রেজাউল করিম খান
শ্রদ্ধাঞ্জলি
মানবতার সেবায় একজন বিপ্লবী নারী
পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের অধিকাংশ লেখাপড়া জানা বাঙালিই ইলামিত্রের নাম জানেন। কিন্তু কম বয়সিরা হয়তো এখনো তাকে তেমনভাবে জানতে পারেননি। তাদের উদ্দেশেই এই লেখা। ইলামিত্র একজন বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেতা। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করেছেন। ভোগ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন। ইলামিত্রের জন্ম ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায়। তার বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের অধীন বাংলার অ্যাকাউন্টেন্ট জেনারেল। তাদের আদি নিবাস ছিল তৎকালীন যশোরের ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকরির সুবাদে তারা সবাই কলকাতায় থাকতেন। লেখাপড়া করেন কলকাতার বেথুন স্কুল ও বেথুন কলেজে। এই কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। কৈশোরে তিনি খেলাধুলায় তুখোড় ছিলেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজ্য জুনিয়র অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন। সাঁতার, বাস্কেটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলায়ও তিনি ছিলেন পারদর্শী। তিনিই প্রথম বাঙালি মেয়ে যিনি ১৯৪০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিক বাতিল হয়ে যাওয়ায় তার অংশগ্রহণ করা হয়নি। খেলাধুলা ছাড়াও গান, অভিনয়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকা-েও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী।
ইলা সেন যখন বেথুন কলেজের ছাত্রী তখন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় ঘটে। ১৯৪৩ সালে তিনি কলকাতা মহিলা সমিতির সদস্য হন। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতিতে কাজ করার সময় মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৪৫ সালে ইলা সেনের বিয়ে হয় দেশকর্মী কমিউনিস্ট রমেন্দ্র মিত্রের সঙ্গে। রমেন্দ্র মিত্র মালদহের নবাবগঞ্জ থানার রামচন্দ্রপুর হাটের জমিদার মহিমচন্দ্র ও বিশ্বমায়া মিত্রের ছোট ছেলে। বিয়ের পর বেথুনের তুখোড় ছাত্রী ইলা সেন হলেন জমিদার পুত্রবধূ ইলা মিত্র। কলকাতা ছেড়ে চলে এলেন শ্বশুরবাড়ি রামচন্দ্রপুর হাটে। হিন্দু রক্ষণশীল জমিদার পরিবারের নিয়মানুসারে অন্দর মহলেই থাকতেন তিনি। এই বন্দিজীবনে মুক্তির স্বাদ নিয়ে আসে গ্রামবাসীর একটি প্রস্তাব। রমেন্দ্র মিত্রের বন্ধু আলতাফ মিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় বাড়ির কাছেই কৃষ্ণগোবিন্দপুর হাটে মেয়েদের জন্য একটি স্কুল খোলা হয়। বাড়ি থেকে অনুমতিও মেলে। সংগ্রামী নেত্রী এভাবেই অন্দর মহল থেকে বের হয়ে এসে আবার নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন বৃহত্তর সমাজ সেবার কাজে। হয়ে ওঠেন এলাকার
রানিমা। এ সময় তিনি স্বামী রমেন্দ্র মিত্রের কাছে জমিদার ও জোতদারের হাতে বাংলার চাষিদের নিদারুণ বঞ্চনা শোষণের কাহিনি শোনেন। কমিউনিস্ট রমেন্দ্র মিত্র এর আগেই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নিজের পারিবারিক ঐতিহ্য ও মোহ ত্যাগ করে কৃষকের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ইলা মিত্রকে তিনি তাদের কাজে যোগ দিতে উৎসাহিত করেন। ছাত্রীজীবনেই ইলামিত্র কমিউনিস্ট আদর্শের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাই স্বামীর আদর্শ ও পথ চলার সঙ্গে সহজেই নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন
ইলামিত্র।
