reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০১ জুলাই, ২০২২

আরো এক স্বপ্নের নাম ‘পাতাল রেল’

স্বপ্নই বাস্তবের সূতিকাগার। বাক্যটির সত্যতা নিয়ে দ্বিমত করার কোনো সুযোগ নেই। পাখিরা আকাশে ওড়ে। সেই ওড়া দেখেই মানুষও স্বপ্নের দোলাচলে ভাসতে ভাসতে এক দিন সে আকাশকে জয় করল। শুধু জয় করেই তারা তুষ্ট থাকেনি। এখন আকাশ পেরিয়ে ছুটছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে। একটি স্বপ্নকে ধারণ ও লালন করে রাইট ব্রাদার্স সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বিশ্ববাসীকে জানালেন, স্বপ্ন আছে বলেই আমাদের অস্তিত্ব গতির সাম্রাজ্যে বসবাস করে। এই গতিই সভ্যতার সব উন্নয়নের চাবিকাঠি। আর সব উন্নয়নের সূতিকাগারই হচ্ছে স্বপ্ন, যা ইতিহাসের এক অখন্ড সত্য।

সম্প্রতি আমাদের একটি স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেল। যে স্বপ্নের রূপকার এবং কারিগরের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখেছেন এবং দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং তার নেতৃত্ব এই স্বপ্নকে সফল করতে বিশেষভাবে সহযোগিতা জুগিয়েছে। পৃথিবীতে স্বপ্ন দেখে না এমন মানুষের সংখ্যা সম্ভবত শূন্যের কোঠায়। তবে বেশির ভাগই নিজেরাই স্বপ্ন দেখেন এবং সীমিত বৃত্তে তা আবর্তিত হয়। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ নিজে যেভাবে স্বপ্ন দেখে, সেই স্বপ্নকে সমষ্টির মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে। আমরা বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে পারি। তিনি নিজে স্বপ্ন দেখে সমষ্টির মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই আজ আমরা স্বাধীন। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক আমরা।

একইভাবে তদীয় কন্যা শেখ হাসিনার কথাও সমানভাবে প্রযোজ্য। পদ্মা সেতুকে নিয়ে তার দেখা স্বপ্ন এবং বাস্তবায়নের সার্থক রূপকার হিসেবে তার কথাই উঠে আসে বারবার। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যা একটি মাইলফলকই শুধু নয়, বিশেষ উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়ে থাকার যোগ্যতা রাখে বলেই অনেকের ধারণা। যে জাতি একবার স্বপ্ন দেখতে এবং তার বাস্তবায়নে সফলতা আনতে পারে, তখন স্বপ্ন দেখাটাই তার জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ এখন নতুন করে আরো একটি স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছে। এখানেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বপ্নের নাম ‘পাতাল রেল’।

রাজধানীর যানজট কমাতে আরো একটি স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, উড়ালসড়ক করার পর এবার পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে সরকার। পদ্মা সেতুর মতো এটিও একটি স্বপ্নের প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপানের সঙ্গে ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) বলছে, পাতাল রেল নির্মাণে অত্যাধুনিক ট্যানেল বোরিং মেশিন ব্যবহর করা হবে। পরিবেশ বিপর্যয় নেই বললেই চলে। সাবওয়ে নির্মিত হলে জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ মাটির নিচ দিয়ে চলাচল করবে। যানজটমুক্ত হবে ঢাকা মহানগর। সড়কপথে যেখানে ঘণ্টায় ১০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারে, সেখানে পাতাল রেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

এটিও বাংলাদেশের তথা ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত একটি স্বপ্ন। এটি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে বেঁচে যাবে শত-সহস্র-কোটি কর্মঘণ্টা। দুর্ভোগ সমাপ্তির কথা নাইবা বললাম। একটি ক্রনিক সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে কোটি কোটি মানুষ। পরিশেষে বলতে হয়, স্বপ্ন আছে বলেই দুর্যোগ পাড়ি দেওয়ার চিন্তা মানুষকে তাড়িত করে। আর সে চিন্তার নামই স্বপ্ন। এ রকম স্বপ্ন বারবারই ফিরে আসুক- এটাই প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close