মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী
বিশ্লেষণ
বিএনপির মুখে মানুষ হত্যার তত্ত্ব!
গত ২ অক্টোবর সাবেক বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন। তারা ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জাপান বিমান জিম্মি নাটকের অন্তরালে তৎকালীন বিমানবাহিনীর প্রায় ১ হাজার ৪০০ কর্মকর্তাকে বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া এবং ফশন হাজারের অধিক কর্মকর্তা-সদস্যকে কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ এনে এর জন্য তৎকালীন সেনাপ্রধান, সামরিক শাসক এবং সরকারপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমানকে দায়ী করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘ ৪৪ বছরের তাদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার কথা আবেগজড়িত কণ্ঠে উপস্থাপন করেন। তারা এই দাবিও করেন যে, যেসব বিমানবাহিনী কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাদের লাশ ফেরত দেওয়া হয়নি, কোথায় তাদের লাশ সমাহিত করা হয়েছে, তাও বলা হয়নি। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও কোনো বিচারের সম্মুখীন করা হয়নি। তারা সবাই অন্যায়ভাবে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন কিংবা চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এজন্য তারা একটি স্বাধীন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন অনুসন্ধান কমিশন গঠনেরও দাবি করেন। এর আগের দিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডের জন্য জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে একটি সমাবেশ করে তার সমাধি চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরিয়ে ফেলার দাবিও করেন। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় হওয়ায় বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭৭ সালের ওই হত্যাকাণ্ড এবং কারাদণ্ড, চাকরিচ্যুতদের সঙ্গে জিয়াউর রহমান দায়ী নন এমন দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, ১৯৭২-৭৫ সালে যে ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরাও নাকি এখনো বিচারের দাবি করেন! তিনি সিরাজ সিকদারের হত্যাকাণ্ডের কথাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন।
বিএনপি জন্মের পর থেকে সিরাজ সিকদারের হত্যা এবং ৭২-৭৫ সালে ৩০ হাজার মানুষ হত্যার একটি দাবি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বরাবরই রাজনীতিতে উচ্চারণ করে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ নিয়ে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য হতে শোনা যায়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন করে আবার সিরাজ সিকদার ও ৩০ হাজার মানুষ হত্যার তত্ত্ব আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, বিশেষত ১৯৭২-৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ঘটেছে বলে প্রচারে নিয়ে আসে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এ বিষয়টি খুব বেশি জানে না, কিন্তু ৩০-৪০ বছর আগের তরুণদের কাছে বিএনপি বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর শাসনামলে ৩০ হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ হত্যার কথা বারবার উচ্চারণ করত। অনেকেই বিষয়গুলো সম্পর্কে শুনলেও প্রকৃত কোনো তথ্য তাদের জানা ছিল না। তবে ৩০ হাজার মানুষের হত্যার বিষয়টি সে সময়ে অনেককে বেশ নাড়া দিত, ত্রাস হিসেবে উপস্থাপিত হতো। সিরাজ সিকদারের হত্যাকাণ্ডটিকে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করত। যেহেতু তিনি একটি দলের প্রধান ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ডটি তাই অনেকের কাছেই অজানা থাকলেও এক ধরনের আবেগ সৃষ্টি করত। সিরাজ সিকদারের হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বিচারবহির্ভূতভাবে। সে কারণে সেটি অনেকের কাছে সহানুভূতি পাওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে বিএনপি সিরাজ সিকদারকে কতটা ভালোবেসে তার হত্যাকাণ্ডের ইস্যু থেকে বারবার সামনে আনার চেষ্টা করে সেটি অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়। আবার অনেকে আওয়ামী বিরোধিতার মানসিকতা থেকে সিরাজ সিকদারের ‘শ্রেণিশত্রু’ খতম করার নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ছাড়াও পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ, লুটপাট, জোতদার, মহাজনদের হত্যার বিষয়টিকেও তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে একাকার করে প্রচারের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের তরুণদের বিভ্রান্ত করতে কাজে লাগিয়ে থাকে। অনেকে