টি এইচ মাহির

  ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

হেলথ ফেস্টে ব্লাডব্যাগ ও থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ক্যাম্পেইন

সম্প্রতি ঢাকার সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ারস গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে হেলথ ফেস্ট। জেভিয়ারস হেলথ ক্লাবের এটি দ্বিতীয় ন্যাশনাল হেলথ ফেস্ট। ওয়েব অ্যাপভিত্তিক অলাভজনক রক্তদান সংগঠন ‘ব্লাডব্যাগ’ এবং বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই ন্যাশনাল হেলথ ফেস্টে অনুষ্ঠিত হয় একটি রক্তদানভিত্তিক ক্যাম্পেইন। গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর এই হেলথ ফেস্টে Thalassemia Awareness & Blood Donation Program-এর আয়োজিত হয়। এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকসহ এক হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী। এই আয়োজনে ব্লাডব্যাগ ও থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন রক্তদান-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে ২৫০-এর অধিক অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে। তা ছাড়া রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা এবং রক্তদান করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। ব্লাডব্যাগের চ্যাটবটে রক্তদাতার তথ্যদান করতে পারেন, যা গত ফেব্রুয়ারিতে একটি ক্যাম্পেইন আকারে চালু হয়েছিল।

এই ক্যাম্পেইনে যুক্ত ছিলেন ব্লাডব্যাগের শান্তিদূত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এস এইচ জয় এবং উপদেষ্টা ব্যারিস্টার তাহমিদুর রহমান। ব্লাডব্যাগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন ফাতিন সাদাব লিয়ান। বাংলাদেশ থালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যুক্ত ছিলেন হেড অব অপারেশনস এ বি এম জুনায়েদ এবং ডিজিটাল লিড তারেকুজ্জামান।

ব্লাডব্যাগ মূলত একটি ওয়েব অ্যাাপভিত্তিক সংস্থা। যাতে রক্ত প্রয়োজন হলে আবেদন করা যাবে সম্পূর্ণ গোপনীয়তার সঙ্গে। যার ফলে, মোবাইল নম্বর অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আশঙ্কা কমে যায় অনেকাংশেই। রক্ত প্রয়োজন হলে www.bloodbag.app অথবা Bloodbag অ্যাপে প্রবেশ করে রোগীর তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে। তারপর তা চলে যাবে ব্লাডব্যাগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপ এবং অন্যান্য মাধ্যমে বিভিন্ন ডোনারদের কাছে। টেলিগ্রামে ব্লাডব্যাগের চ্যানেলসহ রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী স্বতন্ত্র গ্রুপ রয়েছে যাতে রোগীর তথ্য চলে যাবে। ডোনাররা তথ্য পেয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে যোগাযোগ করবেন রোগীর সঙ্গে। এই সংস্থা কাজ করছে রক্তদান সহজ করতে এবং রক্তদাতা এবং রোগীর গোপনীয়তা রক্ষা করে রক্তদান সহজতর করতে। ব্লাডব্যাগের আগে অনলাইনে ক্যাম্পেইন করলেও এই প্রথম সরাসরি ক্যাম্পেইন করেছে তারা। এই অলাভজনক সংস্থায় কাজ করছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসভিত্তিক আরো ক্যাম্পেইন করার পরিকল্পনা করছে ব্লাডব্যাগ। ২০২২ সালে বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে ব্লাডব্যাগ। তা ছাড়া ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দ্য রেজল্যুশন প্রজেক্ট আয়োজিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল ২০২৩’-এর সোশ্যাল ভেঞ্চার চ্যালেঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশের তিন তরুণের প্রকল্প ‘ব্লাডব্যাগ’।

রক্তদাতার তথ্যদান : ব্লাডব্যাগে রক্তদাতার তথ্যদান করা যাবে অনলাইনেই। রক্তদাতাদের এসব তথ্য শুধু জমা থাকবে ব্লাডব্যাগে। পরে রোগীর সাহায্যে সেসব রক্তদাতার তথ্য ব্যবহার করে নির্দিষ্ট রক্তদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। ব্লাডব্যাগের নিজস্ব চ্যাটবটে মাত্র ৭টি ধাপে রক্তদাতারা তাদের তথ্য দেবেন। এই তথ্য ব্যবহার করা হবে ব্লাডব্যাগ অ্যাপে রক্তের আবেদনের ক্ষেত্রে। রক্তযোদ্ধারা ও আগ্রহী ব্যক্তিরা সহজেই মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামে ব্লাডব্যাগের চ্যাটবট ব্যবহার করে তাদের ও অন্য আগ্রহী রক্তযোদ্ধাদের তথ্য দান করতে পারবে। নিজের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, সর্বশেষ রক্তদানের তারিখসহ ৭টি তথ্য দিয়ে এই ক্যাম্পেইনের ডোনার হতে পারবেন রক্তদাতারা। রক্তদাতাদের দেওয়া এই তথ্যগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোথাও প্রচার করা হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close