রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৫ মে, ২০২২

পর্যবেক্ষণ

বৈশ্বিক খাদ্য সংকট ও মানবিক বিপর্যয়

ক্ষুধার আগুনে পুড়ছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। যাদের জীবনে দিনে একবারও খাবার জুটে না এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। নানা সংকটে এ সংখ্যা বেড়েই চলছে। ক্ষুধার্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্যের অনিশ্চয়তাও দেখা দিয়েছে বিশ্বে। বর্তমানে বিশ্বের প্রতি তিনজন মানুষের একজন এই অনিশ্চয়তার শিকার। দুই বছর ধরে করোনা মহামারির প্রভাবে বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্তের হারে উল্লম্ফন ঘটেছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির এক বছরেই বিশ্বে ক্ষুধার্ত মানুষ বেড়েছে ১৮ শতাংশ, যা গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি।

এদিকে নতুন করে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান এরই মধ্যে একটি ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়েছে। এটি বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি আরো কিছু বিপর্যয় ডেকে আনবে। এই বিপর্যয়গুলো তিনভাবে অনুভূত হবে। বর্তমান শস্যের চালানে ব্যাঘাত, ইউক্রেন ও রাশিয়ায় কম খাদ্যশস্যের কম ফলন বা ভবিষ্যৎ ফসলের অপ্রাপ্য এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে উৎপাদন হ্রাস পাওয়া। এর ফলে খাদ্য ও জ্বালানির এই উচ্চমূল্য বিশ্বব্যাপী অন্যান্য পণ্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি, মূল্যস্ফীতিকেও বাড়িয়ে তুলবে। আর বাড়িয়ে তুলবে অর্থনৈতিক সংকট ও মানবিক বিপর্যয়।

বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত সারের ২৫ শতাংশই সরবরাহ করে রাশিয়া। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় এখন তাও বন্ধ। যার প্রভাবও পড়ছে বৈশ্বিক কৃষি ব্যবস্থাপনায়। ফলে আফ্রিকা কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো দেশ নয়, খাদ্য সংকটে পড়ার তীব্র শঙ্কা রয়েছে খোদ ইউরোপের। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও জানিয়েছে এমন শঙ্কা। সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভেঙে গেছে গম ও ভুট্টা সরবরাহে শীর্ষে থাকা দেশ দুটির শস্য উৎপাদন ও রপ্তানির অবকাঠামো। ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে ইউরোপের দেশগুলোতে।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশটি থেকে গম ও ভুট্টা রপ্তানি। অন্যদিকে, যুদ্ধ ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া গুরুত্ব দিচ্ছে নিজস্ব চাহিদার দিকে। ফলে রাশিয়া থেকেও শস্য রপ্তানি হচ্ছে না। অথচ দেশ দুটির গম ও ভুট্টার প্রধান আমদানিকারক ইউরোপের দেশগুলো। বৈশ্বিক গম রপ্তানির ৩০ শতাংশই হয় দেশ দুটি থেকে। এমনকি সয়াবিনের ৮০ শতাংশই সরবরাহ করে ইউক্রেন ও রাশিয়া। এফএওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টরেরো বলেন, শীর্ষ গম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থান রাশিয়ার। আর পঞ্চম অবস্থানে ইউক্রেন। এই দুটি দেশে উৎপাদিত শস্যের প্রধান বাজারই ইউরোপ। যুদ্ধের কারণে জ্বালানির দামের সঙ্গে বাড়ছে শস্য উৎপাদন খরচও। দেশ দুটি থেকে রপ্তানি বন্ধ থাকায় মজুদ পণ্যের ওপরও পড়ছে প্রভাব। এতে ভেঙে পড়েছে পুরো সাপ্লাই চেইন। যুদ্ধের এক মাস যেতে না যেতেই এর প্রভাব টের পেতে শুরু করেছে ইউরোপ। এরই মধ্যে দেশগুলোতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি। জাতিসংঘের শঙ্কা এটা ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ম্যাক্সিমো টরেরো আরো বলেন, এখন প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো তাদের রপ্তানির পরিমাণ বাড়াবে কি না। এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা এবং ভারত গম রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছে। তবে এসব উদ্যোগের ফলে বৈশ্বিক চাহিদার কতটুকু পূরণ হবে- সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট বেড়ে যাওয়ায় মস্কোকে দায়ী করা হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানে গমের মজুদ লক্ষ করে বোমা হামলা চালানো এবং জাহাজের মাধ্যমে কিয়েভ থেকে খাদ্যশস্য বহন ব্যাহত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো বলছে, বর্তমানে তারা (রাশিয়া) বিশ্বে খাদ্য ঘাটতির প্রধান কারণ। কেননা, ইউক্রেনের বিভিন্ন নগরীতে বোমা হামলা চালানো এবং দেশটি থেকে খাদ্যশস্যের জোগান বন্ধ হয়ে পড়ায় বিশ্বে খাদ্য সংকট অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। মস্কো যখন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে ‘খাদ্যের ঘাটতি এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যের জন্য দায়ী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে, তখন রাশিয়াই বন্দরে গম আটকে এবং গমের ভা-ার ধ্বংস করে বিশ্বে মন্দা সৃষ্টি করছে। এদিকে জাতিসংঘ বিশ্বে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করার পর তার এই মন্তব্য এলো। জাতিসংঘ জানিয়েছিল, মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চপর্যায়ে পৌঁছেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলছে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ রাশিয়া এবং ২০ শতাংশ ইউক্রেন থেকে হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা অনুমান করছে, পশ্চিম আফ্রিকা এবং সাহেল অঞ্চলে (উভয়ই রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় শস্যের ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল) যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে জুনের মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি লোককে আরো দুরবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের পণ্যবাজারে অর্ধশতকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক। এ সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে গ্যাস থেকে গম ও তুলা পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যে দাম অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এই ধাক্কা ১৯৭০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ার দিকে এগোচ্ছে, যা ব্যবসা ও সংসার চালানোর খরচ অনেক বাড়িয়ে দেবে। সবচেয়ে বেশি বাড়বে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম, যা দ্বিগুণের বেশি বেড়ে যেতে পারে বলে বিশ্বব্যাংকের ধারণা। আগামী বছরের শরৎ এবং ২০২৪ সালের পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে গ্যাসের দাম ১৫ শতাংশ বেশি থাকবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত বিশ্ব টানা ২৩ মাস জ্বালানির দামে ঊর্ধ্বগতি দেখছে। মধ্যপ্রাচ্য সংকটের জেরে ১৯৭৩ সালের জ্বালানি মূল্যবৃদ্ধির পর এটাই দীর্ঘতম সময় ধরে জ্বালানির দাম বেড়ে চলার ঘটনা। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে সতর্ক করা হয়েছে, অনেক খাদ্যপণ্যের দাম হঠাৎ লাফিয়ে বাড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য মূল্যসূচক এরই মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। ছয় দশক আগে এই সূচক চালু করা হয়। গমের দাম ৪২ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে এবং ডলারের হিসাবে এটা দাম বৃদ্ধির নতুন রেকর্ড গড়ার পথে।

যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যান এবং এসঅ্যান্ডপির হিসাবে, যুদ্ধ শুরুর আগে বিশ্বের সয়াবিনের ৬০ শতাংশ ও গম রপ্তানির ২৮ দশমিক ৯ শতাংশ এ দুই দেশ থেকে মিলত। যুদ্ধ চলায় ইউক্রেন থেকে দানাদার শস্য ও তেলবীজের সরবরাহ ৮০ শতাংশ কমে গেছে, যা এক বছরের সরবরাহ হিসেবে বিবেচনা করলে বিশ্বের ১০ দিনের বেশি খাদ্য ঘাটতির সমান। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যপণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আরচার ড্যানিয়েলস মিডল্যান্ডের প্রধান নির্বাহী হুয়ান লুসিয়ানো বলেন, দাম শিগগির কমবে এমন আশা করা যাচ্ছে না বর্তমান প্রেক্ষাপটে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ন্যাগল বলেন, ইউক্রেনে যুদ্ধে যে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, অন্য দেশগুলো মধ্য মেয়াদের জন্য এই সরবরাহ ঘাটতির সুরাহা করতে পারে। তবে এ বছর সারের দাম ৬৯ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার মানে হচ্ছে, চাষিরা কম সার ব্যবহার করবেন, তাতে আগামীবারও ফলন কমবে। ইউক্রেনে যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকার সময়সীমাও ততই বাড়তে থাকবে বলে সতর্ক করেছে বিশ্বব্যাংক।

