ঢাবির নবনিযুক্ত ভিসির কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের (ঢাবি) ৩০তম ভিসি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশ সংস্কারের পাশাপাশি ঢাবির সংস্কারও জরুরি হয়ে পড়েছে যেন। নতুন ভিসি স্যারের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন পাঁচ মেধাবী শিক্ষার্থী। তাদের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী জোবাইদুল ইসলাম
শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস চাই
ইতিমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে দেশের প্রতি সেক্টরে সংস্কার আনতে গেলে শিক্ষায় সংস্কার খুবই জরুরি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়ম ও অযোগ্যতার চর্চা ছিল। আমি চাই সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি সব অনিয়ম দমনে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবেন। বিভিন্ন হল এবং বিভাগকেন্দ্রিক নানা সমস্যার কথা আমরা সবাই জানি, সেগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত অনুযায়ী একটি সিদ্ধান্তে আসা দরকার। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যদিকে দীর্ঘ সময় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেমিস্টার লম্বা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, এ বিষয়ে বিজ্ঞ আলোচনার মাধ্যমে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক ক্ষতিগুলো যাতে পুষিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো আধুনিক, শিক্ষার্থীবান্ধব ও সুপ্রতিষ্ঠিত হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্থান করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করি।
মোহাম্মদ আবদুর রহমান
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ইতিহাস বহনে প্রয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর
শতবছরের পুরোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই নিজস্ব শিক্ষায়তনিক জাদুঘর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা চেতনার উন্মেষকেন্দ্র। সর্বশেষ ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের শুরুটাও হয়েছিল এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এত এত বিজয়ের ইতিহাসকে এক সুতোয় গাঁথা, শিক্ষাদান এবং গবেষণায় সহায়তা করার জন্য প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিজস্ব জাদুঘরের।
যদিও পলাশীর মোড়ে অবস্থিত ‘ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালা’ নামে একটি জাদুঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হয়ে থাকে কিন্তু এটি মূলত ভাষাশহীদদের স্মরণে তৈরি করা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির জাদুঘর, যা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শত বছরের ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারে না।
যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, সেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে বেশ কিছু জাদুঘর, যার মধ্যে অ্যাশমোলিয়ান জাদুঘর সবচেয়ে পুরাতন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েরও রয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষায়তনিক জাদুঘর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ২৯ জন ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও কেউ একটি জাদুঘর নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। গত ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন শিক্ষার্থীবান্ধব, স্বনামধন্য গবেষক ও অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান স্যার।
একজন সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, নতুন ভিসি স্যার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের ইতিহাসকে ধারণ করতে পারে এমন একটি জাদুঘর নির্মাণ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাস ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করবেন।
আফসানা সাথী
শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সব অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে হবে
প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাবিসহ সমগ্র বাংলাদেশ বিগত দিনগুলোয় দুর্নীতি, অনিয়মে ছিল ভরপুর। ২০২৪-এর ছাত্র আন্দোলন থেকে পরিণত গণ-অভ্যুত্থান স্বৈরশাসনের যেমন পতন ঘটিয়েছে, তেমনি জঞ্জালগুলো টেনে তুলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় যোগ্যতম নতুনদের স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের নতুন স্বপ্নের বাস্তব দেখা মিলুক আমাদের যোগ্যতম নবীন অভিভাবকদের হাত ধরে। আমাদের অধিকাংশ চাওয়া-অভিযোগ এত দিনে নানা বাহানা ও দুর্নীতি, অনিয়মের বেড়াকলে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে। সর্বপ্রথম প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সেক্টরে অজুহাত, দুর্নীতি, অনিয়ম কঠোরভাবে দমন করা। সেটি হোক শিক্ষার্থী পর্যায়ের কিংবা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশাসন পর্যায়ের। প্রবাদ আছে, ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী’ ঢাবির কাঠামোগত উন্নয়ন থাকলেও পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা অপ্রতুল। যেমন : ক্লাসরুম, কমনরুম, ওয়াশরুম, হলগুলোর আবাসিক ভবন, লাইব্রেরিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণের পরিচ্ছন্নতা ও দর্শনধারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। দ্বিতীয় প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতা ও স্বচ্ছতা কঠোরভাবে নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ। যাতে করে আমাদের ঢাবি নতুনত্ব ও তারুণ্যের প্রকাশে সর্বদা অমলিন থাকে। এই কাজে শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীদের সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করা (যেমন : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া)। তৃতীয় প্রত্যাশা, শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী ও সংস্কারমুখী করে তোলা। বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণা ছাড়াও সামাজিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সংস্কার নিশ্চিত করা। চতুর্থ প্রত্যাশা, দলীয় রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সম্পর্ক নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক ব্যবস্থাকার্যক্রম গড়ে তোলা। নতুনত্বের ছোঁয়ায় ঢাবিসহ পুরো বাংলাদেশ জ্বলে উঠুক এই প্রত্যাশায়।