জমিদারদের সঙ্গে ফসল উৎপাদনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ সময় জমিদার ও কৃষকদের মাঝখানে জোতদার নামে মধ্যস্বত্বভোগী এক শ্রেণির উদ্ভব ঘটে। এরা পত্তনি প্রথার মাধ্যমে জমিদারদের কাছ থেকে জমি পত্তন বা ইজারা নিত। এই জোতদার শ্রেণি কৃষকের জমি চাষ তদারকি ও খাজনা আদায়ের কাজ করত। ফসল উৎপাদনের সম্পূর্ণ খরচ কৃষকরা বহন করলেও যেহেতু তারা জমির মালিক নন সে অপরাধে উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক তুলে দিতে হতো জোতদারদের হাতে। এ ব্যবস্থাকে বলা হতো ‘আধিয়ারী’। জোতদারি ও জমিদারি প্রথা ক্ষুদ্র কৃষকদের শোষণের সুযোগ করে দেয়। খাজনা আদায়ের জন্য জোতদাররা তাদের সঙ্গে দাসের মতো ব্যবহার করে। উৎপন্ন ফসলের পরিবর্তে একসময় কৃষককে বাধ্য করা হয় অর্থ দিয়ে খাজনা পরিশোধ করতে। ফলে কৃষকরা গ্রামীণ মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হন। সর্বস্বান্ত হয়ে একসময়ের সমৃদ্ধ বাংলার কৃষক পরিণত হন আধিয়ার আর খেতমজুরে। জমিদার-জোতদারদের এই শোষণ কৃষকের মনে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। এই বিক্ষোভকে সংগঠিত করে ১৯৩৬ সালে গঠিত হয় ‘সর্ব ভারতীয় কৃষক সমিতি’। এ ছাড়া জনসাধারণের কাছ থেকে হাটের ‘তোলা’ ও ‘লেখাই’সহ নানা কর আদায় করা হতো। এসব বন্ধের জন্য আন্দোলন জোরদার হয়। চল্লিশের দশকে এসব আন্দোলনেও ইলামিত্র নেতৃত্ব দেন।
১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ বাংলা ১৩৫০ সালে সমগ্র বাংলায় দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ, যা পঞ্চাশের মন্বন্তর নামে পরিচিত। এ দুর্ভিক্ষের সময় কৃষকের ওপর শোষণের মাত্রা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এ সময় অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে মরিয়া হয়ে ওঠে শোষিত কৃষকরা। তিন ভাগের দুই ভাগ ফসল কৃষকের এই দাবি নিয়ে বেগবান হয় তেভাগা আন্দোলন।
১৯৪৬-১৯৪৭ সালে দিনাজপুরে কমরেড হাজী দানেশের প্রচেষ্টায় সূচিত হয় এক যুগান্তকারী তেভাগা আন্দোলন। কমিউনিস্ট পার্টি ও কৃষক সমিতি প্রান্তিক চাষিদের সংগঠিত করে আন্দোলনকে জোরদার করতে থাকে। পার্টি থেকে রমেন্দ্র মিত্রকে গ্রামের কৃষক সমাজের মধ্যে কাজ করার দায়িত্ব দিয়ে কলকাতা থেকে নিজ গ্রাম রামচন্দ্রপুর হাটে পাঠালে স্বামীর সঙ্গে ইলামিত্র সরাসরি মাঠপর্যায়ে কৃষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের পর মিত্র পরিবারের জমিদারি অঞ্চল রামচন্দ্রপুর হাট পূর্বপাকিস্তানের রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। পাকিস্তান হওয়ার পরও তেভাগা আন্দোলন অব্যাহত থাকে। কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পার্টির শীর্ষস্থানীয় হিন্দু নেতাদের প্রায় সবাইকে দেশ ছাড়া করা হয়। সরকারের এই দমননীতির ফলে কমিউনিস্ট ও কৃষক আন্দোলনের নেতারা আত্মগোপন করে কাজ করতে থাকেন।
তেভাগা আন্দোলনের সময় ইলামিত্রের ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতন চলে। এখানে ১৯৫০ সালের ৫ জানুয়ারি ও তৎপরবর্তী ঘটনা এবং রাজশাহীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়তো বাহুল্য হবে না। জবানবন্দিটি তিনি দিয়েছিলেন ইংরেজিতে। ৫ জানুয়ারি (১৯৫০) সাঁওতাল চাষিরা জোর করেই জোতদারদের জমির ধান কাটতে যায়। খবর পেয়ে নাচোল থানার এএসআই তফিজুদ্দিন আহমদ কয়েকজন কনস্টেবলসহ ঘটনাস্থলে গমন করেন। সংঘর্ষ শুরু হলে সাঁওতাল চাষিরা সশস্ত্র বিপ্লবের বিভিন্ন ধ্বনি দিতে দিতে এএসআই ও তিনজন কনস্টেবলকে আক্রমণ করে। সাঁওতালরা তাদের রাইফেল কেড়ে নিয়ে চারজনকেই হত্যা করে। লাশগুলো ওই স্থানেই মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। ওই হত্যাক-ের কারণেই ৭ জানুয়ারি রোহনপুর স্টেশনে ইলামিত্র গ্রেপ্তার হন।
এবার শুনুন ইলামিত্রের জবানিতে, ‘কেসটির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। বিগত ৭/১/৫০ তারিখে আমি রোহনপুরে গ্রেপ্তার হই এবং পর দিন আমাকে নাচোলে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে পুলিশ আমাকে মারধর করে। থানায় আমাকে একটি সেলের মধ্যে রাখা হয়। হত্যাকা- সম্পর্কে সবকিছু স্বীকার না করলে উলঙ্গ করা হবে বলে এসআই আমাকে হুমকি দেয়। আমার বলার কিছুই ছিল না। সুতরাং তারা আমার সব কাপড় খুলে নেয় এবং সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় সেলের মধ্যে বন্দি করে রাখে। সারা দিন আমাকে খাবার দেওয়া হয় না, এমনকি একবিন্দু জলও না। সন্ধ্যায় এসআইয়ের উপস্থিতিতে সিপাইরা বন্দুকের বাট দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। পরে আমার কাপড় ফেরত দেওয়া হয়। রাত প্রায় ১২টার সময় সেল থেকে আমাকে বের করে সম্ভবত এসআইয়ের কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, আমি