জাতিসংঘ এবং বিশ্বব্যাংক সাম্প্রতিক পৃথক দুটি প্রতিবেদনে বলেছে, করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব বর্তমানে এমন ভয়াবহ অর্থনৈতিক এবং খাদ্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে, যা কেউই গত কয়েক দশকেও দেখেননি। জাতিসংঘ বলছে, করোনার কারণে এমন খাদ্য সংকট বিশ্ব জুড়ে দেখা দেবে, যা গত ৫০ বছরেও দেখা যায়নি। আর পুরো বিশ্ব এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি, যাতে দরিদ্র মানুষই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছে, ত্বরিৎ ও জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই মহাদুর্যোগ মোকাবিলা সম্ভব হবে না। আর এটি সম্ভব না হলে সুদীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের কোটি কোটি শিশুসহ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিদারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, যা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এদিকে সামগ্রিক বৈশ্বিক অর্থনীতি এমন এক সুগভীর মন্দার মধ্যে পড়েছে, যার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর দেখা যায়নি। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হবে বিশ্বব্যাপী কৃষিতে যুদ্ধের প্রভাব। বৃহত্তর রাশিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পটাশসহ গুরুত্বপূর্ণ সার উপাদানগুলোর একটি বড় সরবরাহকারী।

২০২১ সালে ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও পরিবহন খরচ এবং ২০২১ সালে বেলারুশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে সারের দাম এরই মধ্যে প্রকারভেদে দ্বিগুণ বা তিন গুণ বেড়েছে, যা বিশ্বে পটাশের ১৮ শতাংশ উৎপাদন করে। পরামর্শক সংস্থা ক্রুর হামফ্রে নাইট সতর্ক করেছেন, যেহেতু রাশিয়া পটাশের বৈশ্বিক উৎপাদনের ২০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে, নিশ্চিতভাবে এর মূল্য আরো বাড়বে এবং তাই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বিশ্বের প্রতিটি কৃষি অঞ্চলে অনুভূত হবে। এ ছাড়া খাদ্য সংকটের এই ধাক্কাটি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হবে, যেখানে প্রায় ৮ কোটি মানুষ কৃষ্ণ সাগরের গমের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। এর মধ্যে রয়েছে তুরস্ক, যা দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরের বেশির ভাগ অংশে ময়দা সরবরাহ করে। মিসর সাধারণত তার ৭০ শতাংশ গম রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে ক্রয় করে। বাকি ৩০ শতাংশের অর্ধেকই একা লেবানন আমদানি করে।

ভার্দে এগ্রিটেকের ক্রিস্টিয়ানো ভেলোসো বলেন, মাংস এবং কৃষি পণ্যের অন্যতম বিশাল উৎপাদক ব্রাজিল, রাশিয়া বা বেলারুশ থেকে তার পটাশের ৪৬ শতাংশ আমদানি করে। সার এবং জ্বালানির উচ্চতর মূল্য সর্বত্র কৃষকদের প্রান্তিক আয়কে সংকুচিত করবে এবং অবশেষে এই ব্যয়ভার ভোক্তাদের ঘাড়ে চড়াও হবে। নিকট ভবিষ্যতে খাদ্যসংকট শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বগ্রাসী রূপ ধারণ করতে পারে। যার পূর্বাভাস এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সম্ভাব্য চরম খাদ্য সংকটের আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রনেতারা যথেষ্ট ভাবিত। দুই শতাধিক বর্ষ আগে অর্থনীতিবিদ থমাস মালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বে খাদ্যাভাব জর্জরিত ভবিষ্যৎ বিশ্বের রূপ চিত্রায়িত হয়েছে। যাই হোক, বর্তমান বিশ্বে ক্রমপ্রকটমান খাদ্যসংকটকে প্রত্যক্ষভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পর্যালোচনা করা মূল উদ্দেশ্য নয়। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্পায়ন-নগরায়ণ কীভাবে খাদ্যসংকটে এক ভয়াবহ মাত্রার সংযোজন ঘটিয়ে চলেছে- সেটিই আলোচনার প্রতিপাদ্য।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close