উম্মে সাবাইনা সুলতানা, রাবি
শীতে মধুর উপকারিতা

প্রাচীন কাল থেকে মধু বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অসংখ্য রোগের চিকিৎসায় এটি উপকারি বলে বিবেচিত হয় কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক অ?্যান্টিবায়োটিক। শীতকালে স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। শীতকালে আমাদের যত্ন নিতে মধু বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ত্বকের যত্নে : শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, যার ফলে রুক্ষতা বা চামড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। ত্বকে মধু লাগালে এটি ময়েশ্চারাইজারের মতো কাজ করে এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে। এছাড়া, মধু দিয়ে ফেসপ?্যাকও তৈরি করা যায়।
মধু দিয়ে ফেসপ?্যাক বানানোর নিয়ম : এক চামচ মধু ও এক চামচ কফি ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আলতো করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরবর্তীতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
চুলের যত্নে : চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং শুষ্কতা কমাতে মধু সাহায্য করে। এটি চুলের সঠিক পুষ্টিও নিশ্চিত করে।
মধু দিয়ে হেয়ার প?্যাক বানানোর নিয়ম : প্রথমে ডিমের কুসুম ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এরপর চুলের আগা থেকে গোঁড়া পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করুন। এই হেয়ার প?্যাকটি ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামত করতে কার্যকর।
সর্দি-কাশির চিকিৎসায় : শীতকালে ঠাণ্ডা লাগলে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়। মধু একটি প্রাকৃতিক অ?্যান্টিবায়োটিক, যা শ্বাসতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি গলায় আরাম দেয় এবং কাশি কমাতে সহায়তা করে। মধু ও লেবুর মিশ্রণ গলা ব্যথার জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
শক্তির উৎস : শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে শরীর বেশি ক?্যালোরি ব্যবহার করে। মধুতে থাকা গ্লুকোজ শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে এবং ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : শীতকালে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে সাধারণত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মধুতে থাকা উপাদানগুলো শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : শীতকালে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে পারে। নিয়মিত মধু খেলে এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
"