স্বাধীনতাণ্ডউত্তরকালের পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য না জানার কারণে এসব হত্যাকাণ্ডকে সরকার কর্তৃক বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যার অভিযোগ হিসেবে বিশ্বাসও করে থাকে। খুব গভীরভাবে সেই সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে বোঝার ক্ষেত্রে অনেকেই নানা প্রচার-অপপ্রচারের কারণে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। আবার সেই সময়ের উগ্র, হঠকারী, বাম, ডান রাজনীতির অনেকেই বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর বিএনপিতে আশ্রয় নিয়ে তাদের স্বাধীনতাণ্ডউত্তর ‘শ্রেণিশত্রু’ খতমের রাজনীতির দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে জনগণের দৃষ্টি সেদিকে প্রক্ষেপণ করার চেষ্টা করে আসছে। তারাই সেই সময় ৩০ হাজার নেতাকর্মীর হত্যার কথা বলে বেড়াতেন। সিরাজ সিকদারের হত্যাকাণ্ডকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনতেন। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ১৯৭২-৭৫ সময়ের বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল সম্পর্কে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা। সেটি তারা সম্মিলিতভাবে ডান, বামের অনেকের সংযুক্তির ফলে দীর্ঘদিন করেও ছিল। এর একটি প্রভাবও দেশের তরুণদের মধ্যে কমবেশি পড়েছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব এখন ৩০ হাজার মানুষ হত্যা ও সিরাজ সিকদার হত্যার তত্ত্ব জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সেনাসদস্যদের দাবির বিষয়টিকে আড়াল করার জন্য ১৯৭২-৭৫ হত্যাকাণ্ডের পুরোনো মিথ্যাচারকে আবারও সম্মুখে নিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন জাগে তিনি কি তখন ওই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন? ৩০ হাজার নেতাকর্মী হত্যার পরিসংখ্যানটি কোথায় তারা পেলেন? সেসময় সিরাজ সিকদারের সর্বহারা দল আবদুল হক, আলাউদ্দিন, তোহা এবং জাসদের একটি অংশের উগ্রবাদী রাজনীতির কথা সবারই জানা ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে ১৯৭২-৭৫ সালের উগ্রবাদী রাজনীতিক কর্মকাণ্ডের নানা গতি-প্রকৃতি, তাদের হত্যাকাণ্ড, ‘শ্রেণিশত্রু’ খতমের নামে গলাকাটা রাজনীতি, পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ, অস্ত্র লুটপাট, পাটের গুদামের আগুন, আওয়ামী লীগের এমপি, এমএলএ হত্যার তথ্যসংবলিত বেশ কিছু মৌলিক গবেষণাধর্মী বই প্রকাশিত হয়েছে। এসব বই থেকে যেসব তথ্য জানা যায় তাতে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, হঠকারী বাম, উগ্র বিপ্লববাদী সর্বহারা মতাদর্শের বেশির ভাগ দল দেশের অভ্যন্তরে গলা কাটা রাজনীতিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যার কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করেছিল। শুধু তাই নয়, নিজেদের দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও বিপ্লববাদের পবিত্রতা রক্ষার নামে একে অপরকে হত্যা করেছে। বহু তরুণ-তরুণী বিপ্লববাদে অংশ নিয়ে একে অপরের ‘শ্রেণিশত্রুতে’ পরিণত হয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। সিরাজ সিকদার এমনই এক রোমান্টিক সর্বহারা বিপ্লববাদী দলের সর্বময় কর্তৃত্বের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন যেখানে তিনি ছিলেন এক রহস্য রাজপুত্র। তার জন্য নেতাকর্মীরা জীবন উৎসর্গ করতে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন, ভাড়ামিডিয়া হয়ে আসা তার নানা হুকুম, আদেশ, নির্দেশ পালন করতে তরুণ শত শত নেতাকর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধা করছিল না। অথচ বিপ্লবী রাজনীতির সেই বরপুত্র দিন দিন রহস্যের গভীরে লুকিয়ে অন্য জীবন খুঁজে নিয়েছিলেন। ক্রমেই তিনি স্বেচ্ছাচারী এবং জীবন উপভোগকারী এক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। প্রথমা থেকে ২০২১ সালে প্রকাশিত মহিউদ্দিন আহমদ রচিত ৪৩০ পৃষ্ঠার ‘লাল সন্ত্রাস : সিরাজ সিকদার ও সর্বহারা রাজনীতি’ শিরোনামের বইটি মনোযোগ দিয়ে পাঠকরা পড়ে দেখতে পারেন। এই গ্রন্থে সিরাজ সিকদারের ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে রাজনৈতিক, শেষের দিকে দল গঠন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতের চারু মজুমদারের নকশালবাড়ীর অনুকরণে বরিশালের পেয়ারা বাগান ঘাঁটি তৈরি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত বিরোধিতা, চীনের আনুগত্য এবং মূলধারার মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে যে রাজনৈতিক অবস্থান প্রদর্শন করেছিলেন তা কোনো অবস্থাতেই সমর্থন কিংবা শ্রদ্ধা লাভের আদর্শ অনুশ্রিত রাজনীতি হতে পারে না। তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দলের