রায়হান আহমেদ তপাদার

  ২১ মে, ২০২২

পর্যবেক্ষণ

অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে জর্জরিত ব্রিটেন

বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা হয়েছিল ১৯২৯ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত, যাকে মহামন্দা বলে। এ ছাড়া তেলের দাম নিয়ে সৃষ্ট মন্দা, এশিয়ার ঋণ সংকট বিশ্ব অর্থনীতিতে তীব্র প্রভাব ফেলে। ১৭৭২ সালের ঋণ সংকট, ১৭৭২ সালের সংকটটির শুরু লন্ডনে। পরে তা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে। ব্রিটানিকা ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ১৭৬০-এর দশকের দিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তার ঔপনিবেশিক অঞ্চলগুলোতে বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে সম্পদ সংগ্রহ করে, যা ব্রিটিশ ব্যাংকগুলোর মধ্যে অতি-আত্মবিশ্বাস এবং দ্রুত প্রসারণের একটি প্রবণতা তৈরি করে। তবে এর ঢেউটি ১৭৭২ সালের ৮ জুন হঠাৎ শেষ হয়ে যায়। ওইদিন ব্রিটিশ ব্যাংকিং হাউস নিল, জেমস, ফোর্ডিস ও ডাউনের অন্যতম অংশীদার আলেক্সান্ডার ফোর্ডিস তার বিশাল ঋণ পরিশোধের দায় থেকে বাঁচতে ফ্রান্সে পালিয়ে যান। এই সংবাদ বন্দুকের গুলির মতো পুরো ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাংকিং খাতে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আমানতকারীরা তাৎক্ষণিক নগদ টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ব্রিটিশ ব্যাংকগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। পরে এই সংকট স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন অংশ এবং ব্রিটিশ-আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

এ তো গেল পেছনের ইতিহাস। বর্তমান সময়ের গত ১১ বছরে সবচেয়ে বড় মন্দায় পড়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে সংকুচিত হয়েছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২০ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে অর্থনীতি। দোকান বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে, কারখানা ও নির্মাণকাজও কমে গেছে, যা যুক্তরাজ্যকে ২০০৯ সালের পর প্রথম কৌশলগত মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। কৌশলগত মন্দার অর্থ হচ্ছে, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনৈতিক সংকোচন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে মন্দার সূচনা ফেব্রুয়ারি থেকে।

প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপির পতন হয় ৫ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকে পতন হয় ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। সেইসঙ্গে এখনো মার্কিন বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ২ শতাংশ, যা মহামন্দা পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। করোনার কারণে অর্থনৈতিক দুর্দশা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে জাপানে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ এই অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থনৈতিক এই দুর্দশার অন্যতম কারণ হলো ভোক্তা ব্যয় ব্যাপক কমে যাওয়া। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য মহামারির কবলে পড়ায় দেশটির রপ্তানিও অত্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। টানা তিন প্রান্তিকে সংকোচন হয়েছে অর্থনীতিটির, যা কিনা ১৯৫৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থান।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মন্দার সূচনা ফেব্রুয়ারি থেকে। এরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকে পতন হয় ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ। পাশাপাশি দেশটির বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন কবে স্বাভাবিক হবে, তা বলা যাচ্ছে না। করোনার কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সবশেষ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, যেমনটি ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে এই ব্লকের অর্থনৈতিক অবস্থা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফ্রান্সের জিডিপি কমেছে ১৩ দশমিক ৮, ইতালির ১২ দশমিক ৪ এবং জার্মানির ১০ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৯ সালের শেষের দিকে কয়েক হাজার ব্যবসার বিষয়ে এক সমীক্ষা চালায় ব্রিটিশ চেম্বার অব কমার্স উদ্দেশ্য ছিল, ঝুঁকি নেওয়া কিংবা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাসের মূল্যায়ন।

তবে সমীক্ষা শেষে হতাশই হতে হয় বিসিসিকে। কারণ, দেখা যায় দেশটিতে নতুন করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত আট বছরে এত খারাপ অবস্থা আর কখনোই হয়নি। একই সঙ্গে গত ১০ বছরের মধ্যে এ প্রথম টানা দুই প্রান্তিকে ঋণাত্মক ছিল কারখানা থেকে রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ বিক্রি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকজুড়ে ব্রিটিশ অর্থনীতি বড় ধরনের হোঁচট খায়। এ সময় সামগ্রিকভাবে ব্যাপক মন্দা দেখা দেয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোয়। দুর্বল হতে থাকে গার্হস্থ্যব্যয়, বাড়তে থাকে ব্যয় সংকোচনের চাপ। এ অবস্থায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২০ সালে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ। গত বছর কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের সূচকগুলো ছিল স্বাভাবিকের থেকে খুবই দুর্বল। তা ছাড়া বিপর্যস্ত সেবা খাত ও ঝিমিয়ে পড়া উৎপাদন খাতের জন্য গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির পতন হয়। এ ছাড়া ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সামগ্রিকভাবে দেশটিতে খুচরা বিক্রির হার কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ। আর ২০১৯ সালজুড়ে খুচরা বিক্রির এমন পতন ১৯৯৫ সালের পর আর দেখা যায়নি। বিআরসির প্রধান নির্বাহী ব্রায়ান ডিকিন্সন বলেন, আসছে বছরে খুচরা বিক্রি কেমন হবে, তা নির্ভর করছে ব্রিটিশ বাণিজ্যচুক্তির বিষয়ে জনগণের আস্থা কতটুকু তার ওপর। এদিকে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বড়দিনের মৌসুমে ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় চারটি সুপার মার্কেট চেইনে খুচরা বিক্রি আশানুরূপ হয়নি। আর চার বছরের মধ্যে গত বছরই দেশটিতে খুচরা বিক্রির প্রবৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে কম, মাত্র দশমিক ২ শতাংশ। বলা হচ্ছে, বিক্রির এ পতনের জন্য আংশিক দায়ী ছিল ব্রেক্সিট নিয়ে অনিশ্চয়তা।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দাবি করছেন পণ্য ও সেবা খাতে বিস্তৃত এবং মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি একই সঙ্গে তিনি ২০২০ সালের শেষ নাগাদ অন্য সব খাতেও এ সহযোগিতা চাচ্ছেন ইইউর সঙ্গে কোনো ধরনের নীতিনির্ধারণী চুক্তি না করেই। এ অবস্থায় ২০১৯ সালের সংকটের পর আসছে বছরে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকে আরো কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটেন গত মাসে ২০ লাখের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অন্তত এক দিন সারা দিন না খেয়ে থেকেছেন। খাবারের ব্যয় বহন করতে না পারায় তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফুড ফাউন্ডেশনের এক জরিপের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছে।

