reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সুসংবাদ জরুরি

সম্ভবত করোনা কাল তার শেষ সময়টা পার করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ কথা বলার সময় এসেছে। দেশে সংক্রমণের হার এখন ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বর্তমান বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে এ কথা যেমন বলা যায়, একইভাবে সংবাদটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে কতটা শক্তিশালী করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মাপের সুসংবাদও বটে। প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা কেবল দুঃসংবাদের ঘানিই টেনে এসেছি। তবে সুসংবাদ যে একবারে আসেনি তাও নয়। আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। দরজায় কিঞ্চিৎ কড়া নেড়েছে। সেই কিঞ্চিৎ কড়া নাড়ার শব্দে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য যে শক্তি অর্জন করেছে এবং তারই ফলে আমাদের শিরদাঁড়া ভেঙে পড়েনি। ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা ঘনীভূত হয়েছে। আগামীর পথ চলাকে করেছে সহজতর ।

এমন আরো একটি সংবাদ আমাদের চিত্তকে আন্দোলিত করেছে। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোলকিপার্স গ্লোবাল গোল চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পেয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ ফাইজা। তিনি খুবি ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লেনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ‘মনের স্কুল’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাকে এই সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে এমন ব্যক্তিদের তিনটি বিভাগে পুরস্কার দেয় বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস্ ফাউন্ডেশন।

এদিকে খুবি শিক্ষার্থী ফাইরুজ ফাইজা ‘গোলকিপার্স গ্লোবাল গোল চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পাওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আরো অনেকে। আমরা বলতে চাই, কেবল অভিনন্দন জানিয়ে ছোট করতে চাই না। তিনি এই দুঃসময়ের কান্ডারী এবং আমাদের অহংকার। যিনি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সৈনিক। জাতির জন্য তিনি একজন অনুকরণীয় শিক্ষক।

সমাজে সবসময় সবকিছু ইতিবাচক হবে তা কেউ আশাও করে না। ইতি ও নেতির পাশাপাশি অবস্থান থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নেতি যখন মানবসৃষ্ট এবং তা ইচ্ছাকৃত হবে তখন আর কিছুই বলার থাকে না। তাকেও আর স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। নিরাপদ সড়কের প্রশ্নে সে কথাই উঠে আসে। ঢাকায় ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী দিয়া ও রাজীবের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সারা দেশে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল শিক্ষার্থীরা। সেই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে চাপে পড়ে সরকার সড়ক নিরাপদ করার আশ্বাস দেয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তৈরি করা হয় সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। পরে এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে পরিবহন সংগঠনগুলো। তাদের দাবি অনুযায়ী এখন আইনটিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই পরিবর্তন দুর্ঘটনা কমাতে কতটা ইতিবাচক হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। এরই মধ্যে যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বেপরোয়া ও অবহেলা করে গাড়ি চালিয়ে কাউকে আহত করা হলে চালককে দায়ী করা যাবে না। তবে মারা গেলে আইনটি সচল থাকবে।

প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। মৃত্যুর হার ক্রমাগত বাড়ছে। সংবাদমাধ্যম মারফত তা আমরা জানতে পারছি এবং প্রতিদিনই দিনের শুরুটি করতে হচ্ছে একটি দুঃসংবাদের বার্তা বহন করে। যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের জন্য একটি বড় বাধা। জাতির মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের ক্ষেত্রে যা একটি নেতিবাচক সংকেত। এখান থেকে বেরিয়ে আসাটা কেবল একটি গালভরা স্লোগান নয়, সময়ের অন্যতম একটি দাবি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close