জারিয়াতুল হাফসা
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের সব অপূর্ণতার পূর্ণতা চাই
দীর্ঘ এক মাস ছাত্র-জনতার রাজপথের সংগ্রাম ও বহু বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকারকে জনসাধারণ ও ছাত্রসমাজ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। শিক্ষার পরিবেশ ছিল না দেশের প্রধান বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। ইসলাম ধর্মের অনুষ্ঠান পালনে আসত নিষেধাজ্ঞা ও বিভিন্ন মহলের রাজনৈতিক চাপ। আলহামদুলিল্লাহ, অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। নতুন ভিসি নিযুক্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। একজন স্বনামধন্য অ্যাকাডেমিশিয়ান হিসেবে নবনিযুক্ত ভিসি স্যারের নিকট শিক্ষার্থী হিসেবে যেসব বিষয়ে প্রত্যাশা করছি সেগুলো হচ্ছে :
১. সবার জন্য ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও ডাকসুভিত্তিক অরাজনৈতিক ছাত্রসংসদ আবার চালুকরণ।
২. টিএসসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ করা।
৩. বিশ্বমানের গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা ও এর মানোন্নয়ন।
৪. মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ।
৫. বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল ক্যানটিনগুলোতে ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত খাদ্য পরিবেশন নিশ্চিতকরণ।
৬. সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও হল লাইব্রেরিগুলোর আসনসংখ্যা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ।
৭. ভিসির অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ আসা নিষিদ্ধকরণ।
৮. ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের ইসলামি অনুষ্ঠানাদি পালনের অধিকার নিশ্চিতকরণ।
৯. টিএসসি মাঠ ও সেন্ট্রাল ফিল্ড ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের একচ্ছত্র অধিকার নিশ্চিতকরণ।
১০. সেন্ট্রাল মসজিদের আধুনিকায়ন ও ইসলামিক সেন্টারে পরিণতকরণ।
আদিয়াত উল্লাহ
শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধেছি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি ‘বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড’ বলি; তাহলে বোধকরি খুব বেশি বাড়িয়ে বলা হবে না। এই হৃৎপিণ্ডটিকে কেন্দ্র করে জনমনে আগ্রহ, কৌতূহল কিংবা প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষার কমতি থাকে না কখনোই। সেই আগ্রহের পালে আরো হাওয়া লাগে যখন এ প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই ধারাকে অবধারিত রেখে প্রতিবারের মতো এবারও আমরা আশায় বুক বেঁধেছি। আমাদের এ আশা কতখানি উচ্চাশা অথবা দুরাশা নাকি দিনশেষে সবটুকুই হতাশা; তার উত্তর হয়তো ভবিষ্যৎ দেবে। আপাতত আমরা নিরাশ না হয়ে কিছু নির্দোষ প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করতেই পারি।
আমাদের বহু পুরোনো এক নিরেট সমস্যা হলো ‘হলে সিট না পাওয়া’। এই গুরুতর জটিলতাটি এতটাই পরিচিত যে, এখন আর এ নিয়ে কোনো রাখণ্ডঢাক নেই। একই সঙ্গে অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, এ অব্দি যারাই ভিসি হয়েছেন তারা এ সমস্যাটিকে কতটা অনাগ্রহের চোখে দেখেছেন। ‘গণরুম’, ‘গেস্ট রুমে’র মতো কালো অধ্যায়ের নির্দয় গভীর ক্ষত সাড়িয়ে বৈধ সিট প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন ভিসি কতটুকু আন্তরিকতা দেখাবে, সেটিই সর্বপ্রধান বিষয়।
দ্বিতীয়ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের জীবনে একপ্রকার অভিশাপরূপে আবির্ভূত হয়, যখন তাদের ‘কুয়েত-মৈত্রী হলে’ সংযুক্ত করা হয়। এ ছাড়া আছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। এ দুটি হলের আবাসনসংকট এত প্রকট যে মফস্বল-গ্রাম থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য এ দুটি হল এক জ্বলজ্যান্ত বিভীষিকা। আবাসনসংকটের পাশাপাশি সামান্য বর্ষায় পানি জমে ওঠা এবং সেই সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে অপেক্ষাকৃত দূরে হওয়ার নিত্য ভোগান্তির যেন সীমা-পরিসীমা নেই।
তৃতীয়ত, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংকট হলো বহিরাগতদের নির্বিচার অনুপ্রবেশের ফলে তৈরি হওয়া বহুমুখী সমস্যা। এ জটিলতার মধ্যে যেমন রয়েছে নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে হেনস্তা, ক্যাম্পাসের ভেতরেই নিরাপত্তার অভাব, তেমনি আরো রয়েছে ভবঘুরে নেশাখোর ও কথিত টিকটকার, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের উৎপাত।
এ সমস্যাগুলো ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্যতম চাওয়া ‘সব ধরনের রাজনীতিমুক্ত’ ক্যাম্পাসের প্রত্যাশা কতখানি পূর্ণ হয় কিংবা হবে তা ও দেখার বিষয়।
সব মিলিয়ে শিক্ষার একটি সুস্থ, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আমাদের চাহিদা, প্রত্যাশা, অধিকার কতখানি পূর্ণতা পাবে তা-ই এখন দেখার বিষয়।
সাকির ইফাজ
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
"