গার্ডিয়ান জানায়, ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খাবারসহ গৃহস্থালির খরচ ৫৭ শতাংশ কমিয়ে এনেছেন দেশটির বাসিন্দারা। চলতি বছর এই হার আগের বছরের তুলনায় আরো বেড়েছে। জানুয়ারিতে ৪৭ লাখ মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগলেও গেল তিন মাসে তা ৭৩ লাখ ছাড়িয়েছে। ব্রিটেনের বৃহত্তম জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে আসছে শীতে দেশটির জ্বালানি ব্যয় এক হাজার পাউন্ড পর্যন্ত বাড়তে পারে। শুধু প্রাপ্তবয়স্করা ছাড়াও ২৬ লাখের বেশি শিশু আগের থেকে কম খাবার গ্রহণ করে বা ক্ষুধা লাগলেও খাবার পায় না। বিপর্যয়কর এই পরিস্থিতির জন্য বরিস জনসনের সরকারকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেনের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশ- ১৯৯২ সালের পর সর্বোচ্চ। তবে অনেক অর্থনীতিবিদের মতে, মূল্যস্ফীতির হার আরো বাড়বে। গাড়ির জ্বালানি থেকে শুরু করে খাদ্য ও আসবাবের মূল্যবৃদ্ধি এই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্যানুসারে, মার্চ মাসে খাদ্য, জ্বালানি, অ্যালকোহল ও তামাকের মূল্য ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্রিটেন সরকারের তথ্যানুসারে, এই বাস্তবতায় ১৯৫০ সালের পর ব্রিটিশ পরিবারগুলো জীবনযাত্রার ব্যয়ে সবচেয়ে বড় ধরনের সংকোচনের মুখোমুখি হচ্ছে। এই মূল্যস্ফীতি সরকারের জন্য বড় দুঃসংবাদ। ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি জানি, দেশের মানুষ এখন কী অবস্থায় আছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটছে তাদের। সেজন্য মানুষকে অর্থসহায়তা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি ঋষি সুনাকের জন্য খুব একটা ভালো নয় বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, চীনসহ বিভিন্ন স্থানে নতুন করে সরবরাহ-সংকটের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি আবারও চাপের মুখে পড়েছে। যুক্তরাজ্যের বাজেট কার্যালয়ের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষের দিকে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠবে, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত। আর তা হলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াবে গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যা করে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও তাই করবে বলে জানা গেছে।

এদিকে মে মাসের মধ্যে নীতি সুদহার আরো একবার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু এতে মূল্যস্ফীতির রাশ টানা যাবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আরো আক্রমণাত্মক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। এমনকি তীব্র শ্রমিক সংকটের কারণে যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ দোকান, ফিলিং স্টেশন ও সুপার শপে দেখা যাচ্ছে এরকম নোটিস। কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক সংকট ও প্যানডেমিকের কারণে গত দুই বছরে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন তিন লাখেরও বেশি শ্রমিক। শ্রমিকদের এমন গণহারে দেশত্যাগে ব্রিটেনে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। চলতি বছরের এ অবস্থার কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা দেখলেও ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান শ্রমিক সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দেশটির সেবা ও পণ্য পরিবহণ খাত। এতে সমস্যায় পড়েছে দেশটির বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আর উৎপাদন থাকলেও সরবরাহকারী শ্রমিকদের অভাবে প্রকট হয়েছে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট।

দেশটির পরিসংখ্যান বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সাল থেকেই বিভিন্ন সেকটরের শ্রমিকদের দেশত্যাগের প্রবণতা বেড়েছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, কঠোর ইমিগ্রেশন আইন ও প্যানডেমিক সত্ত্বেও তারা শ্রমিকদের বহির্মুখী স্রোত ঠেকাতে পারছেন না। তারা আরো জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের মধ্যেই কাজে ইস্তফা দেওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। যেখানে এশিয়া বা আফ্রিকা থেকে আসা অভিবাসীরা আগের কর্মস্থলেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ব্রিটেনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বিশেষজ্ঞ গোয়েন ডেভিস বলেন, সরবরাহ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য সব খাতেই তার প্রভাব অবশ্যম্ভাবীভাবেই পড়বে। ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলো থেকে আসা শ্রমিকরা দেশছাড়ায় এসব ভ্যাকেন্সি পূরণ করা কঠিন হবে। এটা নিঃসন্দেহে এ দেশের নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা। এখনই ব্যবস্থা না নিলে অর্থনীতি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close