নিশ্চিত ছিলাম না। সেখানে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তারা নানা রকম অমানুষিক পদ্ধতিতে চেষ্টা চালিয়েছিল। দুটি লাঠির মধ্যে আমার পা ঢুকিয়ে চাপ দেওয়া হয়। নির্যাতন চালানোর সময় রুমাল দিয়ে আমার মুখ বেঁধে দিয়েছিল। চুল উপড়ানোর ফলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। সিপাইরা আমাকে ধরাধরি করে সেলে নিয়ে যায়। তখন ওই এসআই সিপাইদের চারটি গরম সিদ্ধ ডিম আনার হুকুম দেয়। তারপর চার পাঁচজন সিপাই আমাকে জোরপূর্বক চিৎ করে শোয়ায় এবং একজন আমার যৌনাঙ্গের মধ্যে একটি গরম ডিম ঢুকিয়ে দেয়। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি।
৯ তারিখ সকালে যখন আমার জ্ঞান ফেরে, তখন এসআই ও কয়েকজন সিপাই আমার সেলে এসে বুট দিয়ে আমার পেটে লাথি মারে। এরপর ডান পায়ের গোড়ালিতে পেরেক ঢুকিয়ে দেয়। এসআই বলে, ‘রাতে আসব, যদি স্বীকার না করো, সিপাইরা তোমাকে ধর্ষণ করবে।’ গভীর রাতে তারা এলো এবং একজন সিপাই সত্যিই আমাকে ধর্ষণ করতে শুরু করল। পর দিন যখন জ্ঞান ফেরে তখন দেখি আমার কাপড়-চোপড় রক্তে ভেজা। সেই অবস্থাতেই আমাকে নাচোল হতে নবাবগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয়। নবাবগঞ্জ জেলগেটের সিপাইরা ঘুষি মেরে আমাকে অভ্যর্থনা জানায়। ১৬/১/৫০ তারিখে আমাকে অন্য এক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সিপাইরা জোর করে একটি সাদা কাগজে আমার সই আদায় করে। তখন আমি অর্ধ-চেতন অবস্থায় খুব বেশি জ্বরের মধ্যে ছিলাম।’
এরপর ইলা মিত্রকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে নির্যাতনের তৃতীয় ধাপ চলে। মুমূর্ষু অবস্থায় ইলা মিত্রকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার আরো অবনতি হলে ১৯৫৪ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের পাঁচ সদস্যের এক কমিটি ইলা মিত্রের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানিসহ আরো কয়েকজন নেতা প্রতিবেদনটি লেখেন। কোনো ধরনের শর্ত ছাড়া যদি ইলাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আর তাকে প্রাণে বাঁচানো যাবে না। ইলামিত্রকে দেখতে তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শত শত ছাত্রছাত্রী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের লোকজন ছুটে যায়। শেষ পর্যায়ে সরকার তাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে কলকাতা যাওয়ার অনুমতি দেয়।
১৯৫৪ সালে তিনি কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় চলে যান। ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিশ্চিত না হওয়ায় প্রচ- দুরবস্থায় কয়েক বছর বস্তিতে জীবনযাপন করেন। এরপর এমএ পাস করে তিনি কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনায় যোগ দেন। ১৯৬২-৭৮ সময়ের মধ্যে মানিকতলা নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি পরপর চারবার পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার সদস্য নির্বাচিত হন। এরমধ্যে দুবার তিনি ছিলেন বিধান
সভায় কমিউনিস্ট পার্টির ডেপুটি লিডার। ভারতে শিক্ষা আন্দোলন ও নারী আন্দোলনে বিশিষ্ট ভূমিকা পালনকারী ইলামিত্র ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রাদেশিক পর্যায়ের নেতৃত্বে সমাসীন ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি কলকাতা সিটি কলেজের বাংলা সাহিত্যে অধ্যাপিকা হিসেবে ১৯৮৯ সালে অবসর নেন।
ইলামিত্র বাংলাদেশে এসেছিলেন ১৯৯৬ সালে। ৬ নভেম্বর নাচোল ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে সরকারি কলেজ) মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভার তিনি ভাষণ দেন। ওই জনসভায় উপস্থিত থেকে ইলা মিত্রকে দেখা ও তার কথা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল এই লেখকের। ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর এই মহীয়সী নারী কলকাতায় মারা যান। ইলামিত্রের অসাধারণ সাহসী এবং সংগ্রামী জীবন বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার প্রগতিশীল মানুষের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস।
লেখক : সাংবাদিক
"