মোহাম্মদ এনামুল হক, চট্টগ্রাম কলেজ
বিটিসিএলএফ সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে শোভিত বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। এই চট্টগ্রামের শতাব্দীপ্রাচীন বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম কলেজ। চট্টগ্রাম কলেজ দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেটি ঢাকা কলেজের পর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় কলেজ। তাই কালের পরিক্রমায় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের চট্টগ্রাম সদস্যদের পূর্বে থেকে অবগত করে রাখা হয়েছিল সাড়ে ১০টার সময় যেন সব সদস্য উপস্থিত থাকেন। আর যেমন কথা তেমনই কাজ। সব সদস্য যথাযথ সময়ে চট্টগ্রাম কলেজে উপস্থিত হয়। সবাই একটি জায়গায় দাঁড়ায়ে আড্ডা দিতে দিতেই এর কিছুক্ষণ পরই উপস্থিত হয় সাবেক অর্থসম্পাদক, মোহাম্মদ এনামুল হক ও বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা যখন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষের সম্মুখীন হতে যাচ্ছিলাম, তখনই শুনি স্যার বিভিন্ন বিভাগে যাচ্ছেন অডিট করার জন্য। সঙ্গে ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মকর্তা। তাই ওই সময়ে স্যারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি।
তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম স্যার বিভিন্ন বিভাগে অডিট করতে করতে অনেক সময় চলে যাবে। আমরা এরই ফাঁকে একটি কাজ করে ফেলি, সেটি হলো অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ ইফতেখারুল ইসলাম স্যারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার। স্যারের সঙ্গে আমাদের ফোরামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় এবং স্যারকে আমরা আমাদের ফোরামে উপদেষ্টা পদে থাকার জন্য প্রস্তাব দিই। স্যার আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং আমাদের এই কার্যক্রমকে অনেক বেশি এপ্রিশিয়েট করেন। স্যার আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। সঙ্গে সমাজ ও সমাজের অসংগতি নিয়ে লেখার আহ্বান করেন। আমরা আবার অধ্যক্ষের কার্যালয়ে যাই। দেখি স্যার এখনো আসেননি। আমরা স্যারের জন্য অপেক্ষায় প্রহর গুনছি। তারপর হঠাৎ শুনি স্যার কার্যালয়ে আছেন, আমরা তখন সবাই দৌড়ে স্যারের অফিস কক্ষে যাই। সালাম প্রদান করে স্যারের কার্যালয় প্রবেশ করি। তখন দেখি কার্যালয়ে উপস্থিত আছেন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ সুব্রত কুমার বড়ুয়া স্যার, সঙ্গে রাঙ্গামাটি কলেজের একজন ম্যাম। আমরা স্যারের সঙ্গে আমাদের ফোরাম নিয়ে আলাপ করি। আমরা আমাদের অধ্যক্ষ স্যারকেও আমাদের ফোরামের উপদেষ্টা পদে থাকার জন্য প্রস্তাব করি। স্যার খুব স্বাচ্ছন্দ্যে আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। অধ্যক্ষ বললেন, আমার ছেলেমেয়েরা এত সুন্দর কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে এটা আমার গর্বের বিষয়। তোমরা কখনো লেখা থামাবে না, লিখতে থাকবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। স্যার এও বলেন, তোমরা চট্টগ্রাম কলেজে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখবা। চট্টগ্রাম কলেজের বাস, হোস্টেল সমস্যা, অতিরিক্ত ফ্রি নেওয়া, যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবা। লেখনীর মাধ্যমে সত্য উন্মোচন করবা। তারপর স্যার এটিও বললেন, আমার ছেলেমেয়েরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। সবার মুখ তো শুকিয়ে গিয়েছে। তোমরা মনে হয় কেউ দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করোনি। তৎক্ষণাৎ স্যারের পকেট থেকে টাকা বের করলেন এবং সেই টাকা দিয়ে আমাদের সবাইকে দুপুরের খাবার খেয়ে নেওয়ার জন্য বললেন। এটিকেই বলে ধৈর্যের ফল। আমরা সবাই আনন্দ চিত্তে চলে গেলাম এলানের দিকে সেখানে গিয়ে সবাই দুপুরে খাবার অর্ডার করলাম। অনেক খোশমেজাজে দুপুরে খাবার খেলাম এবং তৃপ্তি ভরে খেলাম।
সেখানেই শেষ নয়, তারপর আমরা কেয়ারি সামনে টঙ্গের দোকানে গেলাম সেখানে গিয়ে টঙ্গের দোকানের মামার হাতের বানানো চা খেলাম মামার হাতের চা বানানো অনেক দারুণ পারেও বটে। এরপর সবাই তৃপ্তি নিয়ে ফিরেছি যার যার বাসায়। এভাবেই আমাদের সৌজন্য সাক্ষাৎ সমাপ্তি হয়।
"