মোফাজ্জল হোসেন (শান্ত)

  ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সমাজসেবায় ‘বন্ধু ফাউন্ডেশন’

মানবসেবায় মানুষ মানুষের পাশে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ালেই মিলবে প্রশান্তি, রবের সন্তুষ্টি এবং ঘুচাবে সমাজের দারিদ্র্য মানুষের দুঃখ-দুর্দশা। আর মানবসেবা রাসুল (সা.)-এর অন্যতম আদর্শ। এই আদর্শকে বুকে ধারণ করে তারুণ্য বন্ধুদের ছোঁয়ায় গত ১৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গড়ে উঠেছে ‘বন্ধু ফাউন্ডেশন’ নামক সমাজসেবা কল্যাণমূলক একটি সংস্থা। এটি নবীনদের ছোঁয়ায় গড়ে উঠলেও, এর মূল কার্যক্রমের পরামর্শদাতা বা উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছে বিজ্ঞ প্রবীণদের ভূমিকা। তাদের পরামর্শক্রমেই ফাউন্ডেশনের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ হাসান একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ও উদ্যমী তরুণ। সে সমাজ ও সমাজের অসহায় মানুষের দুর্দশাময় অবস্থার পরিবর্তনের উদ্যেগে তার কিছু বন্ধুদের সহযোগিতায় মানবতার কল্যাণে ফাউন্ডেশনটি গড়ে তোলে। প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ হাসানের ভাষ্য মতে, ফাউন্ডেশনটির মূল লক্ষ্য- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং রাসুলের (সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্য দিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা, অভাবের কারণে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর শিক্ষার ব্যবস্থা করা, কর্মক্ষম পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি করা, ঘরহীন মানুষের ঘর নির্মাণ, সুস্থ সংস্কৃতির লালন ও সমাজের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণসহ সমাজের মানুষের কল্যাণে স্বার্থহীনভাবে কাজ করা।’

ইতিমধ্যে বন্ধু ফাউন্ডেশনের বন্ধুরা তাদের সামর্থ্যানুযায়ী সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদী পরিবারে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে এবং মানুষের কল্যাণে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে। এ ছাড়া উল্লাপাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ ও কয়েকটি অজুখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বন্ধু ফাউন্ডেশন। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ফাউন্ডেশনটির সব কার্যক্রমের পেছনে টাকার উৎস কোথায়? যেহেতু এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িত বেশির ভাগ সদস্যই শিক্ষার্থী। তবে শিক্ষার পাশাপাশি কেউ কেউ চাকরি ও নিজ উদ্যেগে ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছে, ‘বন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্যদের প্রদানকৃত মাসিক টাকা ও সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ফাউন্ডেশনের সব সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে থাকে। এবং টাকা আদান-প্রদানের সব তথ্যই তাদের কাছে সংরক্ষিত থাকে।’ ভবিষ্যতে তারা বৃহদাকারে মানুষের কল্যাণে সমাজসেবামূলক আরো ভালো ভালো কাজের উদ্যোগ নেবে বলে আশাবাদী। আমার বন্ধু ফাউন্ডেশনের বন্ধুদের বলব, বয়োজ্যেষ্ঠ গুণিজনদের পরামর্শে সব বন্ধুকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সেবামূলক কাজে কোনো স্বার্থ থাকা যাবে না। স্বার্থহীনভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। ভালো কাজে অনেক বাধা আসে। তাই সব বন্ধুকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাধা উপেক্ষা করে ফাউন্ডেশনের ন্যায়সংগত সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। সর্বোপরি সব বন্ধুর জন্য সু-স্বাস্থ্য এবং বন্ধু ফাউন্ডেশনের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close