reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৮ মার্চ, ২০২১

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আরো একটি অর্জন

সাফল্যের কথা শুনতে কার না ভালো লাগে। হোক সে ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রের যেকোনো পর্যায়ে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্য সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নারী নেতার তালিকায় পেলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। তালিকায় আরো রয়েছে দুই মহীয়সীর নাম। তারা হলেন নিউজিল্যান্ডের জাসিন্ডা আরডার্ন ও বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোতলি। আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে কমনওয়েলথের এক ঘোষণায় এ তিন নারী প্রধানমন্ত্রীকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড এক বার্তায় বলেছেন, ‘কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি তিন অসাধারণ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করতে চাই। তারা হলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন, বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোতলি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তারা নিজ নিজ দেশে অসাধারণ নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।’ প্যাট্রিসিয়া আরো বলেছেন, ‘এ তিন ব্যক্তিত্ব বিশ্বের আরো অনেক নারীর পাশাপাশি আমাকে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার ব্যাপারে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার সম্মিলিত সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং কল্যাণ সুনিশ্চিত ও সুরক্ষিত থাকবে।’

প্রধানমন্ত্রীর এ সাফল্য পুরো জাতি ও রাষ্ট্রের সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এ অর্জন। একের পর এক তার নেওয়া সাহসী পদক্ষেপ আমাদের অর্থনীতিকে যেমন স্বাভাবিক রেখেছে; তেমনি কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণেও সাফল্য এনেছে। এর সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্তটি ছিল ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই সাধারণ ছুটি প্রত্যাহারের ঘটনা। এতে অফিস-আদালত খুলে যায়, কাজে ফেরে কর্মহীন মানুষ। আর্থিক সংকট কিছুটা হলেও কমে আসে। পাশাপাশি কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ কমেছে।

তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর ভয়াবহতা অনেকটা কম। ক্ষতির পরিমাণও কম। আর এখানেই আমাদের সফলতা। সফলতা নেতৃত্বের। আর সে কারণেই জাতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ। করোনা মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ঊর্ধ্বমুখী। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত পদক্ষেপ বিষয়টিকে গতিশীল রেখেছে। অর্থনীতির চাকা স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারি খাতে আর্থিক প্রণোদনার ঘটনা ছিল ঐতিহাসিক। এতে করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠে বেসরকারি খাত। সুতরাং এ ক্ষেত্রেও বলা যায়, অর্থনীতির গতি ধরে রাখার জন্য সিদ্ধান্তটি ছিল সময়োপযোগী ও ইতিবাচক।

সুতরাং নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের ৫৪টি সরকারপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী তিন নেত্রীর একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম উচ্চারিত হওয়ায় আমরা গর্বিত। বিশ্বদরবারে এ সাফল্য আমাদের মর্যাদাকে সুসংহত করেছে। একই সঙ্গে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর হতে চলেছে। সেটিও আমাদের অর্জন। সঠিক নেতৃত্বের কারণেই এ সফলতা। আমরা মনে করি, বাংলাদেশ যদি এভাবে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলে আগামীর যেকোনো সময়ে আমরা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাবান ও নান্দনিক দেশে রূপান্তর ঘটাতে সক্ষম হব। প্রয়োজন আমাদের সততা, আন্তরিকতা এবং দেশপ্রেম। আমরা বিশ্বাস করতে চাই সততা ও আন্তরিকতার প্রশ্নে ঘাটতি থাকলেও দেশপ্রেমে কোনো ঘাটতি নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই, ‘দেশপ্রেম এবং দেশপ্রেমের কোনো বিকল্প নেই’।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close