নাম পরিবর্তন করে সর্বহারা পার্টি গঠন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলকে তার রণক্ষেত্র হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। এর সঙ্গে অনেকেই তখন যুক্ত হয়ে পড়েছিলেন। তরুণদের একটি বিরাট অংশ রোমান্টিক বিপ্লববাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সর্বহারা পার্টিতে যোগদান শুরু করে। সিরাজ সিকদার ক্রমেই চেয়ারম্যান মাওকে অনুসরণ করে নিজেকে রাজনৈতিক, সামরিক এবং গেরিলাযুদ্ধের সেনানায়ক হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। সারা দেশকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে নানা ধরনের গেরিলা ব্যাটালিয়ন তৈরি করেন। তার অনুগত বিভিন্ন ব্যক্তিকে এসব গ্রুপের নেতৃত্ব প্রদান করেন। এরাই ‘শ্রেণিশত্রু’ খতমের নামে গলা কাটা রাজনীতি, ব্যাংক লুট, পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ, পুলিশ হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ইত্যাদিতে যুক্ত হয়। দলের চেয়ারম্যান সিরাজ সিকদার থাকতেন সবার অদৃশ্যে, গোপনে। কিন্তু তার পোশাক, চালচলন, থাকাণ্ডখাওয়া সবই ছিল দলের বিশেষ দায়িত্বে- যেখানে তার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সর্বহারা রাজনীতির কোনো মিল ছিল না। তার প্রথম বিয়ে ভেঙে যায়, দ্বিতীয় বিয়ে থাকলেও নারী কর্মীদের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কের যে বিবরণ খালেদা বেগমের জবানবন্দিতে (৩৫৪-৩৭৪) ফুটে ওঠে তা লোমহর্ষক। খালেদা পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করলেও ১৯৭০ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং সিরাজ সিকদারের অন্যতম সহযোদ্ধা সামিউল্লার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে যুক্ত হন এবং বিয়েও হয়। ১৯৭১ সালে সামিউল্লাহর মৃত্যু হলেও খালেদা দলের সঙ্গেই যুক্ত থেকেছিলেন। দলের সঙ্গে থাকার তার অভিজ্ঞতা দিন দিন তিক্ত হতে থাকে। তিনি দলের চেয়ারম্যানের লালসার হাত থেকেও রেহাই পাননি। ১৯৭৬ সালে তিনি আবার ভারত চলে যান। তার বর্ণনাতে রাজনীতির চাইতে দলে নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও অন্যান্য অনৈতিক প্রসঙ্গ প্রাধান্য পেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সিরাজ সিকাদারের দলেরই একজন উঠতি নেতা রবিনের প্রেমিক অথবা স্ত্রীর ওপর চেয়ারম্যান সিরাজ সিকদারের দৃষ্টি পড়া থেকেই মনোমালিন্য গাঢ় হতে থাকে। সেখান থেকেই তাকে গোয়েন্দা সংস্থার হাতে ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম হালিশহরে গোপন আস্তানা থেকে রবিনের সহযোগিতায় তাকে বের করে আনা হয় এবং নিউমার্কেটের পাশে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিরাজ সিকদারের দল করতে গিয়ে অসংখ্য তরুণ-তরুণী, মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল ব্যক্তি ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে প্রাণ হারান। ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানকারী বাংলা বিষয়ের শিক্ষক, প্রতিশ্রুতিশীল কবি হুমায়ন কবিরকে আদর্শচ্যুতির অভিযোগে ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে ঢেকে এনে হত্যা করা হয়। তার দুটি শিশুসন্তান ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার স্ত্রীকে একটি চাকরি দিয়ে পরিবারটিকে রক্ষা করে। কিন্তু অসংখ্য তরুণ-তরুণীর পাশে দাঁড়ানোর কেউ ছিল না। তাদের কথা এখন অনেকেই ভুলে গেছে। অথচ এদের অনেকেই হতে পারত বাংলাদেশের একেকজন প্রতিভাবান ব্যক্তি। সিরাজ সিকদার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিএনপি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু এবং শেখ কামালকে জড়িয়ে সিরাজ সিকদারের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে একটি মামলাও করেছিল। রক্ষীবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারও করা হয়েছিল। রক্ষীবাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে এবং পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে কর্মশেষ করে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা আনোয়ার উল আলমের লেখা ‘রক্ষী বাহিনীর সত্য মিথ্যা’মূলক গ্রন্থে অসংখ্য তথ্য রয়েছে, যা বিএনপির প্রচারিত তথ্যের সঙ্গে মোটেও সংগতিপূর্ণ নয়। দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নেতারা এসব বইপুস্তকের কতটা খোঁজখবর রাখেন জানি না। তবে দীর্ঘদিনের মিথ্যাচার থেকে জাতিকে মুক্ত করতে তাদের উচিত এসব বইপুস্তকের ওপর ভিত্তি করে বক্তব্য প্রদান করা। আরো অনেক বই লেখার প্রয়োজন রয়েছে সেটিও মনে রাখতে হবে।
লেখক : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলামিস্ট
"