অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর

  ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

দৃষ্টিপাত

বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ

স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি মাত্র ২০ বছর এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। এ দেশের যাবতীয় উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এই সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এ দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়ার সূচনা করেছিলেন আর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে যত উন্নয়ন, তার বীজ বপন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে ধ্বংস্তূপ থেকে এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে একেবারে শুরু থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথমেই কৃষিকে গুরুত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা। তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় তিনি দেখতে চেয়েছিলেন কৃষি ও কৃষকের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন এবং স্বনির্ভরতা। সেই লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পুনঃসংস্করণ, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন এবং স্বায়ত্তশাসন প্রদান, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনসহ অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেন। তিনি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ থেকে ১০১ কোটি টাকা শুধু কৃষি উন্নয়নের জন্য রেখেছিলেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এদেশের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং বাংলাদেশের কৃষি পিছিয়ে পড়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন এবং কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো পুনরায় শুরু করে মাত্র পাঁচ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন ক্ষমতায় আসেন তখন ২৪ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। পাঁচ বছর পর যখন তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন তখন ২৬ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত ছিল। তার মানে বাংলাদেশকে তিনি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পেরেছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশ আবার আগের খাদ্য ঘাটতি এবং আমদানিনির্ভর অবস্থায় ফিরে যেতে সময় নেয়নি। ২০০৯ থেকে ২০২১ এই ১২ বছরে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এ দেশের কৃষি এগিয়েছে বহুদূর। এখন সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে, আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ, ধান উৎপাদনে চতুর্থ, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয়, ইলিশ উৎপাদনে প্রথম, পাট উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় এবং রপ্তানিতে প্রথম, চা উৎপাদনে নবম, গরু-ছাগল উৎপাদনে দ্বিতীয় এবং আম ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকারগুলোর সময় এসবের সূচক ছিল অনেক নিচে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ২০২১-২২ অর্থবছরের ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি খাতের ভর্তুকির পরিমাণ ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা যা বছর শেষে আরো ৫০০ কোটি টাকা বাড়তে পারে। সারের দাম যা বিএনপি সরকারের আমলে ৯০ টাকা ছিল, তা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা ১২ টাকায় নামিয়ে এনেছেন।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যতেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বেতার-টেলিভিশন ভাষণ থেকে আমরা তার শিক্ষা-ভাবনা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাই। দেশ স্বাধীনের পর তিনি জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। স্কুল ও কলেজগুলোকে জাতীয়করণ করেছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেছেন। বাংলাদেশে একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানমুখী শিক্ষানীতি প্রণয়নে গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদাকে চেয়ারম্যান করে ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই গঠন করেন বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন ‘জাতীয় শিক্ষা কমিশন’ গঠন করেছেন। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি ৭৩-এর অ্যাক্টের মাধ্যমে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছেন। গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য বুয়েট এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৭৩-এর অ্যাক্টের বাহিরে রেখেছেন। সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন। তিনি টিসিবিকে ওষুধ আমদানি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং সেই সঙ্গে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোকে সেই ওষুধ তৈরির নির্দেশ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই সেক্টরও ক্ষতির ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার মতো তিনিও শিক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। সৃজনশীল শিক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাকে নকলমুক্ত করেন, শিক্ষায় প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটান। দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ছিল মাত্র ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অর্ধশত, প্রত্যেক জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার। এরই মধ্যে কয়েকটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে। এ দেশের তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা গভীরভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন। ফলে করোনার মতো কঠিন মহামারিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে।

২০০১ সালে শেখ হাসিনার সরকার যখন বিদায় নেয় তখন তিনি ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে যান। পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় লুটপাটের ফলে আবারও জ্বালানি খাত মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশ আবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ২০ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছেন। বর্তমানে আমাদের ধারণক্ষমতা হচ্ছে ২০ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। ২০৩০ সালে এটি হবে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে হবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট।

সদ্য স্বাধীন এই দেশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোয় মনোনিবেশ করেন জাতির পিতা। সেজন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে টেলিকমিউনিকেশনের সদস্য বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন দুর্গম এলাকা রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপন করেছেন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র। জাতির পিতার প্রচেষ্টায় ১৯৭৩ সালে আইটিইউর সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা এ দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পূর্ব পর্যন্ত এই সেক্টরে কোনো কাজই হয়নি। বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল থেকেও আমরা বঞ্চিত হয়েছি শুধুমাত্র তথ্য পাচারের অজুহাতে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে শেখ হাসিনার সরকারের সময় ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা তখন তিনি শুরু করেছিলেন। সাবমেরিন ক্যাবল অনুমোদন দিয়েছিলেন, কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের ওপর শুল্ক তুলে দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় লুটপাটের ফলে আবারও এই সেক্টরের ক্ষতি সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যার গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাতিল করা হয়। ফলে আবারও প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি, ২০১৪ সালে শান্তি গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি এবং ২০১৮ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীকে নিরলসভাবে সহায়তা করছেন তার সুযোগ্য পুত্র এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মাত্র ১২ বছরে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল।

বঙ্গবন্ধুকন্যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনমুখী একটি সরকারব্যবস্থা। আমরা ধীরে ধীরে সেদিকেই যাচ্ছি। তার দক্ষ নেতৃত্বে এখন আমরা বৈশ্বিক দুর্নীতির সূচকে অনেক পেছনে আছি। বঙ্গবন্ধুর মতো তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন ২০০৯ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন তখন বাংলাদেশের জিডিপি ছিল মাত্র ১০০ বিলিয়ন ডলার মাত্র। ১২ বছরে তা তিনি তিনগুণ করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি এখন ৩১০ বিলিয়ন ডলার। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৩০০ থেকে ৪১৫ তে উন্নীত করেন। ২০০৯ সালে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৬৩৫ ডলার, মাত্র ১২ বছর সময়ে বর্তমানে তিনি তা ২ হাজার ২২৭ ডলারে উন্নীত করেছেন।

যেকোনো বৈশ্বিক দুর্যোগে সবার আগে এগিয়ে যান শেখ হাসিনা। এই করোনার সময় আমরা দেখেছি, তার নিরলস পরিশ্রমের কারণে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার অনেক কম। এই মহামারি থেকে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করে মানুষর জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে একাই লড়ছেন তিনি। সংকট মোকাবিলায় নিয়মিত দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি দুর্গত মানুষকে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি সরাসরি তদারকি করেছেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবল থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষায় সুদৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন। একাধিক ভিডিও কনফারেন্সিং করেছেন বিশ্ব নেতাদেরসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে। আহ্বান জানিয়েছেন বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার। বিশ্বে শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় তার তুলনা তিনি নিজেই। আমরা এখন পর্যন্ত বিশ্বে তার মতো এমন মানবিক নেতা দেখতে পাইনি। এই মানবিক নেতার সংস্পর্শে বাংলাদেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে থাকতে চায়।

লেখক : উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close