শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, রাবি

  ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের নবীনবরণ

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সের গ্যালারি কক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ তরুণ লেখক ফোরাম, রাবি শাখার সভাপতি ইমরান লস্করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম কনক ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রসাশক ড. হাবিবুল ইসলাম।

এ ছাড়াও লেখক ফোরামের উপদেষ্টা চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মো. শরিফুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ রানা এবং আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নবীন সদস্যদের বরণের পাশাপাশি সেরা উদীয়মান লেখক, বর্ষসেরা লেখক ও পূর্বে অনলাইনে চলমান উন্মুক্ত সাহিত্য প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

এবছর উন্মুক্ত সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সারা দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। ক শাখায় শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ও খ শাখায় সারা দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল।

কবিতা, ছোটগল্প ও নিবন্ধ বিভাগ থেকে দুইটি শাখায় মোট ১৮ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এরপর শুরু হয় বক্তব্যপর্ব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘পত্রিকায় কলাম পাঠালে প্রকাশ হয়, আমারও হয়। কিন্তু ফোরামের সঙ্গে যুক্ত থাকব কেন? ফোরামের সঙ্গে যুক্ত থাকলে এই কলামগুলোর পর্যালোচনা হয়। ত্রুটি বিচ্যুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভুলগুলো শুধরে লেখালেখিতে আরো উন্নতি করা যায়। এর পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়?।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ রানা বলেন, ‘আমরা সবাই ধীরে ধীরে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দিকে চলে যাচ্ছি, প্রযুক্তির দিকে চলে যাচ্ছি। আমাদের যে মেধা, যে মনন এবং আমাদের যে চিন্তার জায়গা সেটি কিন্তু আমরা নিজেরাই নষ্ট করে ফেলছি। তো বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির প্রভাবকে এড়িয়ে কলাম লেখার মধ্য দিয়ে সত্যি কিন্তু মহৎ কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো সংগঠন রয়েছে, এই সংগঠন কিন্তু সেসব সংগঠনের মতো কাজ করে না। কিন্তু এই সংগঠন মানুষের চিন্তার বিকাশের জন্য কাজ করে।’

আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো সংগঠন আছে সবগুলোই কিন্তু সাময়িক, কোনো সংগঠনই আমাকে টেকসই করতে পারে না। টেকসই করতে পারে আমারই কলমের লেখা, কলমের সংগ্রাম, কলমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা। সেজন্যই আমি মনে করি, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা যে কাজটা করছে এটি চিরন্তন কাজ করছে, এটি টেকসই কাজ করছে।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম একটি অরাজনৈতিক, লেখালেখিবিষয়ক সামাজিক সংগঠন। একটি কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় বর্তমানে সারা দেশে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় কার্যক্রম চলমান আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close