ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জবিতে ‘হোক স্লোগান জীবনের জন্য গান’

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরাও দেশের বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন বয়সি শ্রেণিপেশার মানুষ এসে সাধ্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের কাছে জমা দিচ্ছেন নগদ অর্থসহ নানা ধরনের ত্রাণসামগ্রী। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরাও বক্স নিয়ে এলাকাভিত্তিকভাবে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন।

তবে বড় ধরনের অর্থ সংগ্রহের জন্য গত বুধবার ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা আয়োজন করেছিলেন ভিন্নধর্মী এক কনসার্ট। ‘হোক স্লোগান, জীবনের জন্য গান’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ফ্যাকাল্টির মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে শিরোনামহীন, সোনার বাংলা সার্কাস, এভয়েড রাফাসহ ১২টি ব্যান্ড বিকেল থেকে রাত অব্দি গান পরিবেশন করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ কনসার্ট।

আয়োজন সম্পর্কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আল আরাবী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য বন্যা-পরবর্তী সংকট সামলানো। এক হাজারের ওপর টিকিট বিক্রি হয়েছে কনসার্টের। প্রায় ৮ লাখ টাকা আয় হয়েছে টিকিট বিক্রি করে। এ ছাড়া গণত্রাণ থেকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা এসেছে। যে জিনিসগুলো ত্রাণ হিসেবে আসছে, সেটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গণত্রাণ কর্মসূচিতে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে যে টাকা উঠবে, তার কিছু অংশ যাবে এএলবি অ্যানিমেল শেল্টারের কাজে। একটা অংশ যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগে। ওরা পোর্টেবল লাইফ বোট বানাবে কিছু। টাকার আরেকটা অংশ বন্যাপরবর্তী সময়ে মেডিকেল ক্যাম্প ও পুনর্বাসনের কাজে ব্যবহার করব। এ ছাড়া টাকার একটা বড় অংশ যাবে ‘গেট আপ স্ট্যান্ড আপ’ কমিউনিটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এলিন বলেন, আমরা শিক্ষার্থী। আমাদের কাছে তেমন অর্থ সব সময় থাকে না। কিন্তু অর্থের থেকেও বেশি আমাদের কাছে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার শক্তি আছে। যার ফল এই কনসার্ট। বিগত সপ্তাহখানেক ধরে আমরা পরিশ্রম করছি।

গণত্রাণ কর্মসূচি বিষয়ে সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদ বলেন, এত বেশি সাড়া পাব আশা করিনি। যে যা পারছে দিচ্ছে। একটা ছোট্ট ছেলে ক্লাস ওয়ানে পড়ে; সে তার জন্মদিনের কেক কেনার টাকা দিয়ে গেছে আমাদের। অনেক শখ করে জমানো মাটির ব্যাংকও দিয়ে গেছে। ইসলামপুরের কাপড়ের ব্যবসায়ীদের থেকেও আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। আড়াই লাখ টাকার নতুন কাপড় দিয়ে গেছে আমাদের। এই কাপড়গুলো আমরা পুনর্বাসনে কাজে

লাগাব।

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, শিশুখাদ্য, পরিবহন থেকে শুরু করে পুরান ঢাকাবাসী খুব সহযোগিতা করেছে সব ক্ষেত্রে আমাদের। আমরা ফেনী, কুমিল্লা, লাকসাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, খাগড়াছড়িতে ত্রাণ পাঠাচ্ছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close