reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ জুন, ২০২২

আবারও করোনা শঙ্কা সাবধানতা জরুরি

মাস চারেক আগে মনে হয়েছিল, আল্লাহর রহমতে আমরা যেন বিপদমুক্ত হলাম। কিন্তু না! বিপদ এখনো সরেনি। বরং সময়ের বিবর্তনে তা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য একটি অশুভ সংকেত। দরোজার কড়া নড়ছে। খুলতেই ডাকপিয়ন বলছে, আপনার জন্য একটি দুঃসংবাদ আছে। সংবাদটি মিডিয়ায়ও প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষভাবে সাবধান করার জন্য আপনার দরোজায় কড়া নাড়া। অসময়ে বিরক্ত করার জন্য আমি দুঃখিত।

মিডিয়া বলছে, দেশে মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে চার মাস পর দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়িয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেল। শনাক্ত বাড়লেও মৃত্যু এখনো আতঙ্কের বাইরে। ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত) ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১৩৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে একজন।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই ঊধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় সামাজিক সংক্রমণের একটি ইশারা। তাদের মতে, সংক্রমণে এমন ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলে রোগী শনাক্তের হার ১৭ শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তথ্যমতে, নতুন রোগীদের নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ১৩৪ জন। আর নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তথ্য বলছে, অল্প কিছুদিন আগে টানা ২০ দিন দেশে কোভিডে কোনো মৃত্যুর খবর ছিল না। কিন্তু তিন দিন ধরে একজন করে মারা যাচ্ছে করোনায় অক্রান্ত হয়ে।

এদিকে সাবধানবাণী উচ্চারণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের যে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই দেশে ফের সামাজিক সংক্রমণ শুরু হবে। শুরুটা ঢাকায়। এরপর চট্টগ্রাম এবং অতঃপর সমগ্র দেশে তা ছড়িয়ে পড়বে। যদি এ মুহূর্ত থেকে আমরা সাবধানতা অবলম্বন না করি, তাহলে আমাদের পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। তারা উল্লেখ করেছেন, নমুনা পরীক্ষা অনেক কম হচ্ছে। ফলে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। পরীক্ষা আরো বাড়ানো দরকার। যদিও সাধারণের এতে আগ্রহ অনেকটা নিম্নমুখী। সরকারকেও এখন থেকে আরো কার্যকর ভূমিকায় নামতে হবে। মনে রাখতে হবে, যাচ্ছি চলে যাচ্ছি চলে বলে করোনা কিন্তু এখনো সরে যায়নি। বলা যায়, ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। যেকোনো সময় হামলে পড়তে পারে। তাই আক্রান্ত হওয়ার আগে সতর্কতাই হতে পারে নান্দনিক ও ইতিবাচক একটি সমাধান।

সবার আগে এই সচেতনতা আসতে হবে সাধারণ মানুষের চিন্তা ও চেতনায়। ঘরে ঘরে প্রতিটি পরিবারে। আমরা করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে অনেক কিছুই শিখেছি। অভিজ্ঞতাও কম হয়নি। সেই অভিজ্ঞতাকে এখন নতুন করে কাজে লাগানোর সময় এসেছে। টিকা এখন খুবই সহজলভ্য। কোনো ধরনের গাফিলতি না করে টিকা গ্রহণের ব্যাপারে এগিয়ে থাকব। মাস্ক পরিধানকে বাধ্যতামূলক হিসেবে গ্রহণ করব। যতদূর সম্ভব পরিচ্ছন্নতাকে জীবনের অংশ হিসেবে ধারণ করব। আমরা মনে করি, বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে করোনা শঙ্কা থেকে দেশ ও জাতি মুক্ত থাকতে সক্ষম হবে। আর এটিই সবার প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close