অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ, জাককানইবি
মেধা, মননের খেলায় মার্কেটিং বিভাগের মিলনমেলা
হাসি-আনন্দে আয়োজিত হলো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত মার্কেটিং বিভাগের জমজমাট স্পোর্টস উইক। উদ্দীপনাময় এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসবের রূপ নেয় মার্কেটিং বিভাগ।
গত মঙ্গল ও বুধবার (১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর) মার্কেটিং বিভাগের নিজস্ব সংগঠন ‘মার্কেটিং ক্রু’ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে স্পোর্টস উইকের প্রথমাংশের ইনডোর খেলা আয়োজিত হয়। এই আয়োজনের পাশে ছিল বিভাগের ১৫, ১৬ ও ১৭তম আবর্তন তিন ব্যাচের প্রায় ৯০ জন শিক্ষার্থী। মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক ও মার্কেটিং ক্রু স্পোর্টস উইংয়ের উপদেষ্টা কুমার বিশ্বজিৎ সাহা এবং মাহমুদা আক্তারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সুস্থধারার ক্রীড়া, সংস্কৃতিচর্চা ও প্রতিযোগিতার মনোভাবে স্পোর্টস উইককে আনন্দময় ও আকর্ষণীয় করে তোলে শিক্ষার্থীরা।
আকর্ষণীয় খেলার তালিকায় ছিল দাবা, লুডো, হাঁড়িভাঙা, গোলক নিক্ষেপ, মারবেল দৌড়, কানামাছি, চেয়ার যুদ্ধ এবং বালিশ যুদ্ধ ইত্যাদি। এসব খেলা শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের পাশাপাশি মজার অভিজ্ঞতা এনে দেয়। দাবা প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা বুদ্ধি ও কৌশল দিয়ে প্রতিপক্ষকে হারানোর চেষ্টা করে, যেখানে তারা নিজেদের মেধার পরীক্ষা দেয়। অন্যদিকে, হাঁড়িভাঙা ও মারবেল দৌড় ছিল শারীরিক সক্ষমতা যাচাইয়ের মজার অংশ। সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে বালিশ যুদ্ধ এবং চেয়ার যুদ্ধ ছিল অন্যতম। এ সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী এবং দর্শক উভয়ের মধ্যে ছিল উচ্ছ্বাসের বন্যা।
শিক্ষার্থীদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেন মার্কেটিং বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক, যারা নিজেরাও বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন। তাদের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের জন্য এক বাড়তি উৎসাহের উৎস হয়ে ওঠে। শিক্ষকদের এই অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের মনে প্রেরণা জাগিয়ে তোলে এবং গড়ে তোলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে মার্কেটিং পরিবারের নিবিড় সম্পর্ক।
মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক ও মার্কেটিং ক্রু স্পোর্টস উইংয়ের উপদেষ্টা কুমার বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘আমরা এমন কিছু দিনের স্বপ্ন দেখি, দিনটা আসুক আসুক বলে মনে অনেক উৎকণ্ঠা থাকে। হঠাৎ করে এমন দিনটাও ফুরিয়ে আসে। তবে সফল না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাতে পারি না। আমাদের দুদিনের একটা স্পোর্টস উইক, এটিকেই মনে হয়েছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। দিনশেষে যখন সবার চোখে-মুখে উল্লাস দেখি, সেটিই আমাদের সফলতা।’ এ সময় তিনি স্পোর্টস উইংয়ের ব্যবস্থাপনা ও তিন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে ধন্যবাদ জানান।
মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক ও স্পোর্টস উইংয়ের সহ-উপদেষ্টা মাহমুদা আক্তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমাদের মার্কেটিং বিভাগটা সচরাচর অন্য বিভাগ থেকে আলাদা। আমরা নিজেদের একটু বেশিই ভালোবাসি। যতটুকু আমাদের আশা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি আমরা পেয়েছি। সবার অংশগ্রহণে খেলাধুলার মাধ্যমে সবার মাঝে যে উচ্ছ্বাস দেখতে পেয়েছি, সেটি আমাদের বড় প্রাপ্তি।’
১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জুনায়েদ হাসান খান প্রান্ত অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘নিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আবারও যেন স্কুলজীবনে ফিরে গেলাম। খেলায় শিক্ষকদের অংশগ্রহণ আমাদের সঙ্গে তাদের আন্তরিকতার বন্ধনকে আরো দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করে।’
"