিস্ময়কর উন্নতি করেছে। ওআইসি দেশগুলোতে ১২ শতাংশ আমদানির বিপরীতে ২৬ শতাংশ পণ্য রপ্তানি করে তুরস্ক। ইরান ডির অন্যতম শক্তিমান রাষ্ট্র। সোয়া আট কোটি জনসংখ্যার এ দেশের মাথাপিছু জিডিপির সোয়া সাত হাজার ডলার। ২৭ শতাংশ রপ্তানির বিপরীতে ৭ শতাংশ আমদানি করে। বাংলাদেশকেও উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৬ কোটির বেশি মানুষের এ দেশের মাথাপিছু জিডিপি দুই হাজার ডলারের বেশি। ওআইসভুক্ত দেশগুলোতে ৪ শতাংশ রপ্তানির বিপরীতে সাড়ে ১৯ শতাংশ আমদানি করে। তবে, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তান ও ইরান ভালো অবস্থানে নেই।

ডি-৮-ভুক্ত দেশগুলো ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার সক্রিয় সদস্য। এশিয়া এবং আফ্রিকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে এসব দেশ। ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে অনেক। ১৯৯৯ সালের ১ ও ২ মার্চ জোটের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকায় এবং তখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা। জোটের তৃতীয় সম্মেলন হয় মিসরের রাজধানী কায়রোতে ২০০১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। তখন মিসরের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন হোসনি মোবারক। চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইরানের রাজধানী তেহরানে আর জোটের নেতৃত্বে ছিলেন ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি। ২০০৬ সালের ১৩ মে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তখন জোটের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সে দেশের প্রেসিডেন্ট সুসিলো বাম্বাং ইয়ুধোয়ুনু। ষষ্ঠ সম্মেলন হয় ২০০৮ সালের ৮ জুলাই মালয়েশিরা কুয়ালালামপুরে। ওই সম্মেলেন জোটের পরবর্তী নেতা হন দেশটির তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ আহমদ বাদাবি। পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ জুলাই ২০১০ নাইজেরিয়ার আবুজায় আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুডলাক জনাথন। জোটের অষ্টম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১২ সালের পাকিস্তানের ইসলামাবাদে, তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন আসিফ আলি জারদারি। ২০১৭ সালে ডি-৮ সম্মেলন হয় তুরস্কেও ইস্তাম্বুলে, রজব তাইয়ের এরদোগান প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন। সর্বশেষ সম্মেলনের জন্য নির্ধারিত ছিল ২০২০ সালের মার্চে কিন্তু করোনা হানা দেওয়ায় তা বিলম্বিত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নিকট থেকে সংগঠনটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করেন। এবার এর ২৫তম সম্মেলনও ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো এবং বাংলাদেশ আরো এক বছরের জন্য এই জোটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেল। আগামী এক বছর ডি-৮ চেয়ারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা ছিল মিসরের। তবে, মিসর এবার কপ-২৭-এর দায়িত্বে আছে। তারা সেটা নিয়ে ব্যস্ত। এজন্য মিসর ও সব সদস্য দেশের অনুরোধে বাংলাদেশ আবার এক বছরের জন্য চেয়ারের দায়িত্ব পেয়েছে।

সবশেষে বলা যায়, ডি-৮ হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অর্থনৈতিক গোষ্ঠী। এর সদস্য দেশগুলোর রয়েছে ১১০ কোটি জনসংখ্যা এবং চার ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপি। ১.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বাণিজ্য নিয়ে ডি-৮ এরই মধ্যে একটি বড় অর্থনৈতিক ব্ল্যাকে পরিণত হয়েছে। ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপরসে’র মতে ডি-৮ সদস্য দেশগুলো ২০৫০ সালে বিশ্বের শীর্ষ ২৪টি অর্থনীতির তালিকায় থাকবে এবং ৩৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্মিলিত জিডিপি নিয়ে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

লেখক : কান্ট্রি ডিরেক্টর

ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close